
ছবি সংগৃহীত
ছোট্ট তিসি বীজের অসাধারণ উপকারিতা
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪, ০৪:০৬
তিসি বীজ। যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্স সিড। আমরা যাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি। তিসি বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার। তিসি বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের প্রধান উৎস। আমাদের দেশে বাদামি ও হলুদ রঙের তিসি বীজ বেশি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম বীজে আছে- ৫৩৪ কিলোক্যালরি, ১৮.২৯ গ্রাম আমিষ, ২৭.৩ গ্রাম স্নেহ, ২৮.৮৮ গ্রাম শর্করা, ১.৬৪ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.১৬১ মিলিগ্রাম রাইবোফ্লাভিন, ৩৯২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৬৪২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৮১৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৪.৩৪ মিলিগ্রাম জিঙ্ক, ০.১৭৪ মিলিগ্রাম ম্যাংগানিজ ও ৬ মিক্রোগ্রাম ফলেট। এতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খুব কমই রয়েছে। অনেকেই তিসি খেয়ে থাকেন নানা ভাবে। আবার অনেকের তেমন পছন্দ নয়। কিন্তু এর পুষ্টিগুণের তালিকা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক তিসি বীজের কিছু স্বাস্থ্যকথা।
- - তিসি আমাদের হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষায় কাজ করে। তিসি বীজে রয়েছে আলফা লিনোলিক এসিড যা হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
- - গবেষণায় দেখা গেছে, তিসিতে রয়েছে প্রচুর ফাইটোঅ্যাস্ট্রজেনিক লিগ্নান্স নামক উপাদান যা দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে।
- - তিসিতে রয়েছে উপকারী ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড যা দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- - প্রতিদিন ১চা চামচ তিসি গুড়ো করে খেয়ে দেখুন। চুল পড়া একেবারে কমে যাবে। এছাড়া তিসির তেল চুলকে করে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল।
- - প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তিসি রাখুন। এতে করে রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রা কমে যাবে।
- - তিসি রক্তে চিনির মাত্রা কমায় যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।
- - প্রতিদিন ২ গ্লাস পানিতে ৩ চা চামচ তিসি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
- - তিসির ফ্যাটি এসিড ক্যারোটিন হতে দেহে ভিটামিন 'এ' তৈরিতে সাহায্য করে। এতে করে দেহের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ হয়। শিশুদের ছোটবেলা হতে তিসি খাওয়ার অভ্যাস করলে ভিটামিন এ ঘাটতি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে।