ছবি সংগৃহীত

প্রিয় গন্তব্যঃ ছাগলকান্দা ঝর্ণা

আফসানা সুমী
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৭, ১৩:৫৬
আপডেট: ১৩ মে ২০১৭, ১৩:৫৬

বর্ষায় উচ্ছল হয়ে জেগে ওঠে ঝর্ণাটি। ছবিঃ সংগৃহীত
 
(প্রিয়.কম) চট্টগ্রামের কমলদহ ট্রেইল ভ্রমণকারীদের কাছে এখন বেশ পরিচিত। বড় কমলদহ ঝর্ণায় অবগাহন করে শীতল শান্তিময় অনুভূতি নিয়েই বাড়ি ফিরছেন কি? একটু থামুন। নিশ্চয়ই ৩ ধাপ বিশিষ্ট কমলদহ ঝর্ণাটি ইতিমধ্যেই আপনার সব ক্লান্তি ধুয়ে দিয়েছে? তাহলে আর বাড়ি ফেরার তাড়া কেন? আরেকটু এগিয়েই দেখুন প্রকৃতি আরও কি অপার সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে রেখেছে আপনার জন্য।
 
কমলদহ ঝর্ণা দেখে আরও ভেতরের দিকে হাঁটতে থাকুন। ৩০ মিনিট হাঁটার পর দেখবেন রাস্তা ভাগ হয়ে গেছে দুই দিকে। বামদিকের রাস্তাটি ধরে হাঁটুন। আরও কিছুদূর এগিয়ে গেলে আবারও দেখতে পাবেন দু'টো রাস্তা। এবারও যাবেন বামদিকে। একসময় পাবেন আরেকটি চমৎকার পাহাড়ি ঝর্ণা, নাম তার ছাগলকান্দা।
 
ঝর্ণায় নামার আগে অবশ্যই কুমের গভীরতা দেখে নিন। ছবি- সংগৃহীত
 
ছাগলকান্দা থেকে এগিয়ে পাথরভাঙ্গা নামে আরেকটি ঝর্ণা আছে। তবে এই ঝর্ণার পথ খুবই বিপদসংকুল। ছাগলকান্দা থেকে ডানদিকে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে হবে। উপরে উঠতে উঠতে রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে পা ফেলার জায়গা নেই সেখানে। ডালপালা ধরে কোনমতে পার হতে হয়। একটু অসাবধান হলেই পড়ে যাবেন সোজা নিচে পাথরের ওপর। তাই সাহস এবং দক্ষতা না থাকলে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো।
 
পাথরভাঙ্গা দেখে একই পথে নামার প্রয়োজন নেই। আরেকটি সহজ পথে নেমে আসতে পারবেন। পথটি চিনতে স্থানীয়দের সাহায্য নিন।
 
গুগল ম্যাপে কমলদহ ট্রেইল। 
 
কীভাবে যাবেন-
ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট বাজারে নামতে হবে। ট্রেনে চট্টগ্রাম বা ফেনীতে নেমে সেখান থেকেও আসা যায়। বড় দারোগার হাট থেকে লেগুনাতে আসতে হবে ইট ভাটা পর্যন্ত। এরপরের রাস্তা দিয়ে পূর্ব দিকে ২০-২৫ মিনিটের হাঁটা পথ। প্রথমেই দেখা মিলবে কমলদহ ঝর্ণার। বাকি পথ ছড়া ধরে গেলেই দেখা মিলবে ছাগলকান্দা ঝর্ণার।
 
কোথায় থাকবেনঃ
মিরসরাইতে থাকার জন্য ভালো কোন আবাসিক হোটেল নেই, ফেনীর দিকে কিছুদুর এগোলে বারৈয়ার হাট বাজারে কিছু আবাসিক হোটেল আছে। এই হোটেলগুলোর কোনটায় রাতটা পার করে দিতে  পারেন অন্যথায় আপনাকে সীতাকুন্ডে থাকতে হবে। যদিও সীতাকুন্ডতেও তেমন ভালো মানের কোন আবাসিক হোটেল নেই। বাজারের ভিতরে কয়েকটি সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল আছে।
 
সম্পাদনা: ড. জিনিয়া রহমান। 
আপনাদের মতামত জানাতে ই-মেইল করতে পারেন [email protected] এই ঠিকানায়।