পুরুষের জন্য প্রশ্ন, দাঁড়িয়ে না বসে?
কোন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক, সামাজিক এমনকি রাজনৈতিক কারণ নির্ধারণ করে সেখানকার পুরুষেরা কিভাবে এই প্রাকৃতিক কর্মটি সারবেন। কিন্তু এজন্য ঠিক কোন প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যকর সাম্প্রতিক সময়ে সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের প্রস্রাব করার ধরণ পরিবর্তনের পেছনে সুস্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে কারণ হিসেবে বিবেচনার কথা বলা হয়, তবে কারো কাছে আবার এটি সমান অধিকারের প্রশ্নও বটে। কিন্তু তাহলে পুরুষের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়টা কী?কম সময়ে কর্ম-সম্পাদন ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption আকারে ছোট হওয়ায় অল্প জায়গায় অনেকগুলো ইউরিনাল বসানো যায় বেশিরভাগ পুরুষের জন্য জলবিয়োগের কাজটি দাঁড়িয়ে করাই সবচেয়ে সহজ। ছেলেদের পাবলিক টয়লেটের সামনে দাঁড়ালেই আপনি বুঝতে পারবেন কাজটি সারতে আসলেই কত কম সময় লাগে এবং তা বাস্তবসম্মতও। দেখবেন কোন লম্বা লাইন নেই। ছেলেরা যেন টয়লেটে ঢোকে আর মূহুর্তের মধ্যেই বেরিয়ে আসে। মূলত দুইটি কারণে এটা ঘটে: ১. পুরুষেরা দ্রুত প্রস্রাব করতে পারে, কারণ তাদের কয়েক স্তরের কাপড় সরাতে হয় না, আর ২. যেহেতু ইউরিনাল অর্থাৎ পুরুষদের মূত্রত্যাগের কমোডের জন্য কম জায়গা প্রয়োজন হয়, সে কারণে এক জায়গায় বেশি সংখ্যক ইউরিনাল বসানো যায় এবং বেশি পুরুষ এক সঙ্গে কাজটি সমাধা করতে পারেন।কিন্তু বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত ওয়েবসাইট বলছে, মূত্রত্যাগের সময় শরীরের পজিশনের কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে। মূত্রত্যাগের শারীরিক প্রক্রিয়া ছবির কপিরাইট Getty Images Image caption ব্লাডার দুই-তৃতীয়াংশ ভর্তি হলেই মানুষের প্রস্রাবের বেগ হয় দেখা যাক মানুষ কিভাবে প্রস্রাব করে, মানুষের কিডনিতে উৎপাদন হয় প্রস্রাব, যা আমাদের রক্ত থেকে বর্জ্যকে সরিয়ে দেয়। এরপর সেটি আমাদের ব্লাডারে সংরক্ষিত হয়, যার ফলে যখন-তখন টয়লেটে যাবার বেগ ছাড়াই আমরা দৈনন্দিন কাজকর্ম যথাযথভাবে সমাধা করতে এবং রাতে ঘুমাতে পারি। যদিও ব্লাডারের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৩০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার পর্যন্ত হয়, কিন্তু সাধারণত দুই-তৃতীয়াংশ ভর্তি হলেই মানুষ প্রস্রাবের বেগ অনুভব করে। আর ব্লাডার পুরোপুরি খালি করতে হলে, একজন মানুষের নার্ভাস কন্ট্রোল সিস্টেম হতে হবে একেবারে যথার্থ, অর্থাৎ যা শরীরকে সংকেত দেবে কখন টয়লেটে যেতে হবে, কিংবা যদি তখন তখনি টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকে প্রস্রাব আটকে রাখতে পারবে। এরপর অবস্থা যখন সুবিধাজনক হবে, তখন মানুষের পেলভিক ফ্লোরের মাংসপেশিসমূহ এবং ব্লাডারের স্ফিংটার মানে টিউবের চারপাশ ঘিরে যে গোলাকৃতি মাংসপেশি থাকে, যাকে মূত্রনালি বলা হয়, তা শিথিল হয়। ব্লাডার তখন সংকুচিত হয় এবং জমা হওয়া তরল মূত্রনালিতে পাঠিয়ে দেয়, এবং এরপরই প্রস্রাব করে একজন মানুষ। বসে না দাঁড়িয়ে?
- ট্যাগ:
- লাইফ
- সমস্যা
- পদ্ধতি
- মূত্রত্যাগ