ছবি সংগৃহীত

অনলাইনে জুয়া খেলার ১২টি সাইট বন্ধ করল বিটিআরসি

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৩:৫১
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ০৩:৫১

অনলাইনে জুয়া খেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট 'বেট ৩৬৫ ডটকম'। ছবি: সংগৃহীত। 

(প্রিয়.কম) বাংলাদেশে খেলাধুলা বিষয়ক অনলাইনে জুয়া খেলার ১২টি সাইট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সাইটগুলো হলো- বেট ৩৬৫ ডটকম, ৮৮ স্পোর্টস ডটকম, রেবটওয়ে ডটকম, বেটফ্রিড ডটকম, ডাফাবেট ডটকম, বেটফেয়ার ডটকম, ইউনিবেট ডটকম, বেট ভিক্টর ডটকম, নেটবেট ডটকম, টাইটানবেট ডটকম, উইনার ডটকম ও পেডি পাওয়ার ডটকম। তবে গত বৃহস্পতিবার এসব সাইট বন্ধ করে দেওয়া হলেও প্রক্সি সার্ভারে এখনও দেশে এই সাইট ব্যবহার হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

বিটিআরসি বলছে, মূলত পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর যৌথ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিসিবির চিঠিতে উল্লেখিত ১২টি সাইটকে চিহ্নিত করে তা বাংলাদেশে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়। তিন সপ্তাহ আগে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, অনলাইনে জুয়া খেলায় তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকে পড়েছে। বাংলাদেশে এই অবস্থা ধাবিত হচ্ছে ভীতিকর পরিস্থতির দিকে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে উঠতি তরুণরা আরও বিপথগামী হতে পারে। 

সিটিটিসি ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে স্পোর্টস গেম্বলিং সাইটে ক্রীড়াবিষয়ক বাজির (জুয়া) অভিযোগে অন্তত ২৫০ জনকে আটক করা হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট আইন না থাকায় তাদের প্রত্যেকেই জামিন পেয়েছেন। তবে ১৮৬৭ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, যে কোনো ঘর, স্থান বা তাঁবু জুয়ার আসর হিসেবে ব্যবহৃত হলে অভিযুক্তকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। ক্রীড়া জুয়ার ক্ষেত্রে এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনো গ্রাহক সর্বোচ্চ ৭ হাজার ডলার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে বা ট্রাভেলার চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন। একজন দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এ সংক্রান্ত লেনদেনের তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাইটগুলো বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ লেনদেন প্রক্রিয়াও বন্ধ করার বিষয়ে জোর তৎপরতা চলছে।  

এ ব্যাপারে সিটিটিসি ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি ও সোস্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, এসব সাইটের জুয়াড়িরা আর্থিক লেনদেন করে ২৮টি বৈদেশিক মুদ্রায়। ব্যাংকিং থেকে শুরু করে পেপল, মাস্টার কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডে অর্থ লেনদেন হয়। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, গলফ, ঘোড়দৌড়সহ আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রীড়া স্থান পায় এসব সাইটে। সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন দেশের নানা ঘরোয়া খেলাধুলার খবর লাইভ সম্প্রচার ও আপগ্রেড। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দমতো যেকোনো খেলায় বাজি ধরে থাকেন। শুধু আইপিএল বা বিপিএল নয়, যেকোনো বড় ক্রীড়া আসর চলাকালে বেড়ে যায় এসব সাইটের ব্যবহার।

এদিকে বিটিআরসির সচিব সারোয়ার আলম বলেন, ‘বিপিএল শুরুর আগে প্রথমে বিসিবির পক্ষ থেকে এমন একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ওই সব সাইট ব্যবহার করে জুয়া খেলা হয় বলে তারা জানায়। এর পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে একই রকম আরেকটি তালিকা আসে। তখন ওয়েবসাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে সেগুলোতে ঢোকার সুযোগ নেই।’

যেভাবে এলো বেট ৩৬৫ সাইট

যুক্তরাজ্যের স্টোক সিটির কোটস পরিবার ২০০১ সালে চালু করে ক্রীড়াবিষয়ক বেটিং সাইট বেট ৩৬৫ ডটকম। গত ১৬ বছরের পথ চলায় বিশ্বের বৃহৎ স্পোর্টস গেম্বলিং সাইট বা ক্রীড়াবিষয়ক বাজির (জুয়া) সাইটে পরিণত হয়েছে তা। বিশ্বের ২০০টি দেশের ১৯ মিলিয়নেরও (১৯০ কোটি) বেশি কাস্টমার রয়েছে বেট ৩৬৫ সাইটের। প্রতিদিন এই কাস্টমাররা বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে বাজি বা জুয়ায় অংশ নেন। তাতে কেউ লাভবান হোন, কেউ বা সর্বস্বান্ত; তবে বেট ৩৬৫ সাইটের মালিকেরা কিন্তু লাভবান হোন প্রতিনিয়তই।

