
ছবি সংগৃহীত
২ মার্চ ২০১৩: সোশ্যাল মিডিয়া
আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৩, ১৪:৩৬
আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার ভাবনা-
Sanaullah Lablu:
না, নিজেকে অসহায় ভাবলে হবে না। জামাত-শিবির চক্র '৭১-এর মতো সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। দেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ওরা। ভয় দেখাচ্ছে আমাদের। ট্রেনে-বাসে আগুন দিচ্ছে, সরকারি অফিস-আদালতে হামলা করছে। পুলিশ হত্যা করছে। খুন করছে সাধারণ মানুষকে। মন্দিরে হামলা করছে, হিন্দুদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে। প্রজন্ম আন্দোলনের কর্মীদের হত্যা করছে। বিএনপি যদি ওদের পক্ষ নেয়, নিক।
আমাদের ক'জনকে মারবে ওরা? আমরা যে কোটি কোটি। আমি মরতে ভয় পাই না। আমি মারা গেলে নিশ্চিত জানি বেঁচে থাকা বন্ধুরা কফিনটি মুড়ে দেবে লাল-সবুজ পতাকায়। এর চেয়ে বড় সম্মান আর কি হতে পারে।
বন্ধুরা, আমরা এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়বো না। বড় ভালোবাসার এই দেশ আমাদের।
সরকারের সামনেও আজ অগ্নিপরীক্ষা। দেশবাসীকে আস্থায় নিয়ে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিজেদের ভুল-ত্রুটি, অন্যায়, দুর্নীতির জন্য ক্ষমা চেয়ে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধকারের শক্তিকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। আমরা সরকারকে সাহসী দেখতে চাই। এই লড়াইয়ে আপসহীন দেখতে চাই।
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ী হবোই।
Supriti Dhar:
...ট্রেনে-বাসে আগুন জ্বলছে। রেললাইন উপড়ে ফেলছে, সেতু ভাঙছে। দেশের সম্পদের এমন ক্ষতি গত ৪২ বছরে দেখিনি। এবার দেখছি। এমন অনিশ্চয়তাতেও দিন কাটাইনি কোনদিন, এখন কাটাচ্ছি। রাস্তা তো রাস্তা, নিজের ঘরটাকেও এখন নিরাপদ মনে হয় না। সকাল হলে ভাবি, যাক, একটা রাত তো গেল, বেঁচে গেলাম...।
....এই অবস্থাতেও বিরোধীদলীয় নেত্রী ‘চিকিৎসা’র স্বার্থে বিদেশ ভ্রমণ করেন, দেশে ফিরে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ‘নতুন ধরন’ এর এক সংবাদ সম্মেলন করেন, জনগণকে রাস্তায় নেমে প্রতিরোধের ডাক দেন, আরও সংঘর্ষ, আরও আগুন, গুলি, হতাহতের সংখ্যা কেবলই বাড়ে....এদিকে, প্রধানমন্ত্রীও সেতু উদ্বোধন করেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন, আমরা আম-জনতা মৃত্যুভয় মাথায় নিয়ে কেবলই আঙ্গুল চুষি...
Jabed Morshed:
এই স্টাটাসের উদেশ্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছোট বা অপমান করা নয় ।
---
ধর্মীয় ফান্ডামেন্টালিজম বা উগ্র মৌলবাদ কেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রাস করছে তা আমার কাছে ঠিক পরিষ্কার না । কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা লোকজনের গলা কেটে জবাই করছে?? কেন আমেরিকা চলে যাচ্ছে আমেরিকান স্টক এক্সচেন্জ বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিতে ????
বড় একটা সমস্যা এখানে নিশ্চয় আছে । জানি না কি সেটা । তবে শিক্ষক ও কতৃপক্ষকে দ্রুত সমস্যার কারণ খুজে বের করতে ও তা সমাধান করতে অনুরোধ করছি ।
Saif Shahid:
যখন বাংলাদেশে মাত্র ১৬টা জেলা ছিল তখন নড়াইল ছিল যশোর জেলার অংশ। তাই যশোরের মানুষ হিসাবে আমার খুশী হবার কথা যে এতদিন পরে জামাইবাবু আসছেন এবং হয়তো বা তার শশুর বাড়ির গ্রাম, নড়াইলের ভদ্রবিলা গ্রামে যেখানে তার স্ত্রী শুভ্রা দেবীর সাথে জীবনের প্রথম দিকের অনেকটা সময়ই কাটিয়েছেন - সেখানে যাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। তবে জামাইবাবুর সম্মানে বঙ্গভবনে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। যেখানে মহান মুক্তিযুদ্ধে 'অসামান্য অবদানের' জন্য তার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হবে। তার পাতে 'জ্যান্ত ইলিশ মাছ' দেবার কথাও শোনা যাচ্ছে।
আচ্ছা এই সাথে নড়াইল জেলাটা ভারতকে দিয়ে দিলে কেমন হয়?
