.jpg)
ছবি সংগৃহীত
সুন্দর ও ঝকঝকে বাথরুমের জন্য
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৩, ০৬:০৫
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৩, ০৬:০৫
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৩, ০৬:০৫
বাড়ির অন্যসব ঘরের মতো বাথরুম পরিষ্কার রাখাটাও বেশ জরুরি । কারন বাথরুম পরিষ্কার না থাকলে বাড়ির সৌন্দর্য অনেকখানিই কমে যায়। যতটা সহজ মনে হয় বাথরুম পরিষ্কার রাখাটা কিন্তু ততটা সহজ নয়,কিন্তু কিছু সঠিক নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই আপনার বাড়ির বাথরুমটি হয়ে উঠবে ঝকঝকে ও সুন্দর । আসুন,জেনে নেই বাথরুম পরিষ্কার রাখার কিছু জরুরী টিপস -
- - নিজের বাড়ির বাথরুমটি তৈরির সময় খেয়াল রাখুন যেন,বাথরুমে প্রথমে বেসিন,তারপর কমোড ও তারপর শাওয়ার থাকে । শাওায়ারের চারপাশে শাওয়ার পর্দা ব্যবহার করুন করুন, এতে গোছলের পানি পরে বাথরুম ভিজে যাবে না ।
- - বাথরুমে এগজাস্ট ফ্যান থাকলে মাসে অন্তত একবার ফ্যান পরিষ্কার করুন । কারন অতিরিক্ত গরম ও বর্ষায় ফ্যানে সহজে ধুলো জমে।
- - নিয়মিত ড্রেনের পাইপ পরিষ্কার করুন।
- -সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন কমোড পরিষ্কার করুন। কমোড পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গুঁড়ো সাবান ব্যবহার না করে লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করুন।
- - কমোড বা বেসিনের পাইপে লিক থাকলে দেরি না করে দ্রুত তা সারিয়ে নিন।
- - বাথরুম সব সময় শুকনা রাখার চেষ্টা করুন । এতে ছোট বাচ্চাদের ও বয়স্কদের বাথরুমে পড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না। আজকাল বাজারে অ্যান্টিস্কিট টাইলস পাওয়া যায়। এই ধরনের টাইলস বাথরুমে লাগাতে পারেন,তা হলে বাথরুম পিচ্ছিল হবে না।
- - বাথরুমে একটা ডাস্টবিন রাখুন ও নিয়মিত তা পরিষ্কার রাখুন। বাতিল প্যাকেট বোতল এই ঝুড়িতে ফেলতে পারবেন।
- - বাথরুমের জানালা যতটা সম্ভব খোলা রাখবেন। কারন বাথরুমে রোদ ঢুকাটা খুব জরুরী। বাথরুমে রোদ ঢুকতে পারলে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর হবে ও জীবাণুও থাকবে না।
- - বাথরুমের ভ্যাবসা গন্ধ তাড়াতে ফ্রেশনার ও ন্যাপথলিন ব্যবহার করুন।
- - নির্দিষ্ট জায়গায় বাড়তি সাবান,তেল, শ্যাম্পু ও পেস্ট রাখুন। তা হলে জিনিস খুঁজে পেতে অসুবিধা হবে না।
- - বাথরুমে গিজার থাকলে ২ মাসে অন্তত ১ বার সার্ভিসিং করুন ।
- - নিয়ম করে পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করুন। পানিতে নোংরা থাকলে কমোড ও বেসিনে দাগ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- - বাথটাব,বেসিন ও কমোড পরিষ্কার করার জন্য আলাদা ক্লিনিং লিকুইড,ব্রাশ ও প্যাড ব্যবহার করুন। বাথরুমের যে কোন জিনিস ব্যবহার করার পর একবার ভাল করে ধুয়ে নেয়া উচিত।
- -গোসলের পর পুরো বাথরুম শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন,তা হলে বাথরুম পিচ্ছিল হবে না। সবথেকে ভাল হয় বাথরুমে একটা লম্বা হাতল ওয়ালা মপ রেখে দিলে। যাতে বাথরুম ব্যবহার করার পর সবাই একবার করে মেঝে শুকনো করে মুছে দিতে পারে।
- - বাথরুম কখনও গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন না।কারন এতে কমোড ও বেসিন ফেটে যেতে পারে ।
- - বাথরুমে সব সময় একটা রুম ফ্রেশনার রাখুন,মাঝে মাঝে স্প্রে করে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিন ।

- - অনেক সময় বাথরুমের দেয়ালে,কোনে ও সিলিংয়ে ছাতা পড়ে যায় । এই সমস্যা দূর করতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও পানি সম পরিমানে মিশিয়ে এই সব জায়গায় স্প্রে করুন । ২ ঘণ্টা পর আবার স্প্রে করুন। ২৪ ঘণ্টা পর আরও একবার স্প্রে করুন । তবে জায়গাটা কোন রকম ঘষা ঘষি করবেন না ।
- - বাথরুমে একটা লন্ড্রি ঝুড়ি রাখতে পারেন,তা হলে নোংরা জামা কাপড় ছড়িয়ে না রেখে এই ঝুড়িতে রাখতে পারবেন।
- - অনেকেই বাথরুম ক্যাবিনেটে বাড়তি তোয়ালে,কাপড় রাখেন । পোকা -মাকড়ের উপদ্রপ এড়াতে ন্যাপথলিন বা নিমপাতা দিয়ে রাখতে ভুলবেন না ।
- - ভিজা স্পঞ্জ দিয়ে বাথরুমের আয়না মুছতে পারেন । লিকুইড ক্লিনার দিয়ে বেসিনের কাউন্টারের উপর পরিষ্কার করবেন ।
- - বাথরুমে বাথটাব থাকলে ১ দিন পর পর তা পরিষ্কার করুন ।
- - যখনই কোন বাথরুম ফিটিংস পরিষ্কার করবেন,তখনই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লিকুইড দিয়ে ফিটিংস গুলো একবার মুছে নিবেন ।
- - সম্ভব হলে বাথরুমে রোজ তাজা ফুল রাখতে পারেন,তা হলে একটা ফ্রেশ অনুভূতি হবে ।
১ ঘণ্টা, ৩৮ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৪৪ মিনিট আগে
ঢাকা পোষ্ট
| ঢাকা মেট্রোপলিটন
১ ঘণ্টা, ৪৫ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৫৩ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৫১ মিনিট আগে
৪ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট আগে
৪ ঘণ্টা, ৩৪ মিনিট আগে