 
                    
                    দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর যথারীতি পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। রমজানের শেষে এই ঈদ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে; সারা বিশ্বের মুসলমান এটি পালন করেন একটি খুশির উৎসব হিসেবে। কিন্তু এ বছর যখন এই উৎসব এসেছে, তখন সারা পৃথিবী কোভিড–১৯ মহামারি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল মিলে এই মহামারিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ লাখ ২৬ হাজার মানুষ; বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। উপরন্তু এই দুর্যোগের মধ্যেই আম্পান নামের এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ২১ জন মানুষের মৃত্যুসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি জেলা বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগমনে ঘরে ঘরে আনন্দ না হোক, আশা ও প্রত্যয় জাগুক যে আমরা সবাই মিলে এই দুর্যোগ ও দুঃসময় পেরিয়ে আবার সুস্থ, স্বাভাবিক, কর্মচঞ্চল জীবনে ফিরে যাব।
রোগ সংক্রমণ এড়াতে লকডাউনের মধ্যেই দীর্ঘ এক মাস ধরে রোজা রেখে ইন্দ্রিয়ের কৃচ্ছ্রসাধনা চলেছে। পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনার লক্ষ্য দৈহিক ও আত্মিক সংযমের অনুশীলন। কোভিড–১৯ মহামারি যখন বিস্তার লাভ করছে, তখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেকে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। যেহেতু লকডাউন শিথিল করা হয়েছে এবং দোকানপাট, বাজার, রাস্তাঘাটে লোক চলাচল বেড়েছে, সেহেতু এখন সবারই বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। প্রত্যেক ব্যক্তি সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধির সব করণীয় ঠিকমতো মেনে চললে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। এ ক্ষেত্রে কিছু সংযম অবশ্যই প্রয়োজন।
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                -68f7ebaa39de2-6903ee942e8e5.jpg) 
                    
                