ছবি সংগৃহীত
মচকে যাওয়া পা নিয়েও শুটিং করেছি: জলি
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১২:১২
ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) ‘অঙ্গার’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হতে যাচ্ছে অভিনেত্রী ফাল্গুনী রহমান জলির। এ ছবির নায়িকা তিনি। ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারতে এক যোগে ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে। ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত এই সিনেমাতে জলির বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক ওম প্রকাশ সাহানিয়া। বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া আর অশোক ধানুকার এসকে মুভিজের সঙ্গে বাংলাদেশ ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।
প্রিয়.কম: প্রথমবারেরমত চলচ্চিত্রের পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন, কি মনে হয় দর্শক আপনাকে কিভাবে গ্রহণ করবে?
জলি: এ বিষয়টি ভেবে নিজের মধ্যে নি:সন্দেহে দারুণ অনুভূতি কাজ করছে। আবার ভয় ভয়ও লাগছে। দর্শকরা কিভাবে আমাকে গ্রহণ করবে। সময় যত গড়াচ্ছে ভয়ের মাত্রাও তত বাড়ছে। তবে আমি আশা করছি তাঁরা (দর্শক) আমাকে আপন করে নিবে।

প্রিয়.কম: ‘অঙ্গার’ ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়েছে ছবিটি বাণিজ্যিক দিক থেকে গত দশ বছরের বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন একটি রেকর্ড সৃষ্টি করবে, আপনার কি মনে হয়?
জলি: আমার কাছে মনে হয় চলচ্চিত্রটি প্রযোজনায় যাঁরা সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তাঁদের কাছে মনে হয়েছে যে ছবিটি বাণিজ্যিক দিক থেকে নতুন একটি রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু তাঁরা বলেছে সেহেতু বুঝে শুনেই তাঁরা কথাটি বলেছে। তবে আমি একজন নতুন হিসেবে বলবো, এ ছবিতে আমার আর ওমের সঙ্গে যারা অভিনয় করেছেন তারা অনেক দক্ষ ও গুণী শিল্পী। আমরা সবাই মিলে এ ছবিটিতে অনেক শ্রম দিয়েছি। এ ছবিটিতে কাজ শুরু করার আগে আমি কোনদিনও ক্যামেরার সামনে দাড়াইনি। কিন্তু আমি যখন ছবিটির গল্প শুনলাম তখন মনে হয়েছে-এককথায় দারুণ। তখন কাজটি করার জন্য আরও বেশি উৎসাহবোধ করেছি।
প্রিয়.কম: ছবিটি দেখতে দর্শকেরা কেন প্রেক্ষাগৃহে যাবে?
জলি: আমি নতুন নায়িকা হিসেবে কেমন অভিনয় করলাম সেটি দেখার জন্য। দর্শকেরা অনেক বাংলা ছবি দেখেন। কিন্তু চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে যখন কোন ছবি নির্মাণ করা হয় তখন প্রত্যেকটি ছবিতে দর্শকদের জন্য নতুন নতুন কিছু না কিছু থাকেই। এ ছবিতেও তার ব্যতিক্রম নয়।

প্রিয়.কম: ছবির শুটিংয়ে তো কত ধরনের ঘটনাই ঘটে থাকে-তবে উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা রয়েছে কি?
জলি: এ ছবির একটি দৃশ্যে আমি ওমকে বাড়ি থেকে লুকিয়ে খাবার এনে খাওয়াচ্ছি। ছবিতে আমার চাচা থাকেন টাইগার রবি। দৃশ্যটা এমন- তিনি আমাকে দেখে ফেলেন। আর ওম তো আমাদের বিপরীত দলের। পারিবারিকভাবে তাঁদের সঙ্গে আমাদের টানাপোড়েন রয়েছে। তখন শট দেওয়ার আগে রবি আংকেল কে বলেছিলাম যখন চড় দিবেন-তখন বেশ জোড়ে দিবেন। যাতে আমি অনুভব করতে পারি সত্যিই আমি ভুল করেছি। এবং সেই সঙ্গে যাতে পর্দায় এ দৃশ্যটি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি। তখন তিনি বললেন, জলি এটা কিভাবে সম্ভব। এরপর তিনি সেই দৃশ্যধারনের সময় আমাকে অনেক জোড়ে চড় দিলেন। শুটিং স্পটের পাশে ঘাসের আড়ালে একটি গর্ত ছিলো সেটি খেয়াল ই করি নাই। চড় খেয়ে সেটির মধ্যে আমি পরে যাই। এরপর আমার দুটি পা মচকে যায়। ডান পায়ের হাড় সরে যায়। পরে মচকে যাওয়া পা নিয়েও শুটিং করেছি।
প্রিয়.কম: এবার ভিন্ন একটি বিষয়, বর্তমানে আপনার কথা বলার ধরণ অনেকটা কলকাতার মানুষদের মত, আপনি ঢাকায় বড় হয়েছেন, ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করছেন, বিষয়টি কিভাবে রপ্ত করলেন?
জলি: বিষয়টি অনেকটা অনিচ্ছকৃত। আর ছবিটি যেহেতু যৌথ প্রযোজনার। আর বেশির সময়ই কলকাতায় থাকতে হয়েছে। আর আশেপাশের মানুষগুলো যে ভাষায় কথা বলবে, সেটি কিছুটা হলেও প্রভাব পরবে। অনেকটা বলতে পারেন শুনতে শুনতে শিখে গিয়েছি। আমি যখন কলকাতা যাই তখন তাঁদের টোনে কথা বলি। আবার বাংলাদেশে ফিরে আসলে আবার আমার মত করেই কথা বলি।