জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত হলেও আদালতে তা দাখিল করেননি অ্যাটর্নি জেনারেল। আমাদের এই সমাবেশ ও মানববন্ধন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের এই প্রতিবাদ মূলতঃ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদসভায় ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন একথা বলেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার না পেলে আইনজীবীরা রাজপথে নামবে এবং রাজপথকে উত্তপ্ত করবে। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, আমাদের বিচার বিভাগ বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্ট ন্যায় বিচার করবেন, আইনের শাসন কায়েম থাকবে। সেই জন্যই আজকের এই সমাবেশ। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তুলে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন বলেন, বিচার বিভাগ থেকে আমাদের যে বিচার পাওয়ার কথা ছিল- তা অ্যাটর্নি জেনারেলের কারসাজিতে পাচ্ছি না। সর্বোচ্চ আদালত মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছে। যথাসময়ে সেই রিপোর্টও এসেছে। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল অত্যন্ত জঘন্যভাবে আদালতে সেটা উপস্থাপন না করে বলেছেন, রিপোর্ট আসেনি। আমি মনে করি, তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অবমাননা করেছেন।পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা প্রতিবেশি দেশের দিকে তাকাই, তখন দেখি সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায়ও নওয়াজ শরীফকে হেলিকপ্টারে করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। লালু প্রসাদকেও সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন দেয়া হয়েছিল। সেখানে যারা আইন উপদেষ্টা ছিলেন তারা বিচার বিভাগকে বিভ্রান্ত করেন নাই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.