কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চৌবাচ্চায় জমে থাকা পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। ছবিটি তোলা হয়েছে বুধবার রাজধানীর আবাহনী ক্লাব মাঠের উত্তর-পূর্ব কর্নার থেকে। ছবি: প্রিয়.কম

বাড়ছে ডেঙ্গু, করণীয় কী?

তানজিল রিমন
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১, ২৩:৫৬
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১, ২৩:৫৬

করোনার সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বগতির দিকে, তখন ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সামনে আরও খারাপ অবস্থা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে মশাবাহিত এই রোগ মোকাবিলায়।

২৮ জুলাই বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৩ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই ১৫০ জন। এই নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯৮ জনে দাঁড়াল। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সন্দেহে চারজনের তথ্য পর্যালোচনা করছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৬৮ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৫৭ জন। ঢাকার বাইরে চিকিৎসাধীন আছেন ১১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৫২৬ জন।

মোহাম্মদপুর থানার সামনে দীর্ঘদিন থেকে রাখা (জব্দ করা গাড়ি) একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে জমে আছে পানি। বুধবার বিকেলে এখানে এডিস মশার লার্ভাও দেখা গেছে। ছবি: প্রিয়.কম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলার বাসিন্দা সুমাইয়া বেগম তার ছয় বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে ধানমন্ডির একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসেছেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে। শিশুটির দুদিন ধরে জ্বর। সুমাইয়া জানান, জ্বরের পাশাপাশি হাতে ও পায়ে রেশ উঠেছিল, যদিও এখন কমে গেছে। তবে শরীরে ব্যথা আছে।

অন্তঃস্বত্ত্বা আকলিমা তিন দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা আকলিমা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো রক্তের সিবিসি পরীক্ষা করিয়েছেন। এই পরীক্ষায় প্লাটিলেট প্রথম দিনের চেয়ে বেড়েছে বলে জানান তার স্বামী সোলায়মান হক। তিনি বলেন, “খুব ভয়ে ছিলাম। তবে ডাক্তার বলছে ভয়ের কিছু নাই। বেশি করে পানিজাতীয় খাবার খেতে এবং রক্তে প্লাটিলেট চেক করতে বলেছে। সেটাই করছি।”

ডেঙ্গু নাকি করোনা?

করোনা ও ডেঙ্গু-দুটোর ক্ষেত্রেই প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে শরীরে চামড়ায় লালচে দাগ (র‌্যাশ ওঠা), গায়ে ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়ে থাকে। অনেক সময় বমি বা কাশিও হতে পারে।

করোনা ও ডেঙ্গুর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। তিনি বলেন, “করোনার ক্ষেত্রে সাধারণত সর্দি বা ঠান্ডা-কাশি হয়ে থাকে। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে ঠান্ডা-কাশি হয় না বললেই চলে। তবে অন্যদিকে নাকে ঘ্রাণ না পাওয়া এবং পাতলা খায়খানা হওয়া করোনার লক্ষণ।”

অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বলেন, “এই সময়ে জ্বর হলে করোনা এবং ডেঙ্গুর দুটোরই পরীক্ষা করতে হবে। অবহেলা করা যাবে না। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে আসলে কী হয়েছে।”

প্রায় একই কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতি জ্বর হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর পরীক্ষাও করাতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষা বিনামূল্যে করানোর ব্যবস্থা আছে। সরকারি ও বেসরকারি সব হাসপাতালেই এই দুটির পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করলে আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারব।”

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের শিশু বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আল আমিন মৃধা বলেন, “ডেঙ্গু থেকে শিশুদের রক্ষা করতে মশার কামড় থেকে দূরে থাকতে হবে। মশা যেন না কামড়ায় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। আর জ্বর হলে পাশাপাশি শরীরে রেশ উঠছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে, এমনটা হলে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করাতে হবে। পেটব্যথা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

ডেঙ্গু হলে করণীয় কী?

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু হলে ঘাবড়ে যাওয়া কিছু নেই। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগে সাধারণত ‍শুধুই জ্বর থাকে। বিশ্রাম নিয়েই সেরে ওঠে রোগী, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় না।

দ্বিতীয় ভাগের রোগীদের জ্বরের পাশাপাশি বমি হয় বা প্রচণ্ড পেটব্যথা হয়। কখনো কখনো জ্বর থেকে সেরে ওঠার পর শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

তৃতীয় ভাগের রোগীদের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে থাকে, তখন আইসিইউ-এরও প্রয়োজন হতে পারে।

ডেঙ্গু হলে রক্তে যেন প্লাটিলেট কমে না যায় এবং ব্লাড প্রেসার না কমে সেদিকে খেয়াল রেখে সাধারণত বাড়িতেই চিকিৎসা নেওয়া যায়। পূর্ণ বিশ্রামে থেকে এ সময় প্রচুর পরিমাণ তরল-জাতীয় খাবার পান করতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাড়তি কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।

সাধারণত ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে সিরিয়াস অবস্থা না হলে বাসায় থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হয় বলে জানান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইদ্রজিৎ প্রসাদ। তিনি বলেন, “ডেঙ্গু হলে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খেতে হবে। পানি, স্যালাইন, ডাবের পানি, ডাল, ঘরে তৈরি ফলের রস, স্যুপসহ তরল পানীয়ের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নিয়মিত প্লাটিলেট পরীক্ষা করতে হবে। প্লাটিলেট বেশি কমে গেলে তখন হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ব্লাড প্রেসার চেক করতে হবে। ব্লাড প্রেসার কমে গেলেও হাসপাতালে নিতে হবে।”

এ ছাড়াও রোগী কিছু খেতে না পারলেও হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিরোধে করণীয় কী?