Tofayel Miazi:
অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ত বুটের আওয়াজ শুনতে যাচ্ছি।
Sudeepto Salam:
জামায়াতের সহিংসতা প্রত্যাশিত ছিল। আমি এই তাণ্ডবে খুব বেশি চিন্তিতও নই। আজও শাহবাগে গিয়েছি। সরকার ন্যায়ের পথে থাকলে- কয়েকদিনের মধ্যেই সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। আমার চিন্তা জামায়াতের বুদ্ধিবৃত্তিক ষড়যন্ত্র নিয়ে। পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে সুশীল ব্যক্তিত্বের ব্যানারে জামায়াতের টুপি-দাড়িহীন ভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরা যেসব তথ্য ও তত্ত্ব প্রচার করে বেড়াচ্ছেন তাতে আমি উদ্বিগ্ন। মানুষকে তারা প্রতিনিয়ত ভুল বুঝাচ্ছে। এদেরকেও প্রতিহত করা জরুরি। তাদের তালিকা তৈরি করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে তালিকা করতেই পারি- কিন্তু তার কোনো মূল্য নেই। জাগরণ মঞ্চ- তালিকাটি প্রকাশ করলে ভালো হতো।
Abu Ashraf Masnun:
মেজাজটা চরম খারাপ, খুলনায় আজ যে ধরণের গোলমাল হলো আজ পর্যন্ত এরকম গোলমাল আমি দেখিনি। আরেকটু হলে আমি নিজেও পড়ে যেতাম মাঝখানে। হয়তো ঐসব মানুষের মত আমারও একই পরিনতি হত।
বাংলাদেশের মানুষ আসলেই অসহায় এবং জিম্মি কিছু অমানুষের কাছে।
Ashiqur Rahman Amit:
রাজশাহীতে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন!!! মরন বাড় বেড়েছে হারামীদের। হয়ে উঠেছে নৃশংশ। সারাদেশের সবাই কে সব জায়গায় সতর্ক থাকার অনুরোধ থাকলো। ঘরে বাহিরে যেকোন স্থানে অস্বাভাবিক কাউকে বা কিছু দেখলে পুলিশ কে জানানো একান্তই জরুরী।
Shahriar Zahan Shezan:
রাজশাহী-ঢাকা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুণ হরতাল সমর্থকদের...! কতবার যে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছি এই ট্রেনটায়!... এই ট্রেনটাও কি নাস্তিক! ‘গণহত্যার’ সাথে জড়িত? :(
Mahbub Rashid:
সারা দুনিয়াতে পুলিশ অনেক আধুনিক হয়েছে।
আমার ধারণা উন্নত বিশ্বে পুলিশের হাতে খুব কম লোকই মারা যায়। তাদের নানান রকম আধুনিক অস্ত্র আছে। সেগুলো বৈদ্যুতিক শক দিয়ে বা অন্য নানা তরিকায় মবকে প্রশমিত করার পদ্ধতি আছে।
আমাদের দেশে সেগুলো ব্যবহৃত হয় না।
ব্যবহৃত হয় না কারণ পুলিশ এদেশে সরকারর লাঠিয়াল হিসেবেই দমন পীড়নের কাজ করে। র্যাবও একই চরিত্রের। তাদের এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং তো আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত।
জামায়াত শিবির চক্র এখন অস্তিত্বের সংকটে আছে।
তারা ডেস্পারেট।
তারা ডেস্পারেট হয়েই মাঠে থাকবে। যাতে বাড়বে হতাহতের সংখ্যা।
একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকবে সহিংসতা সন্ত্রাস।
আপনি জামায়াত-শিবিরের তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মেরে ফেলতে পারেন না কোন বিচারেই। তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। সে নিয়ে কেউ কথা বলছে না।
সরকারে থাকা দলও চায় তারা সহিংস হয়ে উঠুক। তাদের পাগলা কুকুরের মত খেপিয়ে তুলতে সরকার পুলিশ ব্যাবহার করছে।
কিন্তু এই সহিংসতা কোন খেলা নয়। মানুষের জীবন রাজনীতির ছিনিমিনি খেলার কোন ঘুটি নয়।
মরছে আমার দেশের মানুষ। কোল খালি হচ্ছে আমার মায়ের।
তাছাড়া মরছে সাধারণ মানুষও। ক্রস ফায়ারে পড়ে মরাই তাদের নিয়তি।
যে ব্রেন ওয়াশ করা কিশোর তরুণ জামায়াতের কোন নেতার নির্দেশ মেনে জীবন দিয়ে দিচ্ছে তার তো অপরাধ তো বেশি নয়।
অপরাধ ঐ রক্ত লিপ্সু ৭১এর প্রেতাত্মা নেতার যে তার কর্মীদের জীবন নিয়ে খেলছে। অথচ নিজেরা নিরাপদে থাকছেন।
তারা খুনি।
তাই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করাই হবে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ। গুলি করে মানুষ মেরে তারা ঘৃণা বাঁচিয়ে রেখে নয়, তাদের উচ্ছেদ করতে হবে।
বিষবৃক্ষের ডালপালা ছেঁটে কোন লাভ হবে না, সেখানে নতুন পাতা গজাবে। বিষ বৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করতে হবে। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ সংগঠন হিসেবে তাদের নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই।
একই সাথে জামায়াত শিবিরের সাধারণ কর্মীদের কি হবে সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে।
রাজনীতির দোহাই দিয়ে এই হত্যা, সন্ত্রাস বন্ধ করুন।
Moinul Ahsan Saber:
অবস্থা প্রায় কিছুই বুঝতে পারছি না। যেটুকু বুঝতে পারছি তা স্বস্তি দিচ্ছে না। মিডিয়ার ভূমিকা অবিবেচক ও ভয়ংকর। নিজেদের প্রগতিশীল প্রমাণ করতে বা অন্যকোনো রহস্যজনক কারণে মিডিয়া লাগামছাড়া, বিচার করে দেখছে না ভার কতটা বহন করা যায়।
শাহবাগ প্রজন্ম নিজেদের নিয়ে গেছে নিজেদের আয়ত্ত্বের বাইরে। নিয়ে যাওয়া হবে, ধারণা ছিল। পুলিশ প্রহরায় বাণী ও নির্দেশ দেওয়া অনেক সহজ, সে নির্দেশ দেশের মানুষ কতটা নেবে বা নিতে পারবে, হিসাব থাকা দরকার ছিল। ৪২ বছর যে জামাতকে কোলেপিঠে লালন করা হয়েছে, সে ফুঁ দিলে উড়ে যাবে না, দেশের ভেতরে বাইরে অনেকে সেটা চাইবে না, হিসাব থাকা উচিত ছিল।
এই পরিস্থিতি অনেককেই মাঠে নামাবে। আশংকা করি, সহিংসতা ও নাশকতা বাড়বে। বাড়ানো হবে, যতদিন না দেশের মানুষ শান্তি চাই শান্তির চাই বলে জপ করতে আরম্ভ করবে। তখন পরিকল্পনায় জিতে যারাই যে চেহারায় ক্ষমতায় আসুক না কেন, দেশের মানুষের কাছে স্বস্তিদায়ক বিবেচিত হবে।
মানুষের পরাজয় ভালো লাগে না। আমার শংকা ভুল প্রমাণ হোক।
Anwar Akash:
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ আপনারা স্বাধীনতার বীজ বুনেছিলেন ’৬৯ এর গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে... রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। যারা স্বাধীনতার মহান সেনাপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই ঘোষনা করছে দেশ দরদী কথা বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগনে...। গনতন্ত্রকে যারা ‘৭৫ এ বিপন্ন করেছিল তারাই আজ সাধু সাজার চেষ্টা করছে... এদের থেকে সাবধান। আপনারা যদি না পারেন তবে আর কেউ পারবে না, একটি ফাঁসির আদেশের পর বিভিন্ন দলের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা আজ প্রমানিত হয়েছে...আমরা যারা রাজনীতি করিনা বা বুঝিনা তাদের পক্ষেও এ কথা বুঝে নেয়া সহজ যে দূর্নীতিমুক্ত দেশ পেলেই আমরা সুন্দর একটা দেশ পাবো। দেশের টাকা প্রবাসে চালান করা যাবে না। অফিস আদালতে, কল কারখানায় দলীয় প্রভাব রাখা যাবে না। প্রতিটি মন্ত্রনালয়কে দূর্নীতিমুক্ত করতে হবে। যদি কেউ তারপরও দূর্নীতি করে তবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করুন। নিজেদের নিকটতম আত্মীয় হলেও তা থেকে রেহাই নেই। সবাই মিলিত প্রয়াসে দূর্নীতিমুক্ত একটা সমাজ চাই.. সুন্দর একটা দেশ চাই...
Hillol Haque:
চামচিকা হুকুম দিছিলো আজকে সব গাড়ীতে জাতীয় পতাকা লাগাতে হবে... মনে করসিলো মোমবাতি আর বেলুন ব্যাবসার মত এইটাও হিট হবে... কিন্তু আজকে কেউ সাড়া দেয় নাই। দেশের সবাই কি রাজাকার হয়ে গেলো নাকি! ......চামচিকাদের দিন শেষ!
তানিম কবির:
হুদাই দৌড়াইলাম বাল, শ্বাসকষ্ট হইতেছে এখন; মনোকষ্টও। ছবির হাট থেকে দেয়াল টপকাইয়া টিএসসির বারান্দা পর্যন্ত দৌড়াইলাম। দেশেরও কোনও উপকার হইলো না, যার হাত ধইরা দৌড়াইলাম সেও হইলো বিরক্ত; কইলো- নরমালিই সে এরচে ভালো দৌড়াইতে জানে। হাত ধইরা রাখাতেই নাকি পিছায়া পড়তেছিলো :-(
Sannyasi Sanyasi:
লাগালাগি করে জনসংখ্যা বাড়ানো যায়, মানুষ করা যায় না; মানুষ করতে প্রয়োজন সুশিক্ষা। গত ৪২ বছর আমরা সেক্স করে করে কেবল জনসংখ্যা বাড়িয়েছি আর সেগুলোর জন্য উপযুক্ত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারিনি। অশিক্ষা-কুশিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ জাতিকে, এদেশের রাজনীতিকে তাদের ব্যর্থতার দায় শোধ করতে হবে। জাতি তার দায় শোধ করছে।
Imran H Sarker:
আতঙ্ক ছড়ানোর অপচেষ্টা চলছে। কেউ নিশ্চিত না হয়ে কিছু লিখবেন না। গুজবে কান দিবেন না। কারন গুজব ছড়ানো অপশক্তির আরেকটি কৌশল।
Milton Hasnat:
কাঙাল কাহিনী - ১
ব্লগার রাজিবকে হত্যার অভিযোগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পাঁচজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট। শিবিরের এক বড় ভাইয়ের নির্দেশে ঈমানি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তারা রাজিবকে হত্যা করেছে বলে গোয়েণ্দা পুলিশ সুত্র জানিয়েছে। বর্তমানে আটক এই পাঁচ ছাত্র সাতদিনের রিমাণ্ডে আছে।
আমি অনেক দিন থেকেই বলে আসছি যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি জামায়াত – শিবির – হিজবুত তাহরীর – জঙ্গীদের ঘাঁটিতে পরিণত হচ্ছে। তখন অনেকেই আমার উপর মাইণ্ড খাইছিগেলো।কিন্তু এখন আমরা কী দেখছি?