চলতি বছর এপ্রিলে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেট ৩৬৫ সাইটের মালিকেরা বর্তমানে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ২৪তম স্থানে রয়েছেন। তাদের আর্থিক সম্পদের নেট মূল্যমান প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন পাউন্ড। শুধু তাই-ই নয়, টাইমস ম্যাগাজিনের গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বিশ্বের ডিজিটাল বিজনেস বা ইন্টারভিত্তিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বেট ৩৬৫ হলো শীর্ষ র‌্যাঙ্কপ্রাপ্ত সাইট।

এই সাইটের মালিক কোটস পরিবারের সদস্যরা হলেন- পিটার কোটস, তার কন্যা ডেনাইজ কোটস ও ছেলে জন কোটস। পিটার কোটস আবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের দল স্টোক সিটিরও মালিক। অন্যদিকে, ডেনাইজ কোটসকে বলা হয় ব্রিটেনের সর্বোচ্চ ধনী মহিলা; যিনি নিজ প্রচেষ্টায় ভাগ্য গড়ে নিয়েছেন। মূলত ২০০০ সালে ডেনাইজ কোটসই বেট ৩৬৫ সাইটের চিন্তা করেন এবং তার চেষ্টাতেই ২০০১ সালে ইন্টারনেট জগতে আত্মপ্রকাশ করে এই ক্রীড়া বাজির সাইট। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার কর্মী কাজ করছে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস প্রদানকারী এই সাইটটিতে। যা নিয়ন্ত্রণ করছে বেট ৩৬৫ গ্রুপ নামক কোম্পানি। যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে বৈধভাবেই কাজ করছে কোম্পানিটি। জিব্রাল্টার সরকারের কাছ থেকে বৈধ লাইসেন্স (লাইসেন্স নম্বর: আরজিএল ০৭৫) নিয়েছে বেট ৩৬৫ এবং জিব্রাল্টার গেম্বলিং কমিশনার দ্বারা তা নিয়ন্ত্রিত হয়। যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বৈধভাবেই শাখা অফিস রয়েছে এই কোম্পানি বা সাইটের। যদিও সমাজে এর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন দেশেই তীব্র সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু কারণে নিজ দেশে এই সাইটের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুলগেরিয়া সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবশ্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বেট ৩৬৫ কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের ১৭টি বিভিন্ন ভাষায় (বাংলা ভাষা নেই) পরিচালিত হয় এই সাইট। এখানে আর্থিক লেনদেন হয় ২৮টি বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে (ভারতের রুপি গ্রহণযোগ্য হলেও বাংলাদেশি টাকা গৃহীত হয় না)। পেমেন্ট মেথড বিভিন্ন ধরনের। ব্যাংকিং লেদদেন থেকে শুরু করে পেপল, মাস্টার কার্ড, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড সবই রয়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, গলফ, ঘোড়দৌড়সহ আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রীড়াই স্থান পায় বেট ৩৬৫ সাইটে। সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন দেশের নানা ঘরোয়া খেলাধুলার খবর ও লাইভ সম্প্রচার ও আপগ্রেড। থাকে ক্যাসিনো, পোকারের মতো আইটেমগুলোও। ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দমতো যেকোনো খেলায় বাজি ধরতে পারেন। জিতলে অর্থের মালিক হয়ে যান তারা। হারলে খোয়াতে হয় বাজির জন্য গচ্ছিত অর্থ। অবশ্য কাস্টমারকে কখনোই ঠকানোর অভিযোগ নেই সাইটের বিরুদ্ধে। যারা সর্বস্বান্ত হন তারা জেনেশুনেই বাজি ধরে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনেন। কাস্টমারদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দেয় বেট ৩৬৫ সাইটের কাস্টমার কেয়ার ইউনিট। সাইটেই তাদের সঙ্গে লাইভ চ্যাট করা যায়।

