যে কারণে ভার্চুয়াল আদালত চান না দেশের সিংহভাগ প্রবীণ আইনজীবী
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় দীর্ঘ চিন্তার পর বাংলাদেশের আদালতগুলোতেও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল আদালত চালু করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৬ মে আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০-এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। শনিবার (৯ মে) রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইনমন্ত্রণালয় এ গেজেট প্রকাশ করে। এরইমধ্যে গত দুইদিন এই পদ্ধতিতে দেশের উচ্চ ও নিম্ন আদালতে বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই আদালত পরিচালনার পর আইনজীবীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তরুণ আইনজীবীদের বেশিরভাগই এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানালেও প্রবীণ আইনজীবীরা এ প্রক্রিয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন। বয়সজনিত কারণে প্রযুক্তিগত বিদ্যায় জ্ঞানের অভাব, জানা থাকলেও অনভ্যস্ততা, তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব ইত্যাদি কারণে মূলত প্রবীণ আইনজীবীরাই এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। অভিযোগেরও অন্ত নেই তাদের। তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞানের স্বল্পতা তাদের এতটাই কম যে গোপালগঞ্জের জেলা আইনজীবী সমিতির সভায় ভার্চুয়াল আদালতে যে ধরনের সুরক্ষা পোশাক পরতে হবে সেগুলো তাদের নেই এমন মন্তব্যও করা হয়েছে।