কাঙালের কথা বাসি হবার আগেই ফলে গেলো।
Abir Chowdhury:
আমার ছোট বোনের গৃহশিক্ষক অনুপম স্যারের বাসা হাজারী গলিতে। আজ ওখানে নাকি শিবির নামধারী কিছু সন্ত্রাসী হামলা করলে সাহসী-একতাবদ্ধ এলাকাবাসী তাদের ধরে উত্তম-মধ্যম দেয়। এর পরে তাদের পরিচয় উন্মোচিত হয়- "তারা কোনই দল-মতের নয়, তারা আশেপাশের এলাকার চিহ্নিত মাদকাসক্ত অপরাধী"।
স্যার বললেন, দেশের এই উদ্বেগজনক মুহূর্তে সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের মত অনেক পেশাদার সন্ত্রাসীও মাঠে নেমেছে, তাই আমাদের সবাইকে সাহসী ও সচেতন থাকতে হবে।
অনুপম স্যার আরো বললেন বাঁশখালীতেও একই রকমভাবে কারা যেন লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করে গিয়েছে। পুলিশ তাদের ভূমিকা ভালোভাবে পালন করেছে, কিন্তু অধিকাংশ সাংবাদিকেরা সব নৈরাজ্যের কৃতিত্ব জামাত-শিবিরকে দিয়ে তাদের দুঃসাহসের আগুনে ঘি সঞ্চারণ-ই করছে! পাশাপাশি, মানুষের আতঙ্ককেও বাড়িয়ে দিচ্ছে এই ধরণের ভুল খবরগুলো, মানুষ মনে করছে রাজাকারের সমর্থকেরা দেশে আসলেই গৃহযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে!
অপরাধী যে-ই হোক, কোন ছাড় নাই!
Partha Sarathi Kar:
দেখলাম হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে ।এটা যতটা না হিন্দুরা শেয়ার করছে তার চেয়ে বেশী শেয়ার করছে হিন্দু নাম দিয়ে খোলা ফেইক আইডি গুলা (নিশ্চয়ই জানেন কারা এসব করছে ) । সো, এখানে ভালই একটা জটলা লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এমনকি মায়ানমারের হত্যা কান্ডের কিছু ছবি এডিট করে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে । তাই, ইমোশনালী ব্ল্যাকমেইল না হয়ে বুঝে শুনে সাবধানে শেয়ার দিন । আর আপনার এলাকায় কিছু হবে আগে থেকেই বুঝে থাকলে বা কেউ চেষ্টা করার পায়তারা করলে নিকস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে রাখুন ।
বি কুল....
জয় বাংলা ।
Ataur Rahman Kabul:
কিছু নাস্তিক ইতোমধ্যে আমার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বিদেয় হয়েছে.......ধন্যবাদ তাদেরকে। না হয় নিজেই ফ্রেন্ডলিস্ট এ কাচি চালাতাম। কেননা-
হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদেরই দলভুক্ত হবে অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাঁদের সাথেই হবে।” (মুসনাদে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
তাই আমি চাইনা আমার হাশর-নশর অন্তত: কোন নাস্তিকের সাথে হোক।
...আমার ফ্রেন্ডলিস্ট আছেন অথচ নিজেকে নাস্তিক মনে করেন এমন কেউ যদি থাকেন, অনুগ্রহ করে বেরিয়ে এসে আমাকে মুক্তি দিন...
Endoplasmic Reticulum:
বোকাবাক্সে দেখলাম রাজীব হায়দার হত্যাকান্ডে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ । টেবিলে রাখা খয়েরী বা কটকটা লাল রক্তমাখা চাপাতি আর ছুরিগুলো দেখে কেমন যেন একটা ভোতা অনুভূতি হচ্ছিল । একটা মানুষকে একলা পেয়ে তাকে জবাই করার বিস্ময়কর ঘটনাটি কিছুতেই মাথা থেকে সরাতে পারছিলাম না । রাজীব হায়দার নিজে কী সেই জবাই দৃশ্য কল্পনা করেছিলেন, অন্তত সেদিন সকালে দাঁতব্রাশ করবার সময় ?
অসংখ্য মানুষ মরছে প্রতিদিন, আরো মানুষ মরবে, আরো জবাই হবে । আমি বুঝে গেছি, রক্ত কেবলমাত্র রক্তটাই আমাদের সমকালীন গল্প ; ইতিকথার ইতিহাস । গাড়িগুলো পুড়ুক, চিল শকুনেরা উড়ুক । বলে রাখি, আসবে, সময় আসবে, কারণ প্রতিশোধের প্রবেশপত্রে স্বাক্ষর আছে একাত্তরের ।
খালেদা জিয়া ও তার পাকিস্তানী দল নিয়ে কিছু বলার নেই । এসব রাজনীতি-ভাঁজনীতি বন্ধ করে পুরো বিএনপির চন্দ্রিমা উদ্যানে ঝাঁপ খুলে বসার সময় এসে গেছে ।
জামাত শিবিরের শুয়োরের বাচ্চাদের হামলায় নোয়াখালীর ৭৬টি হিন্দুপরিবার সর্বস্ব হারিয়েছে । তাদের সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমার জানা নেই । আপনারা ক্ষমা করবেন আমায় , আমাদের ।
আরেকটা কথা ��লি, যদি সত্যিই নিজেকে প্রকৃত মুসলমান মনে করে থাকেন তবে নামাজ শেষে নরপশুদের হাত থেকে মন্দির রক্ষার দায়িত্বটুকুও কিন্তু আপনার কাঁধেই বর্তায় ।
একদিন এই বাংলায় এমন এক সূর্য এনে দিব যখন ফজরের আজানের সুরে হাই তুলে সকল দেবদেবীদের ঘুম ভাঙবে, ব্রাক্ষ্মণের মেয়ের সাথে জমে উঠবে মাওলানার একমাত্র ছেলের প্রেম !
