কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কুঁচকির পাশাপাশি বগল, পেটের ভাঁজ এমনকি পায়ের আঙুলের ফাঁকেও চুলকানির সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত

অসহ্য এই চুলকানির শিকার কি আপনিও?

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৪
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৪

(প্রিয়.কম) কুঁচকিতে চুলকানি খুবই বিব্রতকর একটি সমস্যা। চুলকালে সমস্যাটি আরও বেড়ে যায়, সংবেদনশীল ত্বকে ঘা হয়ে যাওয়াটাও অসম্ভব নয়। কিন্তু এই সমস্যাটি কেন হচ্ছে, আর দূর করবেন কীভাবে?

এ সমস্যার পেছনে বেশকিছু কারণ থাকতে পারে, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট থেকে শুরু করে ইনফেকশন পর্যন্ত। দেখে নিন এই চুলকানির সবচেয়ে বড় ৭টি কারণ—

১) ফাঙ্গাল ইনফেকশন

সাধারণত চুলকানির পাশাপাশি র‍্যাশ থাকতে পারে এক্ষেত্রে। কুঁচকির পাশে, যৌনাঙ্গে ও উরুতে এই র‍্যাশ হতে পারে। মূলত কুঁচকিতে আর্দ্রতা বেশি থাকলে এমনটা হয়। ঘামে ভেজা পোশাকে বেশি সময় থাকবেন না। বিশেষ করে জিম করার পর সেই পোশাক দ্রুত পাল্টে ফেলুন।  সাধারণত অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।

২) ঘর্ষণ

সাধারণত দৌড়ানো বা সাইক্লিং করলে ত্বকে ঘষা লেগে চুলকানি হতে পারে। ঘর্ষণে ত্বকে সূক্ষ্ম ফাটল ও প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এ সমস্যা দেখা দিলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন জিংক ক্রিম। আর ব্যায়ামের সময় অ্যাথলেটিক সাপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন অন্তর্বাসের নিচে। এটি ঘর্ষণ রোধ করে।

৩) ইন্টারট্রিগো

যন্ত্রণাদায়ক লালচে একধরণের র‍্যাশ হয়ে থাকে, যা চুলকায় ও জ্বলে। ঘামে ভেজা জায়গায় এই সমস্যাটি বেশি হয়। কুঁচকির পাশাপাশি বগল, পেটের ভাঁজ এমনকি পায়ের আঙুলের ফাঁকেও তা হতে পারে। এটা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহার করলে চলে যেতে পারে।  এই র‍্যাশ এক সপ্তাহের বেশি থাকলে ডার্মাটোলজিস্ট দেখানো উচিত।

৪) কনটাক্ট ডার্মাটাইটিস

সাধারণত কোনো নতুন রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে এ সমস্যাটি হয়। তা হতে পারে নতুন ডিটারজেন্ট, পারফিউম বা পাউডার। খুব চুলকানিযুক্ত, ফুলে থাকা র‍্যাশ হতে পারে, এমনকি তা থেকে বর্ণহীন বা হলদেটে তরল বের হতে পারে। মূলত ওই রাসায়নিকের অ্যালার্জি থেকে এ সমস্যা হয়। ভেবে দেখুন, কী পণ্য ব্যবহারে এ সমস্যা হয়েছে। ওই পণ্য ব্যবহার বন্ধ করে দিন। দুই সপ্তাহের মাঝে সমস্যাটি চলে যাবে।

৫) উকুন

এই সমস্যায় কুঁচকিতে চুলকানির পাশাপাশি ওই অঞ্চলের চুলে থাকতে পারে ক্ষুদ্র, সাদা সাদা খুশকির মতো সমস্যা। একে পিউবিক লাইস বা ক্র্যাবস বলা হয়। ভালোভাবে খেয়াল করলে সাদাটে উকুন দেখতে পাবেন।  নিঃসন্দেহে ডাক্তার দেখানো উচিত এক্ষেত্রে। এরপর আপনাকে উকুন দূর করার লোশন বা শ্যাম্পু দেওয়া যেতে পারে। এটি যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কিন্তু উকুন আছে এমন বিছানা বা তোয়ালে থেকেও ছড়াতে পারে।

৬) হার্পিস

হার্পিস একটি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন বা যৌনরোগ। সাধারণত চুলকানি থেকে জ্বালাপোড়ার মতো অনুভূতি হয়, এরপর এখানে এক বা একাধিক ফোসকা হতে পারে।  ফোসকা ফেটে ব্যথা আরও বাড়াতে পারে। এক্ষেত্রেও ডাক্তার দেখানো দরকার।

৭) জেনিটাল ওয়ার্ট বা আঁচিল

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি ভাইরাসের কারণে জেনিটাল ওয়ার্ট হতে পারে। ওয়ার্ট দেখতে আঁচিলের মতো, কখনো কখনো ফুলকপির মতো ছড়ানো হতে পারে।  এতে চুলকানি ছাড়া অন্য সমস্যা সাধারণত দেখা যায় না। এমন আঁচিল হলে ডাক্তার দেখাতে হবে। কিছু ওষুধ ব্যবহারে তা দূর হয়ে যায়। তবে জেনিটাল ওয়ার্ট একবার হলে বারবার হতে পারে।

সূত্র: ইয়াহু লাইফস্টাইল

প্রিয় লাইফ/রিমন