
ছবি সংগৃহীত
সুন্দরবনে হাতি ভালুক- দৈনিক কালের কণ্ঠ
আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৮:১৯
সুন্দরবন। ফাইল ছবি
(প্রিয়.কম) সুন্দরবনে ভালুক আছে, সুন্দরবনের প্রাণী হাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, সুন্দরবনের বাঘ গরু, ছাগল ও ভেড়া খেয়ে বাঁচে- এমন তথ্যে বিস্মিত বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে সুন্দরবন নিয়ে উল্লিখিত এসব তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এবং তা সংশোধন করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) চিঠিও পাঠিয়েছে বন বিভাগ।
শুক্রবার দৈনিক কালের কণ্ঠের ‘সুন্দরবনে হাতি ভালুক!’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় সোয়া ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর এ সম্পর্কে লেখার পরামর্শ দিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী বলেন, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে সুন্দরবন সম্পর্কে যেসব ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলো চিহ্নিত করে এনসিটিবিকে জানিয়েছে। বলেছি, এগুলো সঠিক তথ্য নয়। তা যেন শোধরানো হয়।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বন বিভাগ থেকে আমরা চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের বিষয়ে কিছু মতামত পেয়েছি। প্রতিবছরই আমরা বই পরিমার্জন করি। যেসব মতামত আসে, সেগুলো পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এখন এসব তথ্য পর্যালোচনা চলছে। যারা প্রবন্ধটি লিখেছেন তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ঠিক করা হবে ওই সব তথ্য সঠিক না কি ভুল। যদি ভুল হয়, তাহলে পরের বছর তা পরিমার্জন করা হবে।
প্রিয় সংবাদ/শিরিন/সোহেল