প্রচুর সবজি খাচ্ছি
আনা ফ্রাঙ্ক ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেখা তাঁর ডায়েরির জন্য। অনেকে বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত এই অনিশ্চিত সময়টাও নাকি বিশ্বযুদ্ধের মতোই। ক্ষুদ্র এক অনুজীবের বিরুদ্ধে সারা পৃথিবী তো যুদ্ধেই নেমেছে! তা এই সময়ে বাংলাদেশের ঘরবন্দী খেলোয়াড়েরা যদি ডায়েরি লিখতেন, কী থাকত তাঁদের লেখায়? খেলোয়াড়দের হাতে কলম তুলে দিয়ে সেটিই জানার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো লকডাউনের সময় খেলোয়াড়দের মধ্যে আমিই বোধ হয় সবচেয়ে ভাগ্যবান, যে ইচ্ছে করলে আগের মতোই অনুশীলন করতে পারছি। কারণ আমি এখনও বিকেএসপিতেই আছি। ইচ্ছে করলেই ট্র্যাকে নেমে দৌড়াই, জিম করছি। অন্যান্য অ্যাথলেটদের এই সময়ে ট্রাক ও জিম ব্যাবহার করতে পারার কথা নয়। এ জন্যই নিজেকে কিছুটা হলেও ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। ইচ্ছে করলেই কোনোভাবে সাতক্ষীরায় বাড়িতে চলে যেতে পারতাম। কত মানুষ কত ভাবেই তো ঢাকা ছেড়েছে, এখনো যাচ্ছে। কিন্তু আমি এই দুটি কারণেই যাইনি। আর এই সময়ে বাসে অনেক মানুষের সঙ্গে যাতায়াত করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার জন্য পরিবারের বাকি সদস্যরা বিপদে পড়ুক, সেটিও চাই না।