
ছবি সংগৃহীত
স্মার্টফোন ব্যবহারে চোখের ওপর চাপ কমাবে ‘আই কেয়ার’
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ০৫:৫০
‘আই কেয়ার’-এর প্রতীকী ছবি
(প্রিয়.কম) মানুষের জীবন এখন ক্রমশ স্মার্টফোননির্ভর হয়ে উঠছে। ফলে স্মার্টফোন ডিভাইসের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয় বেশ লম্বা সময় ধরেই। যদিও বেশিক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। বিশেষ করে মোবাইল ডিভাইসের উজ্জ্বল স্ক্রিনে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকায় চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে।
শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড যেমন হুয়াওয়ে নিজেদের ডিভাইসগুলোতে আই কেয়ার প্রযুক্তি যুক্ত করেছে। ফলে স্মার্টফোনের উজ্জ্বল স্ক্রিনের ক্ষতিকর রশ্মি চোখের ওপর কম প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে বুঝতে হবে স্মার্টফোন কীভাবে চোখের ক্ষতি করে এবং আই কেয়ার প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষায় হুয়াওয়ে নেতৃত্বদানকারী ব্র্যান্ড হিসেবে এগিয়ে আছে।
ব্লু লাইট
সূর্যালোক কিংবা প্রকৃতির সাদা আলো উৎপন্ন হয় সাতটি রং থেকে। এ সাতটি রং মোটামুটি সবাই স্কুলেই শিখে ফেলে আর সেগুলো হচ্ছে লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, আকাশি ও বেগুনি। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের মাধ্যমে এই সাতটি রঙ একত্রে চিত্রায়িত হয়ে থাকে। স্মার্টফোন ডিভাইসগুলোতে লাল, সবুজ ও নীল (আরজিবি) রংগুলো উপেক্ষিত থাকে। এগুলোর মধ্যে নীল আলো চোখের কর্ণিয়া ও লেন্সের মাধ্যমে সহজেই বিচ্ছুরিত হয়ে মানুষের চোখের রেটিনাতে পৌঁছে যায় আর তখনই চোখের আলো সংবেদনশীল কোষগুলোর ক্ষতি হয় এবং ম্যাকুলারের পতন ঘটার আশংকা বেড়ে যায়।
চোখের আরামদায়ক অবস্থা
ভালো খবর হচ্ছে, সুদূরপ্রসারী স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চোখের জন্য আরামদায়ক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক উন্নতি করেছে। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, হুয়াওয়ে চীনের ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার ফর অপথ্যালমিক ইকুয়েপমেন্ট-এর সঙ্গে মিলে চোখের জন্য আরামদায়ক অবস্থা সৃষ্টিকারী অভিনব প্রযুক্তি তৈরিতে কাজ করছে, অবশ্যই যা স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যায়। স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতার উপর নির্ভর করেই কেবল চোখের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনা করা যায় না। ডিভাইসের স্ক্রিনের রং, উষ্ণতা ও শীতলতার উপর ব্যাপকভাবে চোখের সুরক্ষা নির্ভর করে। আর এ লক্ষ্যে স্মার্টফোন স্ক্রিনের আলোকসজ্জা ও রংয়ের উষ্ণতার জন্য অপটিমাল সেটিংস উদ্ভাবনে কাজ করছে হুয়াওয়ে ও চীনের ওই গবেষণা কেন্দ্রটি।
ফলাফল
স্ক্রিনের দিকে বেশি সময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে ব্যবহারকারী যদি চোখে চাপ অনুভব করে তবে চাইলেই সে কমফোর্ট মোড বা আরামদায়ক অবস্থা চালু করে নিতে পারবেন। সম্প্রতি বাজারে আসা হুয়াওয়ে জিআরফাইভ ২০১৭ সংস্করণে অত্যাধুনিক এই আরামদায়ক অবস্থা উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। উক্ত স্মার্টফোনটিতে একটি ট্যাপ করেই স্ক্রীনের নীল আলো শতকরা ৫০ ভাগ কমিয়ে নিয়ে আসা যায়। স্মার্টফোনটি উক্ত মোডে থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারীর চারপাশের আলোর ওপর নির্ভর করে স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও রংয়ের উষ্ণতা সেট করে নেয় স্বয়ংক্রীয়ভাবে, যা চোখের সুরক্ষায় ব্যাপক কার্যকর।
চোখের সুরক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনে সেরা ডিসপ্লের অভিজ্ঞতা নিতে চান। আই কেয়ার প্রযুক্তিটি সেভাবেই উদ্ভাবিত হয়েছে। হুয়াওয়ের আই কমফোর্ট প্রযুক্তিতে রয়েছে ১২ বিটের ব্যাকলিট চিপ যা ৪০৯৬ লেভেলের উজ্জ্বলতা সমর্থন করে, যেখানে অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের স্ক্রীন সমর্থন করে মাত্র ২৫৬ লেভেল পর্যন্ত উজ্জ্বলতা।
অভিনব এই প্রযুক্তি থাকায় ব্যবহারকারী কোনো বাড়তি সমস্যা ছাড়াই অনুজ্জল কিন্তু আরামদায়ক, প্রাণবন্ত রঙ এবং স্বচ্ছ ডিসপ্লে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন। আই কমফোর্ট মোড তাদের জন্যই মূলত বেশি কাজে লাগবে, যারা রাতে ঘুমানো আগে ফোন ব্যবহার করে। মোবাইল স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ও নীল আলো মানুষের মস্তিষ্ককে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দেয় এমনভাবে যে, রাতেও মস্তিষ্ক ধরে নেয় তখন চারপাশে দিনের আলো বিদ্যমান। তখনই ঘুমাতে সমস্যা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে গভীর রাতে ঘুমানো অভ্যাস হয়ে গেলে স্মরণশক্তি কমে যেতে থাকে, নতুন কিছু শেখা খুব কঠিন লাগে এমনকি হতাশা ও স্থুলতার মতো মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
প্রিয় সংবাদ/শান্ত