Omi Azad:
ফেসবুকটা যেনো কেমন হয়ে গেলো! কেউ আর অনন্ত জলিলকে নিয়ে মন্তব্য করেনা :(
Naveed Mahbub:
SSC exams this year offering bonus points to examinees who can predict the eventual test dates.
Natasha Kabir:
Feeling emptiness in everywhere,the political, mental situation both are interconnected or may be not.The questions which are striking in my head right now-
1.One man verdict vs 100 or more than 100 people became verdict, whom should we say the real culprit when the government knew it very well there would be conflict after the verdict and did not initiate for any step to secure them at the earliest stage, while criticizing our neighbor, I hope we could not put ourselves anywhere but to be defamed.
2. Hope we are inviting the parallel government and the foreign intervention again.
3. First 5 days I felt too much attached with Shahbag movement,now I am feeling emptiness with lots of questions.
4. The murderer of rajib had been arrested so fast under the ultimatum and sagor -runi had been defamed again by the home minister ,still now the murderer had been arrested.
5.The home minister must resign right now.
Sherina Afroj:
Bangladesh...Bonggobondhu...R amader sadhinta k jara apoman kore tara sobai Rajakar...Apni kondole.....????
Salma Mahbub:
কক্সবাজারে আটকে পরা পর্যটকদের ৩টি বিমান এবং নৌপথে চট্রগ্রাম আনার ব্যবস্থা করেছে পর্যটন কতৃপক্ষ। by Jakir Hossain
Chowdhury Ripan:
২ দিন আগে আমার এক প্রিয় কিন্তু এখনো অবুঝ ছোটভাই [নামটা দিলাম না] ওর ভাষায়ঃ এক "ল্যাংটা কালের হিন্দু বন্ধু" তার মা-বাবা, ভাইবোন নিয়ে কেন নিজের দেশ, বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে চাই; অন্য দেশে থাকার জায়গা খোঁজে আবার কেন প্রেসক্লাবের আন্দোলনেও যায় - এ নিয়ে তার অনেক ক্ষোভ।
তোমাকে বলছিঃ কেন যায় - তার উত্তর তো গত ২ দিনে আবার পেলে। আজকের ছবিঃ http://on.fb.me/ZUjhoU
সে প্রেসক্লাবে যায় মাতৃভূমির টানে, আর সে নিজেরই দেশে দিনের পর দিন প্রতিবেশী, তোমার মত বন্ধুবান্ধবদের দ্বারা অপমানিত, নিগৃহীত হতে হতে (যেটা তুমি আমার সাথেও করার চেষ্টা করলে ওইদিন) একসময় এইদেশ ছেড়েই চলে যেতে বাধ্য হয়।
ওর মত হয়তো আমিও আমার মা-বাবা-স্ত্রী-বোনের নিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় এরকম বাধ্য হব কোন একদিন। তবে সৌভাগ্যক্রমে আমার সেই কালো দিনটা এখনও আসেনি।
তাই অনুরোধ... কেবল ওর সিদ্ধান্ত দেখে ওকে ভুল বুঝো না, ওর ওই সিদ্ধান্তের পেছনে ওই পরিবারগুলোর বুকফাটা কষ্টের কারণটাও অনুধাবন করার চেষ্টা কর।
শেষ কথাঃ বন্ধুর বিপদে হাত বাড়াতে না পারো, ঐসব কথা বলে ওর কাটা ঘায়ে নূনের ছিটা দিও না।
জয় বাংলা।
Ershadur Rahman Talukder:
আম আর ছালা দুইটাই যখন বিপন্ন তখন ছালার দামই বেশি, কারণ আজ ছালা হারালে কাল আম গুলো অন্যের দখলে চলে যাবে না তার নিশ্চয়তা নাই, ফলে থাকবে না কিছুই । আর ছালার সাথে কিছু ফ্রী আম তো আছেই। বাকী আম কিছু ঝাকিতে পড়বে, কিছু গাছ থেকে পেড়ে নিবে আর তাতেও না হলে একটা দুইটা ঝড়। ঝড়ে তো আম পড়েই…..
প্ল্যানটা খারাপ না।
Salma Mahbub:
দুঃখজনক, বাংলাদেশই মনে হয় একমাত্র দেশ যার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় ইস্যুতে পর্যন্ত একি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়ে দাড়াতে পারে না। যারা দেশকে এক বিন্দু ভালবাসে না, ক্ষমতার মোহই যাদের কাছে মুখ্য আমরা কেন তাদের ভোট দেই? আমাদের ভোট কি এত সস্তা?
Russell Abdullah Al Mamun:
রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ক্ষমা করো। তোমার দেশ তোমারই আছে নেই শুধু তোমার রেখে যাওয়া বি এন পি। আমার সেই আপোষহীন নেত্রী ও আছে নেই তার সেই আপোষহীন রাজনীতি যে আগুনে ভস্ম হয়েছিলো স্বৈরাচারের গদি।
Aagontuk Mafuj:
আমাদের মিডিয়ার চেয়ে কলকাতার আকাশ বাংলা মনে হয় আমাদের দেশের খবর বেশি রাখে...। বিএনপি হরতাল ডাকার ১দিন আগেই আকাশ বাংলায় প্রচার হলো "রোববার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে ৭২ ঘন্টার বনধ।" খবর টা দেখে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে ছিলাম। কিন্তু একদিন পর তা সত্যি হলো...অথচ আমাদের মিডিয়ায় তা প্রকাশ হয়নি। সেখানে আরো উল্লেখ হয় "সেনা নামতে পারে প্রয়জনে.. প্রস্তুত আছে.." এখন এই অংশটুকু বাস্তবায়নের বাকি আছে......
এই পরিস্থিতিতে যাদের মনে সংশয়-প্রশ্ন কি হচ্ছে কোন দিকে যাচ্ছি...তারা আকাশ বাংলায় চোখ রাখুন...। তবে আমার মনে আরেকটা প্রশ্ন "আকাশ বাংলা" এতো আগাম খবর পায় কই???
Farjanul Islam Nirjhor:
ধুমা বিএনপির সমালোচনা চলছে।কেন জামাত-শিবিরকে বিএনপি ছাড়ছে না...ইত্যাদি ইত্যাদি।হাহাহা...খুবই প্রাসঙ্গিক সব কথাবার্তা।তা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ নম্বর ধারাটা মনে আছে তো?আর কোন ধারাই তো লাগে না,না?শুধু এই ধারাতেই জামাত নিষিদ্ধ করা যায় না?তা সেইটা করবার দায়িত্ব কার?কে পারবে?৩০ আসনের বিএনপি?না ২৩০ আসনের সরকার?তো ২৩০ টা আসন নিয়েও সরকার সেইটা কেন করছেন না?কেন এমন কি দেশের প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন,জামাত নিষিদ্ধ করবার কোন প্ল্যানই আপাতত ভাবে তারা করেন না বা এ সংক্রান্ত কোন আলোচনা হয় নাই?নিষিদ্ধ করেই দেখেন না,বিএনপি কিছু করতে পারে কিনা।যেই দল তার সাংগঠনিক সম্পাদকের গুম হবার মত ব্যাপারটা হজম করতে বাধ্য হয়েছে তারা এই ব্যাপারে হিমাদ্রি নিরব আর হালকা কিছু পুতুর পুতুর ছাড়া আর কিছুই করবে না। হাহাহা...এর পরেও সব দোষ শুধুই বিএনপির।
ভয়ংকর একটা রাজনৈতিক খেলা চলছে।এই খেলার মূল খেলোয়াড় অবশ্যই লীগ আর জামাত।ঐ 'নিষিদ্ধ'টা একধরণের অপিয়াম।ফট করে ৪২ বছর ধরে চলে আসা একটা দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না।এই দলটার উত্থানের পিছে যে আমাদেরই বাপ দাদা দেরও ৭১ পরবর্তী নিশ্চুপ ও নিরব ভূমিকা আছে,তাতে কি কারো কোন সন্দেহ আছে?তো নিষিদ্ধ না করেই একে নিয়ে অসাধারণ রাজনীতির পানি ঘোলা করা হচ্ছে আর হবে।কই গত চার বছর তো এই গানটা বাজে নাই...এইটা তো তাদের নির্বাচনী ম্যান্ডেটও ছিল না।তাহলে?পানি ঘোলা করে আসলে কাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে(এবং বলতেই হবে সেইটা খুবই সফল),এবং কারা বোকার মত সবার পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে?উত্তরটা হল বিএনপি।হাহাহা।
জামাত নিয়ে বিএনপিও কম ফান্দে পড়ে নাই...জুনিয়র লেভেলে তীব্র অসন্তোষ যে বেড়েই চলেছে সে কথা এই দলের উপরের দিকের কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না।দেখেন,ভয়ংকর ব্যাপারটা কি,জামাত একটা হুলুস্থুল ধরণের চিকন বুদ্ধি সম্পন্ন ধর্ম কেন্দ্রিক বাণিজ্যিক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।ওখানে ব্রেইন ওয়াস করে মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যে ধর্ম রক্ষার্থে খুন করাও জায়েজ।কিন্তু কেউ যদি খালি খুন-ই করতে থাকে তাহলে অন্তত জামাতে সে নেতা হতে পারবে না।জামাতের নেতা হতে হলে মেলা মেলা জিনিসপত্র দেখা হয় যা দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে দেখা হয় না...এইটা একটা তিক্ত সত্য।অন্য দলগুলোতে পয়সা বা সন্ত্রাস কে একটা নেতার আদর্শই বিবেচনা করা হয়,না?কিন্তু জামাত বা শিবির?এরা ওয়েল কন্ট্রোলড,ওয়েল অপারেটেড,ওয়েল ওয়াশড।অবশ্যই এরা হিংস্র,কিন্তু অনেক ঠাণ্ডা,অনেক বিশাল প্ল্যানড,সুদূরপ্রসারী ধান্দাবাজ।ছোটখাট ধান্ধাবাজি,টেন্ডারবাজি এদের মূল লক্ষ্য কোনদিনই ছিল না।এদের লক্ষ্য অনেক দূর।দেশের বিচার ব্যবস্থা,অর্থনৈতিক ব্যবস্থা,চিকিৎসা ব্যবস্থা,সব কিছু হাতে নেয়া...রুট লেভেল কে ইনভল্ভ করে।তা সেটাতে কি তারা একদম অসফল?
আমার নিজের নুরুদ্দিন নামের শিবির করা জুনিয়র কে আমি সারারাত ধরে ক্রস একজাম করে বের করেছিলাম কিভাবে তার পরিবার কে জামাত সহায়তা করছে...শুনে বেকুব হয়ে গেছিলাম তার নিজের বড়ভাইকেই জামাত নিজের খরচে লন্ডনে ব্যারিস্টার বানাচ্ছে...শিক্ষা বৃত্তি দিয়ে।লীগ বা বিএনপি কি এগুলো করে?আমি নিজেই ১০ টা লোকের নাম জানি যারা জামাতের পয়সায় বিদেশে আইন পড়ছে।এগুলো ২০০৩ এর ঘটনা...১০ বছর আগের।তাহলে ১০ বছরে নুন্যতম আরও ১০০ টা ছেলেকে তারা ঐ আইন পড়তে পাঠিয়েছে,না?হিসাবে এদের পড়া ২০২০ এর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।তার মানে কি দাঁড়াচ্ছে?২০২০ থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জামাত তাদের ২জন করে ব্যারিস্টার রাখতে পারবে,সুপ্রিম কোর্ট সহ।এগুলো কি আসলেই চিন্তার ব্যাপার না?তখন বিচার ব্যবস্থার শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করবে কে?
এক সাঈদীর ব্যাপারটা নিয়েই কি সব হয়ে যাচ্ছে।এখনও কিন্তু তার ফাঁসি হয় নাই...রায় হতেই কি অবস্থা।যখন জিয়াউর রহমান বা শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংস ভাবে খুন হয়ে গেছিলেন,তখন কয়টা লীগ বা বিএনপির লোক তাণ্ডব করেছিল?হাহাহা...অত সাহসই তাদের ছিল না,নাকি?জামাতের ১০টা লোক মানে শুধুই তাদের ১০ জন।লীগ বা বিএনপির কি তাই?হাহাহা।আচ্ছা,দেখি তো,আমাকে বর্তমানের জামাতের জেলের বাইরে থাকা নেতৃত্বের উপর পর্যায়ের দশটা নেতার নাম বলেন তো।পারলেন না...না?পারা সম্ভবও না যদি না আপনি জামাত করেন,বা সাংবাদিকতা করেন,বা এইগুলো নিয়ে ব্যক্তিগত ইন্টারেস্ট রাখেন।কারণ কি?কারণ তারা তাদের পরিচয়টা চেঁচিয়ে দিয়ে বেড়ায় না...এইটা আমরা দিয়ে বেড়াই...এইখানেই আমাদের বেকুবি।
তো এই জিনিসগুলা মাথায় রেখেই দেখেন দেখি,নিষিদ্ধ করার দাবিটা আসলেই খুব সহজ কি না?ধরলাম নিষিদ্ধ হয়েই গেল...ভেবে দেখেছেন কি এর ফল কি হতে পারে?হিজবুত তাহরীর নামের পিচ্চি একটা সহিংস ইসলামী দল-ই আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবার পর,সারা দেশে এখনও আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়ে আছে,না?এমনকি এখনও তো হিজুদের পুরো নির্মূল করা সম্ভব হয় নাই।আমারই এক ডাক্তার বড়ভাই সরাসরি এইটার কর্মী এখনও।তাহলে?এইবার আসেন তো,একটু ভেবে দেখি যদি লাখ বিশেক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জামাত শিবির কে আপনি নিষিদ্ধ করলেন।কি হবে?এরা স্রেফ আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে,জনতার কাতারে মিশে যাবে বা নতুন নামে কোন দল শুরু করবে।যদি দল খুলে ফেলে আলহামদুলিল্লাহ্,আমাদের সামনেই তাদের চেহারা থাকবে।কিন্তু যদি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় বা জনতার কাতারে মিশে যায়,এইসব ব্রেইন ওয়াশড লোকজন স্রেফ আমাদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে রে ভাই।এরা কেউ হবে আপনারই গাড়ির ড্রাইভার,কেউ হবে আপনার অফিসের পিওন,কেউ হবে বাসার দারোয়ান,কেউ আপনার বাচ্চার স্কুল মাস্টার।অলরেডি আজকেই রাজীব হত্যার সাথে এমনকি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত শিবির কর্মীরা ধরা পড়ে গেছে।এখনই এই অবস্থা,তা তখন কি হবে?আপনি তার পেছনে আঙ্গুল দিয়ে তার ওয়াশড ব্রেইন কে গুঁতো দিয়েছিলেন,সে কি দেবে না?আপনি তো তাকে চিনতেই পারবেন না রে ভাই,আপনি তো তার বর্তমান নেতাদেরই চেনেন না...আপনি খালি লাফান।বলেন,কিভাবে বুঝবেন আপনার ডাক্তার সহকর্মী আজ বোমা নিয়ে হাসপাতালে ঢোকে নাই?কিভাবে বুঝবেন আপনার বাচ্চার ক্লাসটিচার বুকে বোমা বেধে ক্লাসে যাবে না?কিভাবে বুঝবেন আপনার ড্রাইভার আপনারই গাড়িটা নিয়ে কোন বিধ্বংসী কাজে যাচ্ছে না?কিভাবে বুঝবেন আজ যে বাসটায় ঝুলে অফিসে যাচ্ছেন তার কন্ডাক্টার বাসের ভেতরে কোথাও বোমা রেখে দেয় নাই?কিভাবে বুঝবেন?কিভাবে?
বলেন,এই জিনিসগুলা কি সরকারের মাথায় নাই?অবশ্যই আছে।আমজনতার মাথায় আসতে পারে আর কোটি কোটি টাকা সরাবার বুদ্ধি প্রণেতাদের মাথায় এগুলো থাকবে না এইটা হতে পারে না।অ্যান্ড ইয়েস,দোজ আর উইদিন দ্য পলিটিকাল গেইম প্ল্যানস।জামায়াত যদি ধ্বংসযজ্ঞে মাতেই (এবং মেতেও গেছে...এই গেইম প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য,চলমান সরকারের পাতা চরম ফাঁদে পা দিয়ে),কম কিছু করবে না নৃশংস আচরণের,তখন সরকারও তাদের থামাতেই নির্বিচারে খুন করে যাবেন...নিষিদ্ধ না করে...।তাই কি হচ্ছে না?একদিকে অহিংস আন্দোলন চলছে,আরেক দিকে সহিংসতা,তাইনা?বাহরে বাহ!
তো এইভাবে জামাত মরলে কি হবে?সাপ কমবে,পুলিশ কমবে,পুলিশের দোষ হবে,লাঠি ভাঙবে না,লাঠিয়ালরাও ঠিক থাকবে।একটা প্যানিকও তৈরি হবে,জনগণ ভয়ে থাকবে জামাতের আর সরকারি পুলিশের।আর আমাদের,এই আমজনতার কি হবে?আমরা ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে যাব...স্ট্রেইট।আমি আর আপনি ভুলে যাব বিডিআর বিদ্রোহ,ইলিয়াস আলি গুম,শেয়ার বাজারের ধ্বস,পদ্মা সেতুর সার্কাস,ডেস্টিনি,হলমার্ক,কালো বিড়াল,সাগর-রুনি,রামুর ঘটনা,গার্মেন্টস এ আগুন,বিশ্বজিৎ হত্যা...।একের পর এক হওয়া ভয়ংকর নৈরাজ্যের ঘটনা মেনে নিয়েও উর্দু নামধারী দলটাকেই ভোট দিতে বাধ্য থাকব।কেন?কারণ কি?কারণ আওয়ামী লীগই পারে একমাত্র জামাত দমন করতে...হাহাহা,তারাই পারে একমাত্র শক্ত ভাবে দেশ চালাতে,এবং রাজাকারের বিচার করতে।অথচ দেলুর ৮ টা মামলা প্রমাণিত হয় নাই(কেন করা হয়েছিল তাহলে এইগুলো?কি বুদ্ধিতে?),কাদের এর টাতো স্রেফ প্রহসন(এখন আবার চুইংগামের মত টেনে লম্বা হচ্ছে),আর বাচ্চুর পালায়ে যাওয়াটাকে তো সরকারী প্রযোজনায় যাত্রাপালার সাথেই তুলনা করা যায় মাত্র,না?
আর বিএনপি?তারা তো অলরেডিই জামাতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে...আওয়ামী লীগও সেইটাকে এনহ্যান্স করে প্রচার করছে যে বিএনপি হল বর্তমানে ৭১ এর রাজাকারের ভূমিকায় আছে...তাই না?হাহাহা...(অথচ এই আমিই যখন ৩৮টা বিএনপির ছেলে নিয়ে শাহবাগ গেছিলাম আমাদের বিন্দুমাত্রও পোঁছা হয় নাই...কারণ আমরা বিএনপি করি...আর দেশটাতো লীগের বাপ দাদার...।আমরা যারা বিএনপি সমর্থন করেও চরম জামাত বিরোধী আর নিজের হাতে শিবির পুন্দানো লোক,দেশ আমাদের বাপ দাদার নয়...আমরা আবাল...আমরা স্রেফ ভেসে এসেছি...আমরা বেকুবের মত সত্য কথা বলি...এবং দেশ রক্ষায় লীগই যথেষ্ট...আমাদের দরকার নাই)।
গত বৃহস্পতিবার রাজীব হত্যার ৭ দিনের আল্টিমেটাম,মুনশি হত্যার ৮ দিনের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে।অনুভূতি শূন্যভাবে আল্টিমেটাম দেয়া আর শেষ হওয়া দেখছি...ঢাকার অহিংস আর মফঃস্বলের সহিংস নাটক দেখছি।দীর্ঘ লেখা দিয়েও বিরক্ত করছি।বিরক্ত করবার জন্য নিতান্ত দুঃখিত।আগে দুঃখেও হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসত,ইদানিং আর আসে না।হাসিই আসে না...রাজনৈতিক সব নোংরা খেলা দেখে চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।কিন্তু অসহায় হয়ে বসে থাকি...কিছুই করতে পারি না...কিছুই না।
শুভকামনা।
Bondona Kabir
যে ছেলেগুলো রাজীবকে হত্যা করেছে তাদের খুব মনযোগ দিয়ে দেখলাম ।
বার বার দেখলাম । পাথরের মত তারা হেঁটে চলেছে হাতে দঁড়ি নিয়ে ।
ভাবলেশহীন এক এক্টি চেহারা ! নির্লিপ্ত আচরন !
আচ্ছা, যে নারীটি নয়টি মাস পেটে ধরে পাজড় ভাঙ্গার সমান ব্যাথা সহ্য করে একে দিয়েছে
সেই নারীটির থেকেও কি বেহেশতের হুর অনেক বেশি আকর্ষনিয়??
তাইই যদি হয় তো এরা দেশমাতৃকাকে ভালবাসবে এটা কি করে আশা করা যায়?
মায়ের জন্য ভালবাসার চাইতে যাদের স্বর্গের হুরের প্রতি লোভ
তাদের দিয়ে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাজটি করা কোনো ব্যাপারই না,
হত্যা তো সামান্যই ।
Tanvir Ahmed
Allah Bangladesh k rokkha koro. Amra kono dole dole bivokto hote chaina, amra amader dash a vhalobasa niye beche thakte chai. Allah manuske vhalobaste sekhao. Tumi amader upor osontosto keno? Amrato tomar jonno sara jindegi sukur gujari kore jabo. Tumi amader r kosto diona.
Latif Hossain
"এখনও যে রাজাকার, ফাঁসিতে ঝোলার তার শ্রেষ্ঠ সময়"
- ট্যাগ:
- সোশ্যাল মিডিয়া