ছবি সংগৃহীত

হজরত আদম ও হাওয়া [আ.]-কে প্রথম পৃথিবীর কোন অঞ্চলে নামানো হয়েছিলো- শ্রীলঙ্কা ও জেদ্দায়?

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর
লেখক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫, ০১:৫৭

আদম ও হাওয়াকে আসমানে অবস্থিত জান্নাত থেকে নামিয়ে দুনিয়ায় কোথায় রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। যেমন বলা হয়েছে আদমকে সরনদীপে (শ্রীলংকা) ও হাওয়াকে জেদ্দায় (সউদি আরব) এবং ইবলিসকে বসরায় (ইরাক) ও ইবলাসের জান্নাতে ঢোকার কথিত বাহন সাপকে ইস্ফাহানে (ইরান) নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেউ বলেছেন, আদমকে মক্কার ছাফা পাহাড়ে এবং হাওয়াকে মারওয়া পাহাড়ে নামানো হয়েছিল। এছাড়া আরও বক্তব্য এসেছে। তবে যেহেতু কুরআন ও সহিহ হাদিছে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি, সেকারণ এ বিষয়ে আমাদের চুপ থাকাই শ্রেয়। হজরত আদম ও হাওয়া [আ.]-কে পৃথিবীর কোন অংশে নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো? এ-সম্পর্কে কিছু দুর্বল বর্ণনা দেখা যায়। হজরত আদম [আ.]-কে হিন্দুস্তানে এবং হজরত হাওয়া [আ.]-কে জেদ্দায় নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো। তারপর এক দীর্ঘকাল পরে তাঁরা দুজনই হেজাজের আরাফাত নামক স্থানে একত্রে মিলিত হলেন। এ কারণে হজের এই ময়দানটির নাম হয়েছে আরাফাত (জানাশোনা)। কেননা, এখানে তাঁরা পরস্পর মিলিত হয়ে একে অপরকে চিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু কুরআনুল কারিম ঘটনার এই অংশটি সম্পর্কে নীরব রয়েছে। কারণ এই বিষয়টি প্রকাশ করার সঙ্গে হেদায়েত ও নসিহতের কোনো সম্পর্ক নেই। অবশ্য অন্তরের প্রবল ধারণা এদিকে ধাবিত হয় যে, হজরত আদম ও হাওয়া আ. একই স্থানে অবতারিত হয়ে থাকবেন। কেননা, তাহলে আল্লাহ তাআলার পূর্ণ হেকমতের চাহিদা অনুযায়ী সত্বরই মানজাতির বংশবৃদ্ধির কাজ শুরু হতে পারবে। এই জড়জগতের উত্তরাধিকারী ও অধিবাসীরা জমিনকে আবাদ করে মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা ‘দুনিয়ার খেলাফতের’ পুরোপুরি হক আদায় করতে পারবে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ! সূত্র : কাসাসুল কোরআন ও নবীদের কাহিনী হাফেজ মাওলানা সালাউদ্দীন জাহাঙ্গীর