বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল ফ্রি থাকবে ফল পরিবহনে ফিরতি ট্রাক
পণ্য কিংবা ফল পরিবহনে ফিরতি ট্রাক খালি যাচ্ছে। ফলে তারা বেশি ভাড়া দাবি করছেন। এতে বিপাকে পড়ছেন কৃষক ও ব্যবসায়িরা। তাই পরিবহন ভাড়া কমাতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফিরতি ট্রাকে ঠোল ফ্রি করার পরিকল্পনা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য জেলা হতে ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়ারাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র প্রদান ও নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আম, লিচুসহ মৌসুমী ফল এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।সভায় সাবেক ও বর্তমান মিলে ৭ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, বিভিন্ন জেরার জেলা প্রশাসক এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানিকারক সমিতি, সুপারশপ মালিক সমিতি, আম-লিচু কৃষক, ব্যবসায়ী ও আড়তদার এবং সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের শাকসবজি ও মৌসুমী ফলসহ কৃষিপণ্যের পরিবহন এবং বাজারজাতকরণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারছে না। কৃষিপণ্যের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, ফলে পাইকার ও আড়তদারগণ কৃষিপণ্য ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে। কৃষিপণ্য পরিবহন শেষে ট্রাক খালি ফেরার আশঙ্কায় ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বেশিরভাগ উৎপাদিত ফল ও সবজি।তিনি বলেন, করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষিপণ্যের বিপণন এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে সব ধরনের উদ্যোগ নেবে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মৌসুমী ফল এবং কৃষিপণ্য পরিবহণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহনের অবাধে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করা, পরিবহণের সময় যাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মাধ্যমে কোনো হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যবস্থা করা হবে। ফল পরিবহনে বিআরটিসির ট্রাক ব্যবহার ও স্থানীয়ভাবে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হবে। পার্সেল ট্রেনে মৌসুমি ফল এবং কৃষিপণ্য পরিবহণের আওতা বাড়ানো, হিমায়িত ওয়াগন ব্যহার করা যায় কিনা ভাবা হবে।