উড়ে উড়ে সেন্টমার্টিন
কুয়াশাঢাকা দিন। ঢাকা অবশ্য ধূসর এই চাদরে দুদিন ধরেই ঢাকা। একটি বারের জন্যও উঁকি দেয়নি সূর্য। তাই মনটা দুরুদুরু, যাচ্ছি তো সাগরপারের দ্বীপে, মোটে দুটো দিন থাকব, এমন কুয়াশা থাকলে বেড়াতে যাওয়া পুরোটাই মাটি! দ্বীপ মানে আমাদের অতি আদরের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। বছরের শেষ দিকে ঢাকার বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছেটা ছিল বটে, তবে সেন্টমার্টিনকে বেছে নেওয়া হুট করেই।সে অনুযায়ী টেকনাফ যাওয়ার বাসের আগাম টিকিটও করা হয়েছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জাহাজের টিকিট নিশ্চিত করেছে অনুজপ্রতিম গিয়াসউদ্দিন। দ্বীপের একটি সি-ভিউ হোটেলের কামরা দুদিনের জন্য বুকড। তাই কুয়াশা নিয়ে ধোঁয়াশায় থাকার মানে নেই।ঘড়ি ধরে ঠিক সাড়ে আটটায় বাস ছাড়াল। ছাড়ার আগে বাস কোম্পানির মুরব্বি গোছের এক কর্তা চালককে জটিল এক নির্দেশ দিলেন, ‘বুঝেশুনে বাস চালাবেন। যাত্রীর জানমাল আগে। তবে মাথায় রাখবেন, টেকনাফে পৌঁছাতে হবে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে।’যাত্রালগ্নটা বেশ রোমাঞ্চকর। কিছুটা পুলক, কিছুটা শিহরণ। সাগরের মধ্যে একটা টান আছে। সেটা সত্যিকারেই অতল জলের আহবান। আধো অন্ধকার রাতে বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে এর আগে সাগরের ঢেউভাঙা গর্জন শুনেছি। এর মধ্যে অপার্থিব এক ছন্দ আছে, যা মনকে উদাস করে দেয়। ছোটবেলায় জুলভার্নের ‘মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড’, রবার্ট লুই স্টিভেনসনের ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’ পড়েছি। পড়েছি অজানা নির্জন দ্বীপের পটভূমিতে আরও কিছু রোমাঞ্চকর বই।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- পর্যটন
- সমুদ্র বিলাস
- সেন্টমার্টিন