খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সরকার রসিকতা করছে: রিজভী

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৫

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার রসিকতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এই মুহূর্তে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জীবনহানীর ঝুঁকি রয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার অবস্থা এখন আশংকাজনক। শেখ হাসিনা ও তার পারিষদবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারিরীক অবস্থা নিয়ে রীতিমত রসিকতা করছেন। এই রসিকতা এক নিষ্ঠুর মানসিক বিকারগ্রস্ততার লক্ষণ। বেগম জিয়ার জামিন যেন না হয় সেজন্য সরকারপ্রধান নিজেই প্রকাশ্য সমাবেশে রায় ঘোষনা করছেন। এতে করে এই মিডনাইট সরকারের ভয়ংকর অশুভ ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আমরা বর্তমানে দেশনেত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশংকায় দিনাতিপাত করছি।তিনি বলেন, তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে দেশনেত্রীর ভাই-বোন-স্বজনরা সাক্ষাৎ করার আবেদন করলেও কারাকর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনার নির্দেশে অনুমতি দিচ্ছেন না। গত ২৫ দিন হলো দেশনেত্রীর সঙ্গে তার স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। গত ১৩ নভেম্বরের পর আর সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। ফলে দেশনেত্রীকে নিয়ে আমরা চরম শংকা ও উৎকন্ঠায় আছি। একজন বন্দীর সাথে স্বজনদের দেখা করতে না দেয়া এক চরম মানসিক নিপীড়ণ। পৃথিবীর কোন নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দীদের সাথে এরুপ দুর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ওপর। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ তাতে কোন কর্ণপাতই করেননি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দীদের সাথে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছেন কারাবিধি লঙ্ঘন করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও