খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে নেই: চীফ হুইপ
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে ঘরে বসে আছেন। মুক্তি পাওয়ার পরে এই করোনা দুর্যোগে তিনি জনগণের জন্য একটি কথাও বলেননি। বিএনপির নেতাদের রিলিফ দিতেও তেমন দেখা যায়নি। এ সময় তিনি আরো বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১টি নির্দেশনাসহ বিভিন্ন সময়ে যে নির্দেশনাগুলো আমাদের দিয়েছেন তা মেনে চলতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিবচরের চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়ামে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এর আগে তিনি দত্তপাড়ায় তার পিতা জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য ও গণপরিষদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ভাগ্নে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাইয়ের ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় মরহুমের কনিষ্ঠ ছেলে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, লিখন চৌধুরী, রিপন চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উপজেলা প্রশাসন, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও একইদিন চীফ হুইপ প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে উপজেলার ৩৬টি কওমী মাদ্রাসার প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৮ জন দপ্তরি ও নৈশ প্রহরীদের মাঝে চালসহ খাবার সহায়তা প্রদান, ৯০ জন মায়েদের প্রত্যেককে কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা ভাতা বাবদ ৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। পাঁচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম লিয়াকত ঢালী ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আতিকুর রহমান মাদবরের মায়ের কবর জিয়ারত করে শোকার্ত পরিবারকে তিনি শান্তনা দেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মোল্লা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. লতিফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন খান (তোতা) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এবার দাদা ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচীগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হয়েছে।