বেঁচে যাওয়া যাত্রীর মুখে পাকিস্তানের বিমান দুর্ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা!
৯৯ জন আরোহী নিয়ে পাকিস্তানের করাচিতে গতকাল (শুক্রবার) বিধ্বস্ত হয় একটি যাত্রীবাহী বিমান। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯৭ জনই মারা গেছেন। তবে এমন বড় দুর্ঘটনার পরেও অলৌকিকভাবে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন ওই বিমানে থাকা দু'জন। তাদের একজনই শুনিয়েছেন বিমান দুর্ঘটনার সময়কার লোমহর্ষক বর্ণনা।
ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মেদ জুবায়ের নামের বেঁচে যাওয়া ওই যাত্রী জানান, আমরা কেউই জানতাম না যে বিমানটি বিধ্বস্ত হবে। তারা খুব ভালোভাবেই বিমানটি পরিচালনা করছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বের হয়ে আসেন মুহাম্মেদ জুবায়ের।
তিনি বলেন, আমি সব দিক থেকে শুধু চিৎকার শুনেছি। আমি যা দেখেছি তা হলো শুধু আগুন। আমি কোন মানুষকে দেখতে পাইনি।
জুবায়ের বলেন, চারপাশে আমি যা দেখতে পাচ্ছিলাম তা ছিল ধোঁয়া ও আগুন। আমি সব দিক থেকে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি যা দেখতে পাচ্ছিলাম সবই ছিল আগুন। আমি কোনো লোককে দেখতে পাইনি- কেবল তাদের চিৎকার শুনেছি।'
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বলে জানান মুহাম্মেদ জুবায়ের। বলেন, জ্ঞান ফেরার পর আমি একটু আলো দেখতে পাই। এরপর আমি আমার সিট বেল্ট খুলে ওই আলোর দিকে যাই। আমি প্রায় ১০ ফিট নিচে লাফ দেই বাঁচার জন্য।
জানা গেছে, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটিতে যাত্রীরা ঈদের ছুটিতে লাহোর থেকে করাচি যাচ্ছিলেন।