কৃষিতেই আশা

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০, ১১:০২

করোনাকালের মহাবিপর্যয়ের মধ্যে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) পূর্বাভাসে বাংলাদেশের জন্য একটি আশার বাণী শুনিয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী দেশ হতে যাচ্ছে। এত দিন চীন ও ভারতের পরই তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়া। ইউএসডিএর প্রতিবেদনমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা বিশ্বে ধানের উৎপাদন ৫০ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে।

এর মধ্যে চীনে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন, ভারতে ১১ কোটি ৮০ লাখ টন এবং বাংলাদেশে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণ।

এসব তথ্য আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। কিন্তু এর পাশাপাশি অস্বস্তির খবর হলো বাংলাদেশে ধানসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়লেও কৃষকের দুরবস্থা কাটেনি। বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যেমন তঁারা বিপদে পড়েন, তেমনি সময়মতো ধান কাটতে না পারা, বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়ার কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

চলতি বছর করোনা সংকটের কারণ হাওরের ধান কাটা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, সেটি মোটামুটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোরো ধানের ৬৫ শতাংশ কাটা হয়েছে। বাকি ৩৫ শতাংশ এখনো খেতে রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পান আজ বুধবার সন্ধ্যায় বা রাতে আঘাত হানতে পারে। এটি যে মাত্রার ঘূর্ণিঝড়, তাতে ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জরুরি ভিত্তিতে ধান কাটা ও কীভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই কাজ ঠিকমতো করা না গেলে ও আম্পানের আঘাত ভয়াবহ হলে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত এবং সামগ্রিকভাবে সব ধরনের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও