ছোট কাঁধ কি বড় ভার বইতে পারছে

প্রথম আলো আবু আফজাল সালেহ প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২০, ০৮:০০

শহরের একটি সচরাচর দৃশ্য যে ব্যাগের ভারে হয়তো ঝুঁকে হাঁটছে শিশুটি। অথবা দেখা যায়, সন্তানের ভারী ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে চলেছেন তাদের মা–বাবা কিংবা অভিভাবক। পথ চলতে চলে দেখা যায়, স্কুলগামী বা স্কুলফেরত ছোট ছোট শিশুর ঘাড়ে ঝুলছে বড় ব্যাগ। বইয়ের সমাহার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, খেলাচ্ছলেই শিখবে শিশুরা। আনন্দ-খুশির মধ্য দিয়ে মনের অজান্তেই শিখবে। পড়াশোনায় আনন্দ থাকবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তা বলে না। স্কুল বা কোচিং যাওয়া-আসায় বইয়ের পাহাড় আর পড়াশোনার চাপ। অনেক ক্ষেত্রে আমরা উল্টাপথে যেতে পছন্দ করি। শিক্ষাক্ষেত্রেও তা–ই। প্রাইমারিতে বইয়ের চাপ বেশি, মাধ্যমিকে তুলনামূলক কম। কলেজে অনেক কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার শিট নিয়ে গেলেই হয়। অর্থাৎ ক্রমান্বয়ে বইয়ের বোঝা কমছে। কিন্তু উল্টোটাই হওয়ার কথাই ছিল। দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন নামকরা স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিশুর ব্যাগের ওজন তিন কেজির বেশি। আবার ইংলিশ ভার্সনে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন গড়ে চার কেজির বেশি। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন পাঁচ কেজির বেশি। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন অন্য কথা। তাঁরা বলছেন, পাঁচ বছরের একটি ছেলেশিশুর আদর্শ ওজন ১৮ দশমিক ৭ কেজি, আর মেয়ের ১৭ দশমিক ৭ কেজি। ছয় বছরের একটি ছেলেশিশুর আদর্শ ওজন ২০ দশমিক ৬৯ কেজি আর মেয়ের ১৯ দশমিক ৯৫ কেজি। সে হিসাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ব্যাগের ওজন তার শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ, অর্থাৎ সর্বোচ্চ ২ কেজি হওয়ার কথা। সেখানে ঢাকার খ্যাতনামা বিভিন্ন স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ব্যাগের ওজন পাওয়া গেছে সর্বনিম্ন ৩ থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কেজি। যদিও বই জীবনীশক্তি সঞ্চার করে, মনের ক্ষুধা মেটায়, অন্তর্চক্ষু খুলে দেয়। অসংখ্য চোখ প্রস্ফুটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে বই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও