শীতের কেনাকাটায় রাখুন টুপিও। ছবি: সংগৃহীত।

শীতের টুপির টুকিটাকি

শামীমা সীমা
সহ সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:২৯
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:২৯

(প্রিয়.কম) ঋতুর পালা বদলে বাংলার প্রকৃতিতে এখন শীতকাল। বাংলা মাসের হিসেবে এখন অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। বছর ঘুরে আবার আসছে পৌষ মাস। এখনও হাড় কনকনে শীত পড়েনি, তবে হঠাৎ হঠাৎ অনুভূত হয় গা কাঁপানো শীতল হাওয়া। দিনের আলো মিলিয়ে যেতে না যেতেই ঠাণ্ডা এসে জেঁকে বসে চারপাশে। চাই শীত তাড়ানোর উষ্ণ পোশাক। চলছে কেনাকাটার উৎসব। শীতের এই সময়ে কেনাকাটার তালিকায় ছোট বড় সকলেই রাখছেন টুপি। যারা ঠাণ্ডা একদম সহ্য করতে পারেন না, টুপি ব্যবহার করা তাদের জন্য প্রায় বাধ্যতামূলক। তাই টুপি নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখতে হবে মুখের গড়ন ও ত্বকের রঙের সঙ্গে যেন মানানসই হয়। 

শুধু এগুলোই নয়, আরও কিছু জিনিস মেনে চললেই সবাইকে মানানসই লাগবে টুপিতেও। যেমন যাদের চুল ছোট তারা সম্পূর্ণ চুল টুপির ভেতর রাখতে পারেন। অল্প বড় চুল হলে পাশ দিয়েও চুল বের করে রাখা যায়। চুল বেশি এলোমেলো থাকলে অনায়াসেই তা টুপির ভেতর গুঁজে রাখা যাবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে রং। সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই হবে মানানসই, এমন রঙের টুপি বেছে নিতে পারেন। যেমন কালো, খয়েরি, নীল রঙের যে কোনো টুপি মানিয়ে যাবে যে কোনো পোশাকের সঙ্গে। উৎসবমুখর পরিবেশে লাল, সাদা অথবা সবুজ রঙের টুপি পরা যেতে পারে। কেনার সময় একটু ঢিলা টুপি বেছে নিন। কারণ টুপিতে ব্যবহৃত ইলাস্টিক কপালের কাছে আঁটসাঁট হয়ে থাকলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি কপালে দাগও ফেলে দেয়।

রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান মার্কেট, বদরুদ্দোজা মার্কেট, বঙ্গবাজার, গুলিস্তানসহ অনেক জায়গাতেই বসে গেছে শীতের পোশাকের সম্ভার। সেখানে শীতের অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে পেয়ে যাবেন এমন সব রঙ বেরঙের বাহারি শীতের টুপি। বাজার ঘুরে দেখা গেল রয়েছে হরেক রকমের রংবেরংয়ের টুপি। এই যেমন কান ঢাকা টুপি বা মাঙ্কি টুপি। আস্তিনসহ টুপিগুলো এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোটদের জন্য ভালুক, কার্টুনের টুপি, বড়দের জন্য একরঙা বা বিভিন্ন রঙের সংমিশ্রণের টুপিও পাওয়া যাচ্ছে।

এখন বাজারে এমন টুপিও এসেছে যার প্রান্ত ভাগ গলায় জড়িয়ে রাখা যাবে। এছাড়া রয়েছে ক্যাপের মতো টুপি। এগুলো গেঞ্জি কাপড় থেকে মোটা উলের হয়ে থাকে। ছেলেমেয়ে সবার মাঝেই এই টুপির জনপ্রিয়তা রয়েছে। রয়েছে ঝোলা টুপির চাহিদা। সাধারণত এইরকম টুপির পেছনের দিক একটু ঝোলানো থাকে। মেয়েদের মধ্যে এই টুপি বেশ জনপ্রিয়। রাস্তার ধুলাবালি ও শীতের আবহাওয়া থেকে অনায়াসেই চুল রক্ষা করা যায় এই টুপির মাধ্যমে। কোথাও তাড়াহুড়া করে যেতে হলে চুল বেঁধে এই টুপি পরলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে পোশাকে। তবে রং ও টুপির কাপড় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। এছাড়াও পুরানো ফ্যাশনের টুপির ভেতরে মোটা উলের টুপি, একসঙ্গে মুখ ও মাথা ঢাকার টুপিও আছে বাজারে।

চাহিদা মতো টুপি ১৫০ থেকে তিনশ’ টাকার ভেতর পেয়ে যাবেন। কাপড়ের রকমভেদের উপর টুপির দাম নির্ভর করে। গেঞ্জি কাপড়ের টুপির দাম ১৫০ থেকে তিনশ’ টাকা। বাজারে চায়না ও বাংলাদেশের তৈরির টুপির বাজার বেশি লক্ষ করা গেছে। চায়না থেকে আসা টুপির দাম তুলনামুলক বেশি। তবে মার্কেটে শিশুদের বাহারি টুপির দাম সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন ডিজাইন ও রংয়ের তারতম্যের কারণেই দাম বেশি রাখা হচ্ছে। টুপির মধ্যে ফোল্ডিং ১০০ টাকা, মাঙ্কি ১৩০ টাকা, মাছি ১৫০ টাকা, চায়না টুপি ১৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, খরগোশ টুপি ২০০ টাকা, মেকি ১৫০ টাকা, ক্যাপসিস্টেম কানটুপি ১৮০ টাকা। এছাড়া ছোটদের ভালুক, কার্টুন টুপি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা দামে।

প্রিয় ফ্যাশন/সিফাত বিনতে ওয়াহিদ