খালেদার মুক্তির উপায় নিয়ে বিএনপি আইনজীবীদের মতানৈক্য
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে আজ শনিবার। এ সময়ের মধ্যে মুক্তির আইনী পথ নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে তার আইনজীবীদের মধ্যে। বেগম জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ম্যাডামের ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য জানিয়েছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দেখবেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দেখবেন এ জে মোহাম্মদ আলী। এরা কেন কী উদ্দেশ্যে সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন না, এটা আমার বোধগম্য না। তিনি বলেন, আসামির জামিন যতবার খুশি করা যায়। আপিল বিভাগ একটি বিশেষ কারণ দেখিয়ে তাকে জামিন দেননি। আমরা আবার তার জামিন আবেদন করতে পারতাম, দীর্ঘ সময় আমরা বসে আছি কোনো জামিনের আবেদন করা হয়নি। বেগম জিয়ার মুক্তির আইনি পথ জানতে চাইলে বেগম জিয়ার অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি প্যারোল। আমি শুরু থেকেই প্যারোলের কথা বলেছিলাম। প্যারোল মানে এই নয়, অপরাধ স্বীকার করে নেয়া, এটি একজন নাগরিকের অধিকার। চিকিৎসার জন্য কারাগারে থাকা যে কেউ এটা চাইতে পারেন। আরেকটি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর ১ ধারা মতে, সরকার বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মুক্তি দিতে পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে কোনো আবেদন করা হয়নি। এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত সেটিও জানি না। অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, যেকোনো কিছুর বিনিময়ে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বেগম জিয়াকে বাঁচাবার জন্য চেষ্টা করতে হবে। সেই চেষ্টা আইনজীবীরা করে যাচ্ছেন। আমরা মন দিয়ে করে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাকে জেলখানায় আটকে রেখেছে। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে আইনজীবীরা ব্যর্থ কিনা জানতে চাইলে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের কোনো ব্যর্থতা নেই। যদি জামিন আবেদন না করতাম, যদি আদালতের কাছে না যেতাম তাহলে ব্যর্থতার কথা বলা যেতো। আমরা তো নিয়মিত আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।