ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্যঃ ঘুরে আসুন ধুপপানি ঝর্ণা

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৭, ০৮:০০
আপডেট: ১৩ মে ২০১৭, ০৮:০০

১৫০ মিটার উচ্চতার ঝর্ণা ধুপপানি। ছবি- সংগৃহীত
 
(প্রিয়.কম) বিলাইছড়ির গহিনে সুবিশাল ধুপপানি ঝর্ণাটি সম্প্রতি মনোযোগ কেড়েছে রোমাঞ্চপ্রিয় অনেক ভ্রমণকারীর। তঞ্চঙ্গা শব্দে ধুপ মানে সাদা আর পানি তো পানিই। অনেক উচ্চতা থেকে প্রবল বেগে যখন নেমে আসে ঝর্ণার জল তখন শুভ্র জলধারা ছাড়া আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না তাই রঙ বুঝেই এর এই নাম।
 
এত রূপবান হওয়ার পরও ঝর্ণাটি দীর্ঘদিন ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। ২০০০ সালে এক বৌদ্ধ ভান্তে এখানে আসেন ধ্যান করার উদ্দেশ্যে। নিরিবিলি জনমানবহীন পরিবেশে ঈশ্বরের আরাধনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিছুদিনের মাঝে কাছাকাছি এলাকার অধিবাসীরা তাঁর কথা জানতে পারেন এবং তাঁর সেবা করার উদ্দেশ্যে এখানে আসতে থাকেন। এভাবে পরিচিতি পেতে থাকে ঝর্ণাটি।
 
ভ্রমণকারীদের প্রিয় হয়ে উঠছে ঝর্ণাটি। ছবি- সংগৃহীত
 
ভুপৃষ্ঠ থেকে ধুপপানির উচ্চতা ১৫০ মিটার। ২ কিলোমিটার দূর থেকে ঝর্ণার চঞ্চল শব্দ কানে আসে। বর্ষায় তো আরও দূর থেকে টের পাবেন আপনি তার অস্তিত্ব। তবে যে কোন সময় নয়, ঝর্ণায় যেতে হবে শুধু রবিবারে। ধর্মীয় উপাসনার স্থান হিসেবে প্রসিদ্ধ ধুপপানির পাহাড়টিতে নিরবতাই পছন্দ করেন ভান্তে। শুধু রবিবারে নেমে আসেন তিনি। বাকি ৬ দিন তাঁর গভীর ধ্যানকে নির্বিঘ্ন রাখতে ভ্রমণকারীদের গমনকে অনুৎসাহিত করা হয়।
 
গুগল ম্যাপে বিলাইছড়ি।
 
কীভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে সরাসরি কাপ্তাই জেটির বাসে উঠবেন। কাপ্তাই জেটিতে নামার পর বিলাইছড়ি যাবেন ট্রলারে। পুরো ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন আবার লোকাল ট্রলারেও যেতে পারেন। লোকাল ট্রলার ছাড়ার সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিট এবং দুপুর ১টা। বিলাইছড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে নিতে পারেন। সংগে কিছু শুকনো খাবারও নিন। কারণ এখনো পথ বাকি অনেকটা।
 
বিলাইছড়ি থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে যাবেন উলুছড়ি পর্যন্ত। পাহাড়ি ঢলের এই নদী পার হতে সময় লাগবে ২ থেকে আড়াই ঘন্টা। উলুছড়ি থেকে গাইড নেবেন। নৌকায় পাড় হতে হবে আরও কিছু পথ। এরপর হেঁটে পৌছবেন ধুপপানি পাড়া। হাঁটতে হবে ২ ঘন্টার মতো। ধুপপানি পাড়া থেকে ২০০ মিটার নিচে এই স্বর্গীয় ঝর্ণার অবস্থান।
 
কোথায় থাকবেনঃ
বিলাইছড়িতে থাকার জন্য কটেজ আছে। স্বল্প ভাড়ায় থাকা-খাওয়া উভয়ের ব্যবস্থাই হয়ে যাবে।
 
সতর্কতাঃ
ঝর্ণাটি অনেক গহীন এলাকায়। তাই অবশ্যই গাইড ছাড়া যাবেন না। ট্রাকিং এর উপযোগী ভালো জুতা নিন। ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক গ্রহণ করুন যাওয়ার আগে থেকে। আপনার সংগে জরুরি অন্যান্য জিনিসের সাথে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রটি অবশ্যই রাখুন।
 
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান।
 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।