
ছবি সংগৃহীত
মা বড় নাকি স্ত্রী!
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৫, ১৮:২০
(প্রিয়.কম) ‘ডিম আগে না মুরগী আগে’ দ্বন্দ্বের মতো বেশীরভাগ বিবাহিত পুরুষ যে দ্বন্দ্বের মধ্যে তার বিবাহিত জীবন পার করেন তা হচ্ছে মায়ের দিক দেখবেন নাকি স্ত্রীর দিকটি দেখবেন। মায়ের দিক দেখলে স্ত্রী নাখোশ, অপরদিকে স্ত্রীর দিকটি দেখলে মায়ের মুখটি ভার হয়ে থাকে। সত্যিকার অর্থে পুরুষেরা বেশ বিপদেই পড়ে থাকেন তার জীবনের সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুজন নারীকে নিয়ে। পুরুষ বেচারা বুঝতেই পারেন না কিভাবে কি করবেন যাতে করে তিনি নিজে একটু শান্তিতে থাকতে পারেন। অনেক ছেলেই বিয়ের আগে থেকেই এইসব ভেবে নিয়ে বিয়ের থেকে উল্টো দিকে হাঁটা ধরেন। এই সমস্যা কিন্তু দূর করে ফেলা যায় এক নিমেষেই। জানেন কিভাবে? ১) মা বা স্ত্রী কেউ কারো অবস্থান নিতে পারেন না। তারা দুজনে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং আলাদা সম্পর্ক জড়িয়ে আছেন আপনার সাথে। এই ব্যাপারটি আপনি যেমন বুঝছেন তেমনই বুঝিয়ে দিন নিজের স্ত্রী এবং মাকে। বলুন, তারা দুজনেই আপনার জীবনের ভিন্ন দুটি অংশ জুড়ে আছেন। ২) নিজের বিবেক বিবেচনা কাজে লাগান। কেউ যদি কারো সম্পর্কে কিছু কথা বলেন তাহলে অন্যের উপর চড়াও হবেন না। বিয়ে যখন করেছেন তখন এইটুকু বোঝার তো বয়স হয়েছেই। ৩) দু পক্ষকেই কম্প্রোমাইজের কথা বলুন। স্ত্রীকে বলুন, মায়ের স্থান সব সময়েই অনেক উপরে, শাশুড়ি হিসেবে নয় তাকে মা হিসেবে দেখুন। আর মাকে বলুন আপনি এখন আর তার ছোট্ট ছেলেটি নেই, একটু তো তফাত থাকবেই, তার মানে এই নয় যে আপনি স্ত্রীর হয়ে গিয়েছেন। ৪) মা বলেছেন বলেই যে তা বেধবাক্যের মতো বিশ্বাস করে নিয়ে স্ত্রীকে যা তা শোনাবেন এমন যেনো না হয়, বিষয়গুলো পুরোপুরি জেনে, নিজে বুঝে এবং নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কাজ করুন। আবার স্ত্রী আঁচল ধরেও ঘোরার কোনো অর্থ হয় না, তার কথা মতো চলে বাবা-মাকে ওল্ডহোমে রেখে আসার মতো কাপুরুষতাও করবেন না। ৫) দুজনের কথা শুনে বোঝার চেষ্টা করুন তাদের সমস্যা কোন জায়গায়। আপনি যেনো শুধু একজনের কথা কানে তোলার মতো আগুনে ঘি ঢালতে যাবেন না। এতে কিন্তু জীবন দুর্বিষহ হবে আপনারই।