
প্রতীকী ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিছানার চাদর কেবল ধুলেই হয় না, মানতে হয় এই ৮টি নিয়মও!
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৫৩
(প্রিয়.কম) আমরা যদিও বিষয়টি বুঝতে পারি না অনেকেই, কিন্তু আমাদের বাড়ির অন্যতম নোংরা কাপড়টি হচ্ছে বিছানার চাদর। সারা দিন ধুলোবালি তো জমেই, আমাদের দেহের যাবতীয় নোংরা কিংবা ঘাম-লাল গিয়ে জমা হয় এই বিছানার চাদরেই। অনেক বাড়িতেই পা না ধুয়ে বিছানায় উঠে যাওয়া কিংবা বিছানায় বসে খাওয়ার অভ্যাস আছে। ফলে বলাই বাহুল্য যে সারা দিনে সবচেয়ে বেশি নোংরা হচ্ছে এই বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারগুলোই।
বিছানার চাদর কিংবা বালিশের কাভারের মতো কাপড়গুলো কেবল ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিলেই হয় না, বরং এগুলোকে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে মানতে হয় কিছু নিয়ম। অন্যথায় ব্রনসহ নানা রকম চর্ম রোগ, পেটের অসুখ, খুশকি, উকুনসহ নানা রকমের রোগের শিকার হতে পারেন আপনি।
চলুন তবে জেনে নিই বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার সঠিকভাবে পরিষ্কার করার আটটি নিয়ম।
১। বিছানার চাদর ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাপড় সাধারণ পানিতে ভেজাবেন না; বরং গরম পানি ও ভালো মানের ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। গরম পানিতে উকুনসহ অন্যান্য জীবাণু মারা যায়।
২। ধোয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে এই কাপড়গুলো ভিজিয়ে রাখুন। এতে ময়লা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৩। বিছানার চাদর ওয়াশিং মেশিনে ধুলে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। তাই হাতে ধোয়াই উত্তম। ভালো করে কেচে নিন। একটু পরিশ্রম হলেও এটাই সেরা পন্থা।
৪। খুব ভালো করে বারবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, যেন কোনো সাবান লেগে না থাকে। সাবান চাদরে থেকে গেলে রোদে দেওয়ার পর রং যেমন নষ্ট হয়ে যাবে, একই সঙ্গে শরীরে চুলকানি বা র্যাশ দেখা দিতে পারে।
৫। স্বাভাবিক পানিতে ধোয়া শেষে আবারও বালতিতে গরম পানি নিন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন স্যাভলন বা ডেটলের মতো কোনো জীবাণুনাশক। এতে বিছানার চাদর ও বালিশের কাভারগুলো ২-৩ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভালো করে চিপে নিন। মাড় দিতে চাইলে এই সময়ই দিন।
৬। এরপর আসে শুকোনোর পালা। এই কাপড়গুলো অবশ্যই কড়া রোদে শুকোতে হয়। ভেজা, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বা ঘরের মাঝে এইসব কাপড় শুকোবেন না। অবশ্যই রোদের মাঝে পরিষ্কার দড়িতে শুকোতে দিন।
৭। অনেক বাড়িতেই কাপড় ধোয়ার পর সারা দিন দড়িতে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা হয়। এতে কাপড় ধুয়ে মূলত কোনো লাভ নেই, কেননা সারা দিন বাইরে থাকার ফলে সব ধুলোবালি আবার কাপড়েই পড়ছে। কী করবেন? কাপড় শুকিয়ে গেলেই তুলে নিন। কেবল তুলে নেবেন না, খুব ভালোভাবে ঝেড়ে তবেই ভেতরে নিন।
৮। এবার আসে ইস্ত্রি করার পালা। জি, অন্য কাপড়ের মতো বিছানার চাদরও ইস্ত্রি করে ব্যবহার করুন। এতে সব রোগ-জীবাণু থেকে শত ভাগ নিরাপদ থাকা যায়।
এরপরেও কথা থেকে যায়। ধোয়া বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কখনো খোলা স্থানে ফেলে রাখবেন না, বরং আলমারি বা অন্য কোথাও যত্নে রাখুন। দেখবেন বাড়িতে আপনিসহ অন্য সবার ছোটখাটো অসুখ হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রিয় লাইফ/আর বি/আজাদ চৌধুরী