ভালো খাবার খেলে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো হবে সে কথা আমরা সবাই জানি। শুধু স্বাস্থ্য ভালো হওয়া নয়, বেশি ভালো খাবার খুব বেশি পরিমাণে খেলে মুটিয়ে যেতেও সময় লাগবে না। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভালো খাবারের আছে অসংখ্য মানসিক স্বাস্থ্য উপকারিতা? হ্যাঁ, ভালো খাবার আপনাকে মানসিক ভাবেও উপকৃত করে। এমনকি অনেক মানসিক রোগের চিকিৎসা পর্যন্ত হতে পারে ভালো খাবার দিয়ে। আসুন, আজ আমরা জেনে নেই কেন খেতে হবে ভালো খাবার!

মন ভালো রাখে

অনেকেই হয়তো শুনে ভ্রু কুঁচকে ফেলবেন। কিন্তু এটা সত্যি যে ঠিক করে খাওয়া দাওয়া মানুষের মন ভালো রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। অন্যদিকে একজন মানুষ যদি দিনের পর দিন খারাপ খাবার কিংবা বাজে রান্না খেতে থাকেন, তিনি হয়ে ওঠেন ক্রমশ খিটখিটে। এমনকি হতাশাতেও আক্রান্ত হন।

বিষণ্ণতা দূর করে

কিছু বিশেষ খাবার উপদান বিষণ্ণতা দূর করে আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশেষ খাবার ছাড়াই, ভালো সুস্বাদু খাবার যে বিষণ্ণতা দূর করে সেটা অনেকেই বোঝেন না। খুব মন খারাপের সময়ে নিজের প্রিয় একটি খাবার খেয়ে নিন, দেখবেন বিষণ্ণতা কমে গেছে অনেকটাই।

স্ট্রেস কমায়

হতাশা ও কষ্টের সময়ে আমরা অনেকেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেই। অথচ জানেন কি, এই কাজটি আপনার হতাশার পরিমাণকে আরও বাড়ায়? হতাশ হলে, নিজেকে নিঃশেষিত মনে হলে, কিংবা অফিসে কাজের চাপে অস্থির লাগলে একটা লম্বা ব্রেক নিন। এই ব্রেকে নিজেকে ট্রিট দিন। ভালো কিছু খান, খেতে খেতে পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করুন বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন। দেখবেন হতাশা ও কাজের চাপ কোথায় পালিয়ে গেছে।

আত্মহত্যা প্রবণতা কমায়

একজন মানুষ আত্মহত্যা কেন করেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয় নিঃসঙ্গতার করাল গ্রাস থেকে বাঁচার জন্য। একজন মানুষ যখন দেখেন যে পৃথিবীতে তাঁর আপন কেউ নেই, তখনই তিনি বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। ডাক্তারের নিঃসঙ্গ ও আত্মহত্যাপ্রবণ রোগীদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন ভালো খাওয়া দাওয়া করার জন্য। আত্মহত্যার চাইতে খাবারকে বন্ধু ভেবে নেওয়া ভালো। তাই না?

কর্মদক্ষতা বাড়ায়

অনেকেই মনে করেন বেশি খাওয়া দাওয়া করলে মানুষ আলসে হয়ে যায়। অথচ মজার ব্যাপারটা হচ্ছে ভালো খাবার বাড়ায় মানুষের কর্মদক্ষতা। যে ব্যক্তি সকালে সুস্বাদু নাস্তা করে কর্মক্ষেত্রে আসেন, সেই মানুষটি তাদের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করেন যারা কিনা না খেয়ে কাজে আসেন।