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, “এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে ছড়ায়। আর এডিস সাধারণত আশপাশে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে হয়ে থাকে। এজন্য পানির পাত্র, ফুল বা গাছের টব, চৌবাচ্চা, ছাদে পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। এসব পরিষ্কার রাখতে হবে। এডিস মশার বংশবৃদ্ধি রোধে মানুষের পার্টিসিপেশনটা খুব জরুরি।”

মোহাম্মদপুরের একটি ভবনের ছাদে চৌবাচ্চা। বৃষ্টি হলেই এতে জমে থাকছে পানি। ছবি: প্রিয়.কম

তিনি বলেন, “ঢাকার অনেক এলাকায় সবসময় ওয়াসার লাইনে পানি থাকে না। ফলে যখন পানি থাকে, তখন অনেকেই ড্রাম বা কোনো পাত্রে পানি ধরে রাখেন। প্রতিদিন সেই ড্রামে পানি রাখলেও তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এতে সহজেই এডিস মশা লার্ভা সৃষ্টি করতে পারছে। এ ছাড়াও ঢাকায় সারা বছরই ভবন নির্মাণ হয়। এসব নির্মাণাধীন ভবনের কাজ চলে কয়েক বছর ধরে। অনেক সময় ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়ায় এটার সময় আরও বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে এসব নির্মাণাধীন ভবনে ইট ভেজানোর জায়গা থাকে, লিফটের জন্য গর্ত থাকে, ভবনের বিভিন্ন তলায় দেওয়া পানি জমে থাকে। এসব কারণে প্রচুর মশার জন্ম হচ্ছে।”

কবিরুল বাশার আরও জানান, ঢাকার ফ্ল্যাটগুলোতে এখন যারা নেই অর্থাৎ ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়েছেন, তাদের ফ্ল্যাটের বাথরুমের হাইকমোডগুলোও ডেঙ্গু মশার প্রজননক্ষেত্র। এজন্য বাইরে গেলে বা তিন দিনের বেশি সময় ব্যবহার না করলে হাইকমোডের ঢাকনা বন্ধ করে রাখতে হবে।

ডেঙ্গুর প্রকোপে ঢাকা শহর পুরোটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে জাবি’র এই অধ্যাপক বলেন, “এই মুহূর্তে চিরুনি অভিযান চালানো ছাড়া বিকল্প নেই। ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মী এবং স্থানীয় যুবক-তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এই অভিযানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে, পানি জমে থাকে এমন পাত্র উল্টে রাখতে হবে। কারণ এডিস মশা জন্ম নেয় জমে থাকা পানিতে। পাশাপাশি উড়ন্ত মশাগুলোকে মারার জন্য কীটনাশকের ফগিং করতে হবে।”

তবে এডিস মশা কামড়ালেই যে ডেঙ্গু হবে এমন নয় বলে জানান কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, “সংক্রমিত এডিস মশা যদি কাউকে কামড়ায় তারপরই ডেঙ্গু হয়ে থাকে। এডিস মশা যেন না কামড়ায়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।”

ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে ছবিটি ১৩ জুলাই তোলা। ছবি: স্টার মেইল

কী করছে সিটি করপোরেশন? 

ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংসে ও মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। মানুষের মাঝে সচেনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে এবং নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কার‌ও মৃত্যু না হয়, সেজন্যই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ২৭ জুলাই থেকে ৭ই আগস্ট পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রত্যেককে সচেতন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববান হয়ে নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তারকে রোধ করতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।”

বুধবার নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে মেয়র মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় এসব বলেন।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৭টি মামলায় সর্বমোট দুই লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

কীটনাশক দিচ্ছেন সিটি করপোরেশনের একজন কর্মী। ছবি: প্রিয়.কম

অন্যদিকে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, “ছাদে বা প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে থাকলে আমাদের জানান। আমরা উপস্থিত হবো, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হবে। আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। তাই আমাদেরকে তথ্য দিন। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। কারণ তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন।”

বুধবার সকালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ঢাকা ম্যাচ কলোনির এলাকার জলাবদ্ধতা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এসব বলেন।

ডিএসসিসি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানিয়েছেন, এডিসের প্রজনন নিয়ন্ত্রণে বুধবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৪ নির্মাণাধীন ভবন ও বাসাবাড়িকে ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।