কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

২০০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে মতিচুরের লাড্ডু

Nusrat Sharmin Liza
লেখক
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৩, ০৪:৫২
আপডেট: ২২ আগস্ট ২০১৩, ০৪:৫২

ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে মতিচুরের লাড্ডু জনপ্রিয় একটি মিষ্টি। বিশেষ করে দিল্লীর মতিচুরের লাড্ডুর সুখ্যাতি তো সারা বিশ্বজুড়ে। বিয়ে, পান চিনি, ঈদ, পূজা, জন্মদিন বা যে কোনো আনন্দের অনুষ্ঠানেই মতিচুরের লাড্ডুর উপস্থিতি থাকেই থাকে। বেসন ও চিনির সিরাই এই লাড্ডুর প্রধান উপকরণ। এছাড়াও বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি নানান উপকরণ ব্যবহৃত হয়। আসল স্বাদ পেতে ভাজার জন্য ব্যবহার করা হয় খাঁটি ঘি। মতিচুরের লাড্ডুর উৎপত্তিঃ লাড্ডু শব্দটি সংস্কৃত শব্দ লাড্ডুকা বা লাত্তিকা থেকে এসেছে যার অর্থ ছোট বল। আর হিন্দিতে মতি শব্দের অর্থ মুক্তা। চুর অর্থ ভাঙ্গা বা চূর্ন-বিচুর্ন করা। অর্থাৎ মতিচুর মানে মুক্তার ভাঙ্গা গুঁড়া। ছোট ছোট মুক্তা দানার মতো বুন্দিয়া বানিয়ে সেগুলোকে একসাথে হাতে চেপে তৈরি হয় মতিচুরের লাড্ডু হয়। আর এইজন্যই এমন চমৎকার নামের নামের উৎপত্তি। মতিচুরের লাড্ডু ভারত উপমহাদেশের একটি প্রাচীন মিষ্টি। এর বয়স দুই হাজার বছরেরও বেশি। ধারণা করা হয় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে বিহারে এর উৎপত্তি হয়। পুষ্টিগুণঃ একটি লাড্ডুতে ৩৬২ ক্যালরি থাকে। ফ্যাট থাকে ৪১%, কোলেস্টেরল ২২%, ১০% কার্বহাইড্রেট ও ৭% প্রোটিন থাকে। মতিচুরের লাড্ডুর রেসিপিঃ মতিচুরের লাড্ডু কিনতে গেলে তো বেশ খরচ। আর আমাদের দেশে সব দোকানে এই লাড্ডু পাওয়াও যায়না। অনেকেই নিজে বানিয়ে খেতে ভালোবাসেন। রেসিপিটা জানা থাকলে যখন-তখন তৈরি করা যাবে প্রিয় এই লাড্ডু। আসুন জেনে নেয়া যাক মতিচুরের লাড্ডুর রেসিপি।

উপকরণঃ ১/২ কেজি বেসন ১/৩ কাপ দুধ ১ টেবিল চামচ পেস্তা কুচি ১/২ কেজি চিনি ১ টেবিল চামচ কিসমিস ১ চিমটি বেকিং সোডা কয়েক ফোঁটা কমলা ফুড কালার/ জাফরান দানা (ঐচ্ছিক) ভাজার জন্য ঘি প্রস্তুত প্রণালিঃ বুন্দিয়া তৈরি করতে-
  • বেসন ও বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • ২ টেবিল চামচ ঘি ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রন তৈরি করুন। প্যান কেকের ব্যাটার বা বেগুনী ভাজার বেসন গোলার মতন হবে ঘনত্বে।
  • ঘি গরম করে ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে বেসনের মিশ্রণ তেলে দিন।
  • বুন্দিগুলো ভালো করে লাল করে ভেজে নিন। সবটুকু বেসনের বুন্দি ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন।
লাড্ডু তৈরি করতে-
  • আরেকটি চুলায় চিনির ও পানি মিশিয়ে শিরা বানাতে দিন।
  • শিরায় দুধ ও ফুড কালার দিন।
  • শিরা ঘন ও আঠালো হয়ে গেলে শিরায় বুন্দিগুলো দিয়ে দিন।
  • কিসমিস ও পেস্তা বাদাম মিশিয়ে দিন। মিশ্রণ শুকিয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
  • হাতের তালুতে ঘি মেখে নিন
  • মিশ্রণটি হাতে ধরার মতো সহনশীল মাত্রার গরম থাকতেই হাতের তালুতে ঘুরিয়ে গোল আকৃতি দিন।
  • চাইলে দোকানের কেনা বুন্দিয়া দিয়েও তৈরি করতে পারবেন। বুন্দিয়ার আকৃতি আপনার ইচ্ছা মতন বড়/ছোট হতে পারে। সাজান পছন্দমতন। রেসিপি জানা হয়ে গেলো। এইবার বানিয়ে ফেলুন মজাদার মতিচুরের লাড্ডু। উপরে বাদাম দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।