
ইচ্ছে হলে ঘরেই তৈরি হয় সুস্বাদু মিষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
রসগোল্লার পুরভরা সন্দেশ: ক্ষীর কদম!
আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০১৭, ১৫:২৪
(প্রিয়.কম) মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম আছে। বিশেষ করে রসগোল্লার প্রতি তো বাঙালিদের আছে অন্যরকম একটি টান। কিন্তু ইদানিং পুরনো আমলের বাহারি মিষ্টিগুলো তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। আজ দেখে নিন এমনই একটি পুরনো মিষ্টির রেসিপি যা দেখতে যেমন, খেতেও তেমন অসাধারণ।
উপকরণ
ছানা তৈরির জন্য
- ২ লিটার দুধ
- ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস
রসগোল্লা তৈরির জন্য
- ১ চা চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ ময়দা
- ১ চা চামচ সুজি
- অল্প একটু হলুদ ফুড কালার
চিনির শিরার জন্য
- ২ কাপ চিনি
- ৩ কাপ পানি
- আধা টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো
ওপরের স্তরের জন্য
- ৩ কাপ মাওয়া গ্রেট করা
- ৩ টেবিল চামচ গুঁড়ো চিনি
- ২/৩ টেবিল চামচ দুধ
প্রণালী
১) মাঝারি আঁচে দুধ গরম করে নিন। ফুটতে শুরু করলে আঁচ কমিয়ে এতে লেবুর রস দিয়ে নেড়ে দিন। দুধ কেটে ছানা হয়ে এলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন এবং এভাবে রেখে দিন ৩-৫ মিনিট। একটি মিহি কাপড়ে ছানাটুকু ছেঁকে নিন। পানির ধারায় ধুয়ে নিন ২-৩ মিনিট, এতে লেবুর গন্ধ চলে যাবে। এরপর এই কাপড়ে ছানা বেঁধে আধা ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখুন পানি ঝরার জন্য।
২) আধা ঘন্টা পর ছানাটুকু বের করে মাখিয়ে নিন। হাতের তালু দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিন ৪-৫ মিনিট। এতে মিহি একটা ডো তৈরি হবে।
৩) এই ছানার সাথে দিন সুজি, ময়দা, চিনি এবং ৩-৪ ফোঁটা ফুড কালার। আবার মাখিয়ে নিন। হাতের তালু তেলতেলে হয়ে আসা পর্যন্ত মাখিয়ে নিন। এরপর এর থেকে ১৫-১৬টি ছোট ছোট বল গড়ে নিন।
৪) আরেকটি বড় পাত্র নিন। এতে চিনি ও পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। ফুটে এলে এলাচ গুঁড়ো দিন। ৫ মিনিট পরে ছানার বলগুলো দিয়ে দিন এতে। ঢাকনা চাপা দিয়ে মাঝারি আঁচে রাখুন ২৫ মিনিট।
৫) এই সময়ের পর ঢাকনা খুলে নিন ও আঁচ বন্ধ করে দিন। রসগোল্লাগুলোকে শিরায় রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর শিরা থেকে উঠিয়ে রাখুন ২০-২৫ মিনিট।
৬) একটি বড় পাত্রে মাওয়া, চিনি ও দুধ মিশিয়ে ডো তৈরি করুন। এই ডো থেকে বল গড়ে সেটাকে আবার চ্যাপ্টা করে নিন। এর মাঝে একটি রসগোল্লা রেখে বন্ধ করে দিন। হাতের তালুতে গড়িয়ে বল তৈরি করে নিন। এভাবে মাওয়ার মাঝে রসগোল্লা দিয়ে সবগুলো মিষ্টি তৈরি করে নিন।
৭) একটি প্লেটে আধা কাপ গুঁড়ো দুধ এবং আধা টেবিল চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে নিন। মিষ্টিগুলোকে এতে গড়িয়ে নিন। ব্যাস, পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে গেলো ক্ষীর কদম!
মাঝখান দিয়ে কেটে পরিবেশন করতে পারেন সুস্বাদু ও চোখ জুড়ানো ক্ষীর কদম।
সূত্র: মিক্স অ্যান্ড স্টার
সম্পাদনা: রুমানা বৈশাখী