নির্মল হাসিতে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। ছবি: প্রিয়.কম

‘শাড়ির মতো সুন্দর পোশাক পৃথিবীতে খুব কম আছে’

তাশফিন ত্রপা
ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৫৮
আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৪:৫৮

(প্রিয়.কম) গতানুগতিক ধারার বাইরে সংগীত সৃষ্টির এক দারুণ সুনাম রয়েছে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের। তার গানে যেমন বিপ্লব আর সংগ্রামের সংমিশ্রণ খুঁজে পাওয়া যায়, একই ভাবে তার পোশাকেও সেই ছোঁয়া পাওয়া যায়। নিজেকে খুব একটা ফ্যাশন সচেতন না বলে দাবি করলেও তার বাঙালিয়ানা ফতুয়াই তাকে আইকনিক ফ্যাশনেবল নারী হিসেবেই তুলে ধরে। প্রিয়.কম-এর নিয়মিত আয়োজন ‘ফ্যাশন আইকন’ বিভাগের সঙ্গে এবার আলাপ করেন সায়ান। সেই আলাপে সায়ান তার ফতুয়া নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন।

প্রিয়.কম: প্যান্টের সঙ্গে আপনাকে সবসময় ফতুয়া পরতে দেখা যায়, জানতে চাইব আপনার ফতুয়া পরার স্টাইল সম্পর্কে...

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান: আসলে ফতুয়াটা দেশীয় পোশাক হিসেবে পরা শুরু করিনি। যদিও আমার পছন্দের সঙ্গে মিলে গেছে দেশীয় সংস্কৃতির ফতুয়া। কমফোর্টেবল বলেই ফতুয়া পরি, এ ছাড়া আর কিছু নয়। তবে ফতুয়ার সঙ্গে যে প্যান্ট পরছি, তা আবার ওয়েস্টার্ন সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে গেছে। সত্যি বলতে, এমন কোনো পোশাক পরতে আমার ভালো লাগে না, যা সহজে পরা যায় না।

প্রিয়.কম: পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানত কোন বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান: যে পোশাক পরে রিকশায় উঠতে গেলে আমাকে ভেবে-চিন্তে রিকশায় চড়তে হবে সে পোশাক আমি পরি না। ফতুয়াটা আমার পরতে ভালো লাগে। গান গাওয়ার ক্ষেত্রেও খুব সহজে পরা যায়। এটাই আমার স্টাইল, এই ফতুয়া পরেই আমি গান গাই, বিয়ে বাড়িতে যাই, আবার আন্দলনেও যাই। এটাই আমার পোশাক। আসলে লজ্জা নিবারণের জন্যই তো পোশাক, তাই যা আমার কাছে আরামদায়ক তাই পরি। শাড়ি পরা হয় না। যদিও শাড়ি আমার খুবই পছন্দ। শাড়ির মতো সুন্দর পোশাক পৃথিবীতে আসলেই খুব কম আছে। কিন্তু খুব সহজে কিংবা এক মিনিটে পরা যায় না বলে আমারও আর শাড়ি পরা হয়ে ওঠে না।

নিত্যদিনের আরামদায়ক পোশাক হিসেবে ফতুয়া বেছে নিয়েছেন সায়ান। ছবি: সংগৃহীত

প্রিয়.কম: ফতুয়াগুলো সাধারণত কোথা থেকে সংগ্রহ করেন?

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান: ফতুয়া আমার সংগ্রহ বা কেনা হয় না। বছরে একবার বা দুইবার, একসঙ্গে বেশ কিছু বিভিন্ন রঙের কাপড় কিনে নিই। তারপর সেই কাপড় দিয়ে নিজের পচ্ছন্দ মতো ডিজাইন করে দর্জির মাধ্যমে কুড়িটার মতো ফতুয়া সেলাই করে নিই। ওগুলোই ঘুরে-ফিরে পুরো বছরজুড়ে পরি। খেয়াল করলে দেখা যায়, পোশাকের পেছনের আমার সারা বছর সময় দেওয়া হয় একবার বা দুইবার। আবার খরচও করা হয় সেই একবারই। এ ক্ষেত্রে এক রাঙা ফতুয়াই বেশি পরা হয়। আর সবগুলো ফতুয়ার ডিজাইনও থাকে একই রকমের। ফতুয়াতে আমার সবচেয়ে পছন্দের রঙ কালো।

সায়ানের পোশাকে কালো রঙের প্রাধান্যটাই বেশি দেখা যায়। ছবি: প্রিয়.কম

প্রিয়.কম: সেলাই করা ফতুয়ার কাপড়গুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করেন?

ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান: ফতুয়ার জন্য সবসময় সুতি কাপড়ই কিনি। সাধারণত কাপড়গুলো নিউমার্কেট থেকেই কেনা হয়।

ফেন্সি কাপড়ের চেয়ে সুতি পরতে ভালোবাসেন সায়ান। ছবি: সংগৃহীত

প্রিয় ফ্যাশন/রিমন