ছবি সংগৃহীত

ধনঞ্জয় বিশ্বাস

farzana akter
লেখক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ১২:১১
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩, ১২:১১

২০১২ সালের ৫৩তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের খুদে গণিতবিদেরাও। এই ৫৩তম গণিত অলিম্পিয়াডেই প্রথমবারের মতো রৌপ্যপদক অর্জন করে বাংলাদেশ। আর এই অর্জনের নায়ক চট্টগ্রামের ছেলে ধনঞ্জয় বিশ্বাস। শিক্ষা চট্টগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগে পড়াশোনা করছেন ধনঞ্জয়। পরিবার ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাকখাইন গ্রামে জন্ম ধনঞ্জয়ের। ব্যবসায়ী বাবা মিলন কান্তি বিশ্বাস এবং স্বাস্থ্যকর্মী মা স্বপ্না রানীর দুই সন্তানের মধ্যে বড় ধনঞ্জয়। তাঁর ধ্যানজ্ঞান গণিত আর প্রোগ্রামিং। যেভাবে শুরু ২০০৮ সালে নবম শ্রেণীতে পড়াকালে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক গণিত অলিম্পিয়াডে প্রথমবার অংশ নেন। সেবারই ঢাকার জাতীয় পর্ব পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ পান ধনঞ্জয়। আর শুধু সুযোগই নয়, জাতীয় গণিত উৎসবে সেবার হন ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন’। ২০১০ সালে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পর্বে প্রথম হলেও এসএসসি পরীক্ষা থাকায় ঢাকা যাওয়া হয়নি। ২০১১ সালে আবার চট্টগ্রামে প্রথম এবং ঢাকায় ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য চ্যাম্পিয়ন’ হন। পরে গণিত ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে আইএমওতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান ধনঞ্জয়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর সারা দেশ থেকে গণিত উৎসবের মাধ্যমে এ জন্য শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়। সাফল্য ২০১২ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ২৪তম আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াডে (আইওআই) প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান করে বাংলাদেশের পক্ষে দুই জন ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে। ৮১টি দেশের ৩১৭ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ব্রোঞ্জ পদকজয়ী দুই বাংলাদেশির মধ্যেও একজন ধনঞ্জয়। আইএমওতে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন ছিল ব্রোঞ্জ পদক। প্রথমবারের মতো রৌপ্যপদক জয়ে বিশ্বে আবার ছড়িয়ে পড়ল বাংলাদেশের নাম। রৌপ্য জয়ের আগে ২০১১ সালে ৫২তম আইএমওতে এ ব্রোঞ্জ পদকও অর্জন করেছিলেন ধনঞ্জয় বিশ্বাস। সেবার ১ নম্বরের জন্য রৌপ্য পদক হাতছাড়া হয়ে যায়।