কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছবি সংগৃহীত

ফারুকী ভাই আর মারজুক রাসেল ভাই আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১০:৪৫
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ১০:৪৫

ছবি: ফেসবুক

(প্রিয়.কম) মুসাফির সৈয়দ। খুব অল্প কিছু চরিত্রে অভিনয় করেই দর্শকদের মাঝে নিজেকে চেনাতে পেরেছেন। মিডিয়ায় কাজ করছেন প্রায় দশ বারো বছর। এবারই প্রথম নাটক নির্মাণে আসলেন। আজকে তার নির্মিত নাটক কোকিল অথবা কাকতালীয় প্রচার হবে জিটিভিতে। তার অভিনয়ে ব্যস্ততা, নাটক নির্মাণ ও সিনেমা বিষয়ে ভাবনার কথা আলাপ করেন প্রিয়.কমের মাহমুদ উল্লাহ’র সঙ্গে।

প্রিয়.কম: মিডিয়াতে আপনার শুরুটা একটু বলেন।

বাচ্চু: আমি আসলে জীবনে কবি হতে চেয়েছিলাম। কবিতা দেখানোর জন্যই মারজুক রাসেল ভাইয়ের ওখানে যেতাম। কবিতা নিয়ে আড্ডা দিতাম। এভাবেই শরাফ আহমেদ জীবন ভাই আমাকে অভিনয়ের জন্য ডাকেন। এরপরই আমি ধীরে ধীরে নাটক সিনেমার কাজে জড়িয়ে যাই। এরপর কচি খন্দকার ভাই ও বস মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ভাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করি, অভিনয় করি। এভাবেই শুরু।

প্রিয়.কম: আপনাকে অনেকদিন অভিনয়ে দেখা যায়না, কেন?

বাচ্চু: একসঙ্গে দুটো কাজ করা যায়না। এতোদিন আমি নাটক সিনেমা বানানো শিখেছি। বস ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করে নিজেকে গড়েছি। তবে এখন থেকে আবার নিয়মিত অভিনয় করবো।

প্রিয়.কম:  প্রথম কাজ টিভিতে আজ প্রচার হবে? কেমন লাগছে?

বাচ্চু: এর আগেও আমি টিভিসি (টিভি কমার্শিয়াল) বানিয়েছি। কিন্তু এই নাটকটি আমাকে অনেক ভুগিয়েছে। মিউজিক নিয়ে সমস্যা হয়েছিলো। বেশিদিন শুট করেছি। প্রোমো ডাউনলোড হচ্ছিলো না। সব মিলিয়ে সত্যিই অনেক প্যারা খেতে হয়েছে। তবে আমরা যেহেতু এই কাজই করি। তাই সব স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছি। এখন দর্শক বলবে কেমন হলো। তবে নাটকটিতে তিশা ভাবি খুব শক্তিশালী অভিনয় করেছেন। মামুন ভাই এই নাটকের মাধ্যমে অনেকদিন পর অভিনয়ে ফিরলেন। সব মিলিয়ে অবশ্যই ভাল।

প্রিয়.কম: কোকিল অথবা কাকতাল? নামটা এমন কেন?

বাচ্চু: জীবনে বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা কাকতালীয়, তখন সত্যিই আজব লাগে। এমন ঘটনা কমবেশি সবার জীবনেই ঘটে। আর আমি যেহেতু আকাশ থেকে গল্প নামাতে পার না। জীবনের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকেই গল্প লেখি। এখানেও তেমন কিছু ঘটনা আছে। তাই নামটাও একটু এমন।

প্রিয়.কম: এটাই তো আপনার প্রথম কাজ? তো নিজের কাজটা করতে এতো দেরি কেন?

বাচ্চু: এতোদিন আমি আসলে শিখেছি। ফিল্ম মেকিং একটা সাগর। শেখার কোন শেষ নেই। ফারুকী ভাইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে, তিনি আমাকে হাতে কলমে শিখিয়েছেন। বিশ্ব সিনেমা জগৎ সম্পর্কে জানিয়েছেন। মারুজুক রাসেল ভাই আমাকে বিশ্বের সাহিত্য সম্পর্কে জানিয়েছেন। সত্যি বলতে কি যদি তাদেরকে না পেতাম জীবনে অনেক অজানা থেকে যেত। অনেক কিছু শেখা হতো না। তাদের কথা বলে আসলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আরেকটা কথা কি জানেন? তাদের সামনে আমি কথা বলতে পারি না।

প্রিয়.কম: অভিনয় না নির্মাণ? স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কোনটায়?

বাচ্চু: আমি দুটোতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে ত্রিশদিন যদি অভিনয় করতে হয় তবে আমি অনেক বেশি টায়ার্ড ফিল করি। কিন্তু নির্মাণে আমি তিনশো পয়ষট্টি দিন কেন আরো বেশি হলেও করতে পারি। শ্রম আমাকে ক্লান্ত করতে পারে না।

প্রিয়.কম: ঈদের নাটক তৈরি করলেন? বিভিন্ন টিভিতে প্রচারিত ঈদের নাটকগুলো কি দেখেছেন?

বাচ্চু: না, আমি নাটকের এডিটিং নিয়ে প্যানেলেই ব্যস্ত ছিলাম।

প্রিয়.কম: পরবর্তী কাজের পরিকল্পনা কি?

বাচ্চু: আমার একটি সিরিয়ালের গল্প হাফডান ছিল। সেটি শেষ করলাম। আমার পরবর্তী সিনেমারও স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ। এখন প্রডিউসার খুঁজবো।

প্রিয়.কম: সিনেমার গল্পটি কি ধরনের?

বাচ্চু: আমাদের চারপাশের ঘটনা নিয়েই গল্পটি লেখা। তবে মশলা জাতীয় বাণিজ্যিক নাচ-গান নির্ভর ছবি বানাবো না এটা শিওর।

প্রিয়.কম: ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

বাচ্চু: বিশ্বের সেরা ৫টি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আমার ছবি দেখানো হচ্ছে। এমনটাই নিজেকে দেখতে চাই।

প্রিয়.কম: শেষ কিছু কথা যদি বলতে চান?

বাচ্চু: কোন প্লান করে এখানে আসি নাই। আমার সময়ই আমাকে এখানে এনেছে। সামনে সিনেমাটাই বানাতে চাই। সিনমো একটি সারা জীবনের যুদ্ধের জায়গা। অনেক পরিশ্রম আর মেধার জায়গা। তবে হয়তো নাটক বা টিভিসি বানিয়ে হয়তো পেট চালাতে হতে পারে। তবে সিনেমাটাই বানাতে চাই।

প্রিয়.কম: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বাচ্চু: আপনাকে ও প্রিয়.কমকেও অনেক ধন্যবাদ।