বাংলাদেশে যেভাবে ব্যবহৃত হয় বেটিং সাইট

দেশ ভিত্তিক কোন সাইট কত বেশি ভিজিট হচ্ছে তার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে অ্যালেক্সা ডটকম। সেই হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেরা ২৫ সাইটের একটি হলো বেট ৩৬৫। বর্তমানে এটি ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। যার মানে দাঁড়ায় দৈনিক অন্তত লক্ষাধিক (আনুমানিক হিসাব) মানুষ এই সাইট ব্রাউজ করছেন বাংলাদেশে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই সাইটের অবস্থান ৫৭তম। যেকোনো বড় ক্রীড়া আসরের সময়টায় বাংলাদেশে বেড়ে যায় এই সাইটের ব্যবহার। বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ বা গত বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেটে যেমন, তেমনি আবার বাংলাদেশের বিপিএল, টি২০ বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ, বিভিন্ন দেশের লিগ ফুটবলের সময়ও বাংলাদেশি জুয়াড়িরা এই সাইট ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন। কেবল নিজেই অ্যাকাউন্ট খুলে জুয়ায় অংশ নেওয়া বা বাজি ধরা হচ্ছে এমনটা নয়। বেট ৩৬৫ সাইটের অ্যাকাউন্ট কেনাবেচার ব্যবসাও জমে উঠছে দিনকে দিন। যে ব্যবসায় প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা (মূলত ছাত্ররা) অংশ নিচ্ছে। যেহেতু ১৮ বছরের নিচে কেউ এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না, তাই অন্যের অ্যাকাউন্ট কিনেই জুয়ায় বা বাজিতে অংশ নিচ্ছে তারা।

দেশে অ্যাকাউন্ট কেনা-বেচা ও কমিউনিটি পেজ

দেশে ‘বেট ৩৬৫ বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক কমিউনিটি পেজ রয়েছে। সেখানে অনেকেই এই অ্যাকাউন্ট কেনা-বেচার উন্মুক্ত বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। যদিও পেজের অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট কেনা-বেচা না করার জন্য সম্প্রতি সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও প্রকাশ্যে বা গোপনে চলছে সেই অ্যাকাউন্ট কেনা-বেচার কাজ। কেউ কেউ ছদ্মনাম ধারণ করে এই কাজ চালাচ্ছেন। এমনি একটি অ্যাকাউন্ট বিডি টিপার (Bd Tipper)। এই অ্যাকাউন্টধারী নিজেকে চট্টগ্রামবাসী হিসেবে দাবি করেন। বেট ৩৬৫ অ্যাকাউন্ট স্বল্পমূল্যে বিক্রি করেন তিনি। বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই অ্যাকাউন্ট কেনাবেচার ক্ষেত্রে ফুটপাত মার্কেটের মতোই ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দরদাম চলে। কখনো ১ হাজার টাকায় অ্যাকাউন্ট বিক্রি হয়, কখনো আবার তা ৫-৭ হাজার টাকা বা এর বেশি দামেও কেনা-বেচা হয়। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা মোবাইল সবকিছু দিয়েই এই সাইটে ব্রাইজ করা সম্ভব। আর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় নেটেলার (Neteller.com) এবং স্ক্রিল (skrill.com) নামক দুটি সাইট।

জুয়া আইনে যা আছে

১৮৬৭ সালে প্রণীত বঙ্গীয় প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুযায়ী, যেকোনো ঘর, স্থান বা তাঁবু জুয়ার আসর হিসেবে ব্যবহৃত হলে তার মালিক বা রক্ষণাবেক্ষণকারী, জুয়ার ব্যবস্থাপক বা এতে কোনো সাহায্যকারী তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ২০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। এ রকম কোনো ঘরে তাস, পাশা, কাউন্টার বা যেকোনো সরঞ্জামসহ কোনো ব্যক্তিকে ক্রীড়ারত (জুয়ারত) বা উপস্থিত দেখতে পাওয়া গেলে তিনি এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ১০০ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। পুলিশ জুয়ার সামগ্রীর খোঁজে যেকোনো সময় (বল প্রয়োগ করে হলেও) তল্লাশি চালাতে পারবে বলেও আইনে উল্লেখ রয়েছে। সেই অর্থে আইপিএলকেন্দ্রিক এই জুয়া অবশ্যই আইনত দণ্ডনীয় এবং বেট ৩৬৫ সাইটের কার্যক্রমও এ দেশে বৈধ হতে পারে না।

প্রক্সি সার্ভারে এখনও চলছে জুয়ার সাইট! 

ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলার ১২টি ওয়েবসাইট বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হলেও প্রক্সি সার্ভার দিয়ে এখনও ওই সাইটগুলোতে ঢোকা যাচ্ছে এবং জুয়া খেলাও অবাধে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটিআরসি সাইটগুলো বন্ধ করার ফলে প্রথমে অনলাইনকেন্দ্রিক জুয়াড়িরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিল। তবে দ্রুতই বিকল্প হিসেবে প্রক্সি সার্ভারের ব্যবহার শুরু হয়। এর ফলে দেশে থেকেও অন্য কোনো অবস্থান দেখিয়ে এসব সাইটে ঢোকা গেছে। জুয়াও চলেছে সমানতালে। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়েবসাইট ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে ক্রিকেট নিয়ে জুয়া খেলা হয়। তদন্তে সব মাধ্যমের ওপরই নজর দেওয়া হয়েছে। বিকল্প ক্ষেত্র ও জুয়ায় ব্যবহৃত হয় এমন ওয়েবসাইট শনাক্ত করে সেগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদনা: ফকির কামরুল