অধ্যাপক আনিসুজ্জামান: কৃতজ্ঞ স্মরণ

প্রথম আলো আলী ইমাম মজুমদার প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০, ০৯:০০

খবরটি খুব আকস্মিক ছিল এমন বলা যাবে না। তিনি দীর্ঘদিন বয়সের বিপরীতে বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে লড়ছিলেন। তবে যখন এল তখন ব্যাপারটি আকস্মিকই মনে হলো। এমনটা তো আমরা চাইনি কিংবা ভাবিনি। তবে নিষ্ঠুর প্রকৃতি চলে আপন নিয়মে।

জীবনের সব দিক দিয়ে সফল জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান পরিণত বয়সেই প্রয়াত হয়েছেন। তিনি কয়েক হাজার ছাত্রের সরাসরি শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর সময়কার বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রদেরও তিনি প্রকৃতপক্ষে ছিলেন শিক্ষকই। তিনি সামান্য পরিচয়েই যে কাউকে আপন করে নেওয়ার সহজাত গুণাবলি রপ্ত করে নিয়েছিলেন। ‘স্যার’ শব্দটা ভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হলেও প্রধানত এর ব্যবহার ছাত্র–শিক্ষকের। আর তিনি কত হাজার মানুষের স্যার ছিলেন, এর হিসাব কেউ করতে পারবেন না। তাদের অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই তাঁর ছাত্র ছিল না। এ ব্যাপারে তাঁরই দীক্ষাগুরু প্রয়াত মনিষী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে একত্রে ভারত ভ্রমণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ বিপুলা পৃথিবীতে লিখেছেন। ত্রিবান্দ্রমের এক সভা। সেখানে পণ্ডিতদের সমাবেশে দুজনই সমাদৃত হলেন। মূল উদ্যোক্তা, রাজ্জাক সাহেবকে পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন, ‘ঢাকায় নাম না করে শুধু স্যার বলতে আব্দুর রাজ্জাককেই বোঝায়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আমাকে বলেছেন যে তাঁর শাশুড়ি যিনি কখনো কোনো স্কুলেই যাননি, তিনিও ওঁকে স্যার বলে সম্বোধন করেন।’ স্যার সম্বোধনে আনিসুজ্জামান তাঁর দীক্ষাগুরুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন কি না, বলতে পারছি না। তবে খুব যে পেছনে ছিলেন না, এটা বিনা দ্বিধায় বলা চলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও