ছবি সংগৃহীত

সকালের নাস্তায় খিচুড়ির হরেক উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩২
আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৩, ০১:৩২

দিনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের নাস্তা। ঝলমলে একটা দিন শুরু করতে পেট ভরে নাস্তা করার কোনও বিকল্প নেই। অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যথেষ্ট রুচি থাকে না, ফলে না খেয়েই বের হয়ে যান পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্রে। এটা কিন্তু শরীরের বেশ ক্ষতি করে। দিনের শুরুতেই খালিপেটে অনেকটা সময় কাটালে যথেষ্ট শক্তি তো পাওয়া যায়ই না, বরং নাস্তা না খাওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করলে জটিল সব অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এর প্রতিকার হলো, সকালে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর নাস্তা করা। আর এর জন্য উপযুক্ত একটি খাবার হচ্ছে খিচুড়ি!

খিচুড়ির অনন্য পুষ্টিগুণঃ

খিচুড়ির একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে উপস্থিত এসেনশিয়াল এমিনো এসিড। মানুষের শরীরের জন্য উপকারি এসেনশিয়াল এমিনো এসিডগুলো পাওয়ার জন্য আমিষ ও শ্বেতসার দুটোই খেতে হয়। এখানেই রয়েছে খিচুড়ির উপকারিতা। কিছু এমিনো এসিড থাকে চালে। কিছু এমিনো এসিড থাকে ডালে। এ দুটো একসাথে করে খিচুড়ি রান্না করলে মাংস থেকে যে পরিমাণ এমিনো এসিড পাওয়া সম্ভব তার প্রায় সবটাই পাওয়া যায়। আর তার সাথে শর্করা, ভিটামিন এবং খনিজ তো আছেই।

পুষ্টি তালিকাঃ

এক প্লেট খিচুড়িতে আছে ১৭৭ ক্যালোরি শক্তি, ৩২.৩ গ্রাম শর্করা, ৮.৪ গ্রাম প্রোটিন, ১.৫ গ্রাম চর্বি। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন এবং আঁশ রয়েছে খিচুড়িতে।

খিচুড়ির টুকিটাকিঃ

  • দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় খাবার খিচুড়ির উৎস বাংলাদেশ। ধারণা করা হয় মিশরীয় খাবার “কোশারি” এসেছে খিচুড়ি থেকেই।
  • শুধুই চাল-ডাল দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি থেকে অনেকটা শক্তি পাওয়া গেলেও, সকালে অন্যরকম স্বাদ আনতে এতে যোগ করতে পারেন বিভিন্ন রকমের সবজি এবং মাংস, চিংড়ি ইত্যাদি। একেক দিন একেক রকমের মশলা ব্যবহার করতে পারেন।
  • শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে পারে খিচুড়ি। এ ছাড়াও বেশ সহজপাচ্য এবং শক্তিদায়ক বলে অসুস্থ এবং দুর্বল মানুষকে খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয়।
  • বাচ্চাদের পেটে সহজে শক্ত খাবার হজম হয় না বলে তাদেরকে একেবারে নরম করে খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয়।
  • সুস্থ মানুষের জন্যেও খিচুড়ি অন্যান্য খাবারের চাইতে অনেক বেশি পুষ্টিকর। তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে যেতে পারে বলে সকালে দ্রুত শরীরে শক্তি আনতে এর জুড়ি নেই। আর এর সাথে যদি যোগ করা যায় সবজি তাহলে শরীর আরও ভালো থাকবে।
আর এসব উপকারিতা জানার পরেও যদি খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে না করে তবে মুখরোচক এবং পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান যোগ করে এর চেহারা এবং গন্ধ করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয়। তাহলে সকালের নাস্তাও হবে মজার আর পুষ্টিও হবে ষোলআনা!