You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এবারের ঈদ : নেই আনন্দ আছে ভয়

ঈদ মানে আনন্দ। আর রোজার ঈদ মানেই হলো যেন সকলের জন্য আনন্দের ফোয়ারা। আনন্দ শুরু হয় রোজা রাখার মধ্য দিয়ে। সবাই মিলে সেহেরি খাওয়া, নামাজ পড়া, ইফতারের সাইরেনের জন্যে অপেক্ষা- সব মিলিয়ে মনে হতো যেন সামনেই ঈদ আসছে। সেইসাথে চলত যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা, উপহার বিনিময়। কে ঈদে কয়পদ রান্না করবে, কার বাসায় কোন খাবারের আইটেমটি জিভে পানি এনে দিয়েছে তা নিয়ে গল্পের পসরা। যারা সিরিয়াস প্রকৃতির তারা বসে যেতেন ঈদ সংখ্যার লেখাগুলো পড়তে। প্রিয় লেখকের লেখাটি কতবার করে যে পড়া হতো! আর তা নিয়ে দেয়া হতো ফেসবুকে স্ট্যাটাস। হয়ে যেত কারো কারো মধ্যে অম্ল-মধুর বির্তক। আরেকদল বসে যেতো টিভির সামনে। কিছু নাটক/ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দেখতেই হবে যেন তাদের। মিস করা যাবে না একেবারে-অনেকের ভাবটাই হতো এমন। অর্থাৎ ঈদ মানেই প্রতি ঘরে ঘরে জমজমাট আনন্দের আবহাওয়া। কিন্তু এবারের ঈদটা কেমন যেন। আগের কোনো ঈদের সাথে এবারের ঈদকে মেলাতে পারছি না। ঘরবন্দি আমরা সবাই এখন । বাইরে এক অদৃশ্য শত্রু। জানি না এখনও তাকে পর্যুদস্ত করার কৌশল। এক অজানা আশঙ্কা আর ভয় আমাদের সবার মধ্যে। সবার মনেই এক কথা- এ যাত্রায় বাঁচব তো! নাকি হারিয়ে যাব? কে সেই শত্রু আমাদের? সে তো শুধু আমাদের দেশের শত্রু নয়। বিশ্বেরও শত্রু। করোনাভাইরাস যার নাম। অদৃশ্য এক জীবাণু। মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখলে গোল বলের মধ্যে মুকুটের মতো দেখা যায়। দেখলেই আত্মা কেঁপে ওঠে। এখনও বিজ্ঞানীরা তাকে মেরে ফেলার অস্ত্র খুঁজে পায়নি। নোবেল পাওয়া বিজ্ঞানীরা তাকে ধরাশায়ী করতে পারছে না, উল্টো সেই বিজ্ঞানীদের হিসাবনিকাশ বারবার উল্টো করে দিচ্ছে। ভাবতেই ভয় লাগে! মন বলে- এভাবে চললে আর কোনোদিন কি আমরা আগের মতো ঈদ করতে পারব? আমরা কি সবাই মিলে দলবেঁধে হৈহুল্লোড় করতে করতে বাইরে বের হতে পারব? আগের মতো কি বিশাল ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না? আমরা কি আর আগের মতো ঈদের দিনে কোলাকুলি করতে পারব না? আমরা কি ঈদের দিনে আগের মতো প্রিয় মানুষের সঙ্গ পাব না? মানুষ দেখলেই কি মনে নানান প্রশ্ন জাগবে? অদৃশ্য জীবাণু কি শেষপর্যন্ত আমাদের বিশ্বাসেও আঘাত হানবে? তাহলে আগামী ঈদগুলো হবে কি এমনই বর্ণহীন, নিষ্প্রাণ, অনুজ্জ্বল আর ভয়ে ভরা? না না। আমরা ভয় পাব না। আমরা মেনে চলব সকল স্বাস্থ্যবিধি। বজায় রাখব সামাজিক দূরত্ব। নিজের ঘর- নিজের অফিস- নিজের সবকিছু নিজ হাতেই পরিষ্কার করব। আমাদের লাইফস্টাইলে আনব টোটাল চেঞ্জ। প্রকৃতির ওপর করব না আর অত্যাচার।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন