করোনার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গেও যুদ্ধ করেছি

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ১০:২৯

করোনা পরীক্ষার পর একটি শব্দ 'পজিটিভ' মুহূর্তেই বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি। তখন সেই রোগী ক্ষেত্রে ভাইরাসটিই যে কেবল শত্রু হয়ে ওঠে তা নয়, অনেক জায়গায় চারপাশের মানুষও হয়ে ওঠে অমানবিক। সেসব পরিস্থিতি কাটিয়ে কীভাবে করোনা যুদ্ধে জয়ী হলেন তার গল্প বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হারুনুর রশিদ। হারুনুর রশিদ বলেন, করোনাভাইরাস পজিটিভ নিয়ে গ্রামে অবস্থান করায় আমার অভিজ্ঞতাটি অন্যরকম। করোনার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গেও যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাকে।

সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে সুস্থ থেকেও ঈদুল ফিতরের নামাজটি পড়তে যেতে পারিনি। হারুনুর রশিদ বলেন,  গত ১মে থেকে হালকা গলা ব্যাথা ও জ্বর। হাত-পায়ে চুলকাতে থাকে। চুলকানো স্থান লাল হয়ে ওঠে। প্রথম তিন দিন আমার এক চিকিৎসক বন্ধুর পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছিলাম। কিন্তু চুলকানি আর জ্বর সেরে গেলেও গলাব্যথা যাচ্ছিল না। তাই ৪ মে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী সদর হাসপাতালে চলে যাই এবং ফ্লু কর্নারে চিকিৎসকে দেখাই। চিকিৎসক আমাকে কিছু ওষুধ ও কভিড-১৯ টেস্ট করানোর পরামর্শ দেন। পরামর্শ মতো আমি ওইদিনই নমুনা দিয়ে আসি এবং বাড়িতে এসে ওষুধ খেতে থাকি আর নিজেকে কোয়ারান্টিনে রাখি। তিন-চার দিন ওষুধ খাওয়ার পর সুস্থতা অনুভব করি। হারুনুর রশীদ আরো বলেন, আমাকে হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাহলে জানানো হবে না। তাই ৭-৮ দিন যাওয়ার পর আমি ধরেই নিয়েছিলাম আমার রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। কিন্তু না আমার ধারণা মিথ্যা হলো ১৩ মে সকালে।

প্রতিদিনের মতো ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ মোবাইলের শব্দে ঘুম ভাঙে। ওপাশ থেকে ফেনী সদর হাসপাতালের আরএমও জানালেন, আমার কভিড-১৯ পজিটিভ। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে গেল। জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলাম আমার বাড়ির সামনে লোকজন জড়ো হচ্ছে। আমাকে নিয়ে কথাবার্তা বলছে। পরে জানতে পারি ফেনীর কয়েকটা সংবাদমাধ্যমে আমার ইউনিয়নের নাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত লিখে নিউজ করেছে। তাতেই সবাই ধরে নিয়েছে এটা আমি। এরপর একে একে থানা, ক্যান্টেনমেন্ট, ইউএনও অফিস সহ বিভিন্ন যায়গা থেকে কল আসতে থাকে। মজার ব্যপার হলো অনেকে ফোন করে আমার কাছে জানতে চাচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমি চিনি কি-না।  এদিকে, আমাকে নিয়ে এলাকায় শুরু হয় নানা গুজব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও