ছবি সংগৃহীত

"একাকিত্ব" দূর করতে ভালোবাসা দিবসে করতে পারেন এই কাজগুলো!

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫৫
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৫:৫৫

ভালোবাসা দিবস "সিঙ্গেলদের" জন্য একটি ভয়ানক একাকীত্বের দিন। সারাবছর তেমন কিছু মনে না হলেও এই একটি দিনে একজন ভালোবাসার মানুষের অনুপস্থিতি একটু বেশিই অনুভব করেন নিঃসঙ্গ মানুষেরা। যদিও এই ভালোবাসা দিবস সকলের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য, তারপরও বিশ্ব জুড়ে সকল জুটির মধ্যে প্রেমের জোয়ার এই দিনেই বিশেষ করে চোখে পড়ে। এই কারণে সিঙ্গেল মানুষজন আরও বেশি একাকীত্ব অনুভব করেন। দেখা যায় সারাবছর বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা হলেও এই দিনে প্রেমিক/প্রেমিকা বন্ধু-বান্ধবীরা নিজেদের প্রিয় মানুষটির সাথে সময় কাটাতে আলাদা হয়ে যান। এই ধরণের ঘটনায় সিঙ্গেলদের শুধুমাত্র দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া কিছুই করার থাকে না। কিন্তু এই ভালোবাসা দিবসে সিঙ্গেলরা কি শুধু ঘরের কোণে বসে দীর্ঘশ্বাস ফেলেই কাটিয়ে দেবেন? কক্ষনো নয়। একটি গান আছে না ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’। হ্যাঁ, নিজেই উদযাপন করে নিন এই ভালোবাসা দিবস। চলুন দেখে নেই একাকিত্ব দূর করতে ভালোবাসা দিবসে যা করতে পারেন তার একটি তালিকা।

নিজের যত্ন নিন

আপনার একজন বিশেষ প্রিয় মানুষ নেই তো কি হয়েছে? নিজের যত্ন নেয়া ছেড়ে দেবেন? মোটেই না। বরং আরও ভালো করে যত্ন নিন নিজের। ভেবে দেখুন, আপনি যা করছেন নিজের জন্য করছেন। আর অন্যেরা নিজের জন্য কিছুই করতে পারছেন না। ভালো কোনো সেলুন বা পার্লারে চলে যান। নিজের যত্ন নিন। তারপর একটু সেজেগুজে কোনো পছন্দের রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসুন। মাথা থেকে এই চিন্তা একেবারে ঝেড়ে ফেলুন যে আশেপাশের প্রেমিক-প্রেমিকারা ভাবছেন আপনি একজন একলা মানুষ। আপনি আপনার মত থাকুন। দেখুন, হতেও পারে আপনার এই নিজের প্রতি যত্ন কারো চোখে পড়েছে। পরবর্তী ভালোবাসা দিবসে হয়তো পাশে রাখতে পারবেন কাউকে। আপনি ঘরের কোণে বসে থাকলে তো আর এটা সম্ভব নয়।

একাকীত্বকে উপভোগ করুন

ভালোবাসা দিবসে রাস্তায় বেরুলে সব জায়াগায় প্রেমিক-প্রেমিকার ঢল দেখা যায়। এতে করে খানিকটা হলেও সিঙ্গেলদের মন খারাপ হয়। কিন্তু সব চাইতে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের একাকীত্বকে উপভোগ করা। ভেবে দেখুন তো, এই সব জুটির সবাই কি আপনার মত স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারছেন? না, তারা সবই আরেকজনের পছন্দের ঢালে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন। আপনি আপনার নিজের মেজাজ-মর্জির মালিক। নিজের খুশী মত চলেতে পারেন। কিন্তু জুটিদের কিন্তু সব সময়ই খেয়াল রাখতে হয় অন্যের মেজাজ-মর্জির।

অন্য সিঙ্গেল বন্ধুদের সাথে সময় কাটান

খুঁজে দেখুন আপনার মত কোন বন্ধুও ভালোবাসা দিবসে মুখ গম্ভীর করে বসে আছেন কিনা। এরপর বেড়িয়ে পড়ুন বন্ধুরা মিলে। হাসি-আড্ডায় পার করে দিন সময়। আশেপাশে বেড়িয়ে মজা না পেলে বন্ধুরা মিলে ঘুরে আসুন দূরে কোথাও। নিশ্চিত থাকুন প্রেমিক-প্রেমিকাদের চাইতে ভালো কাটবে আপনার ভালোবাসা দিবস।

ঘুরে আসুন দূরে কোথাও

নতুন নতুন জায়গা ঘুরে বেড়ানোর জন্য বেশ ভালো একটি সময় ভালোবাসা দিবস। প্ল্যান করে দূরে কোথাও ঘুরে আসুন। একলা ঘুরে আসতে পারেন। অথবা বন্ধুদের সাথে নিয়েও ঘুরে আসতে পারেন। এতে মন ভালো থাকবে বেশ। পাশাপাশি ভালোই যাবে ভালোবাসা দিবস।

পরিবারকে সময় দিন

অনেকেই নানান ব্যস্ততায় পরিবারের মানুষজনকে সময় দিতে পারেন না। তাদের জন্য ভালোবাসা দিবস বেশ ভালো একটি দিন। পরিবারের মানুষের জন্য প্রকাশ করুন ভালোবাসা। কারণ ভালোবাসা দিবস শুধুমাত্র জুটিদের জন্য নয়। ভালোবাসা দিবস সবার জন্য। খুশি করুন পরিবারের মানুষকে। নিজের বাবা-মাকে পালন করান ভালোবাসা দিবস। অভিভাবকের মুখের হাসির সাথে তুলনা চলে না কোন কিছুরই।

চকলেট খান

চকলেট এমন একটি খাবার যা যে কোন সময় যে কোন ধরণের মেজাজ ঠিক করতে পারে। কারণ চকলেট খেলে মস্তিষ্কে ‘সেরেটেনিন’ নামক একটি হরমোনের নিঃসরণ হয়। এই হরমোন আমাদের ভালোলাগা, খুশী হওয়া এবং ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত। পুরো দিনটিই ভালো যাবে।

ইতিবাচক চিন্তাগুলো মাথায় আনুন

ধরুন আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা আছেন। তার জন্য ভালোবাসা দিবসে কি কি করবেন আপনি? ফুল, গিফট, চকলেট, রেস্টুরেন্টে খাওয়া কিংবা সারপ্রাইজ প্ল্যান জাই করুন না কেন আপনার পকেট তো খালি হবেই। মাসের মাঝামাঝি সময়ে পকেট খালি হলে বাকি মাস কি করবেন? তাহলে ভাবুন তো সিঙ্গেল হয়ে আপনার ক্ষতি কোথায়। আবার, কিছু সময়ের ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ শেষে পরের দিন থেকে শুরু সেই পুরনো খিটমিট ভালোবাসার মানুষটির সাথে। তাহলে সিঙ্গেল থাকাই কি ভালো নয়। এই ধরণের ইতিবাচক চিন্তাগুলো মাথায় আনুন। দেখবেন নিজের একাকীত্বকেই বেশি ভালো লাগছে আপনার।