
দখল-ভগ্নদশায় শ্রীহীন ঢাকার যাত্রী ছাউনি, যেখানে দরকার সেখানে নেই
ঢাকার বনানীর কাকলী পদচারী সেতুর পূর্বপাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে মগবাজারগামী বাসের অপেক্ষা করছিলেন নাজমুল হুদা। বাস আসার আগেই আচমকা শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। দৌড়ে পাশের একটি যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু ছাউনিতে অসংখ্য ফুটো। ভিতরে আর বাইরে খুব পার্থক্য রইলো না। ভিজে হলেন একাকার।
তেঁজগাও সাতরাস্তা মোড়ের যাত্রী ছাউনির চিত্রটি আবার ভিন্ন। মোড়ের পূর্ব-উত্তর কোণে রয়েছে একটি কংক্রিটের পুরোনো যাত্রী ছাউনি। এর একাংশ দখল করে গড়ে উঠেছে একটি দোকান। আরেকাংশে যাত্রীদের বসা বা দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যাত্রী ছাউনি থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা। ফলে যাত্রীদের বাইরে দাঁড়িয়েই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
মৎস্য ভবনের পশ্চিম পাশে তথা রমনা পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের ফুটপাতটি মাত্র আট ফুট চওড়া। এরই মাঝ বরাবর ৬ ফুট চওড়া স্টিলের যাত্রী ছাউনি। তার মধ্যে বসানো হয়েছে বেঞ্চ। অথচ এখানে কোনো বাস যাত্রী তুলতে দেখা যায়নি। ছাউনিতে বিভিন্ন রঙের ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এক হকার।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অধিকাংশ যাত্রী ছাউনির চিত্র এমনই। যেখানে যাত্রী ছাউনি দরকার, সেখানে নেই। আবার যেখানে ছাউনি আছে, সেখানে দাঁড়ানো বা বসার ব্যবস্থা নেই। যেগুলোতে বসার ব্যবস্থা আছে তাও আবার হকার, ভাসমান লোকজনের দখলে।
নগরবাসীর অভিযোগ, নগরে মানুষের তুলনায় যাত্রী ছাউনির সংখ্যা খুবই কম। আবার যে কয়েকটি যাত্রী ছাউনি আছে, তা নাগরিক সুরক্ষায় তেমন কোনো ভূমিকা রাখছে না। অথচ চলার পথে রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে যাত্রী ছাউনি খুবই জরুরি। এ দুর্ভোগ লাঘবে নগর কর্তৃপক্ষের কোনো ভূমিকাই যেন নেই। উল্টো তাদের নজরদারির অভাবে অনেক যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে গেছে। বিষয়টি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে গুরুত্ব দিতে হবে।