মুরাদ হাসান বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রী সভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) এর প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান। পরে ১৯ মে ২০১৯ সালে তাকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও নানান বিতর্কিত, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রিসভা থেকে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন।

১৭ নভেম্বর ১৯৭৪ সালে জন্ম নেওয়া মুরাদ হাসান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী বিচারপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের ছেলে। 

১৯৯০ সালে তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। মুরাদ হাসান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনকোলজি বিভাগে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত।

তিনি নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও কেন্দ্রীয় সদস্য।