কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্নে দুই পর্নো তারকার নাম। ফাইল ছবি

পর্নো তারকার প্রশ্নপত্র প্রণেতা সেই শিক্ষক বরখাস্ত

মোক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৪১
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৪১

(প্রিয়.কম) দুই পর্নো স্টার সানি লিওন এবং মিয়া খলিফার নাম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শংকর চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে।

২০ শনিবার, এপ্রিল রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয় প্রকাশ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। যে ভুল হয়েছে তা খুবই লজ্জাজনক। স্কুল বন্ধ থাকায় প্রশ্নপ্রণেতা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটু দেরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযাযী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। লজ্জাজনক প্রশ্নপত্র তৈরির কারণ জানতে চেয়ে তাকে শোকজও করা হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে তাকে।

এদিকে ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার রাজধানীর তিতুমীর কলেজ কেন্দ্রে শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার দুটি প্রশ্নে পর্নো তারকার নাম আসার বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেও বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের বহু নির্বাচনি অংশের দুটি প্রশ্নের উত্তরে চারটি অপশনের একটিতে দুই পর্নো স্টার সানি লিয়ন এবং মিয়া খলিফার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে এমন অসংলগ্নতায় সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রশ্নপত্রে কীভাবে পর্নো তারকার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়, তা দেখে রীতিমতো হতবাক অভিভাবকরা।

একটি বহু নির্বাচনি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য যে চারটি উত্তর দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে পর্নো তারকা মিয়া খালিফার নাম! তবে তার নাম লেখা হয়েছে ‘মিয়া কালিফা’।

আরেকটি প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘আম-আটির-ভেঁপু’ কার রচিত? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য চারটি উত্তরের একটি নাম সানি লিয়ন।

প্রিয় সংবাদ/আজাদ চৌধুরী