নাগরিকেরা কেন সেবাবঞ্চিত থাকবেন

প্রথম আলো নগর ভবন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৫, ০৯:৫৬

এক মাসের বেশি সময় ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যালয় নগর ভবন তালাবদ্ধ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা খোলার কোনো উদ্যোগ নেই। ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন ঘোষণা দিয়েছেন, ‘প্রধান ফটকের তালা খোলা হবে না, এটা আন্দোলনের একটা প্রতীক। জনগণের দৈনন্দিন সেবা আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু থাকবে।’


আদালতের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের পদ ফিরে পাওয়ার পর শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার প্রতিবাদে গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। পরদিন এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও যুক্ত হন। ওই দিন নগর ভবনের মূল ভবনের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১৫ মে থেকে নগর ভবনের সব ধরনের নাগরিক সেবা প্রদান বন্ধ আছে।


১৯ মে স্থানীয় সরকারবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় বলেছিলেন, ‘গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে বিএনপি আন্দোলন করছে।’ মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ না হওয়ার পেছনে ১০টি জটিলতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এসব জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়।’



সর্বশেষ গতকাল সোমবার নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, মেয়র হিসেবে তাঁকে শপথ না পড়ানোর বিষয়টি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সময় ব্যানারে ইশরাক হোসেনের পদবি লেখা ছিল ‘মেয়র’। শপথ নেওয়ার আগে নামের আগে ‘মেয়র’ লেখা কোনো বিবেচনাতেই যৌক্তিক হতে পারে না। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী সরকার যদি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তাঁকে শপথ পড়িয়ে না থাকে, তবে তা আইনিভাবে মোকাবিলার পথ ধরতে হবে। কোনোভাবেই নিজের নামের আগে মেয়র পদবি বসিয়ে নয়।


অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, ‘উলুখাগড়া’ জনগণের প্রাণ যায়। এখানে কার বক্তব্য সঠিক বা বেঠিক, সেই বিতর্কের চেয়েও জরুরি কথা হলো, মাসাধিককাল ধরে নগর ভবন বন্ধ থাকতে পারে না। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় যে প্রায় এক কোটি নাগরিকের বাস, তাঁরা তো সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন না। উপদেষ্টার ভাষায় ইশরাক হোসেন যদি গায়ের জোরে নগর ভবন বন্ধ করে থাকেন, তাহলে সরকার কেন খোলার ব্যবস্থা করছে না? এ ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদেরও দায় আছে। তাঁরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করতে পারেন না।


ইশরাক হোসেন বলেছেন, তাঁদের ব্যবস্থাপনায় জন্মনিবন্ধনসহ জনগণের জরুরি সেবাগুলো দেওয়া হবে। এর অর্থ দেশের অন্যত্র অন্তর্বর্তী সরকারের শাসন কার্যকর থাকলেও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সেটা থাকবে না। ইতিমধ্যে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তঁাদের ব্যবস্থাপনায় জনগণ জরুরি সেবা পেলেও সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকবে। এই বর্ষা মৌসুমে ঢাকার রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। অর্থবছরের শেষে এসে উন্নয়নকাজ বন্ধ থাকায় জনগণ আরও বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য প্রত্যাশিত নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও