
ছবি সংগৃহীত
ভালোবাসার পুরুষটি যখন পরনারীতে আসক্ত...
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৪, ১৫:৪৩
যখন আপনার সাথে তার সম্পর্ক হয়েছিল তখন তার এমন স্বভাব ছিলো না। দিন যত যাচ্ছে তার পরনারীতে আসক্তি বাড়ছে। প্রথম প্রথম এখানে ওখানে গিয়ে আশে পাশের নারীদের সাথে ফ্লার্ট করতো যখন, তখন ব্যাপারটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় নি। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে তা রীতিমতো পরকীয়ার দিকে এগুচ্ছে। ফোনে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলা, লুকিয়ে ডেটিং-এ যাওয়া সবই চলছে সমান তালে। কিছুদিন এই মেয়ে তো কিছুদিন সেই মেয়ে, যদিও আপনার কাছে বার বার প্রতিজ্ঞা করছে সে যে এমনটা আর হবে না। কিন্তু তার পরেও আপনাকে না জানিয়েই এধরণের অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আপনার ভালোবাসার পুরুষটি প্রতিনিয়ত। এমন পরিস্থিতে অনেক নারীই মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। এই অবস্থায় না পারেন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে আবার না পারেন সেটা ধরে রাখতে। যতবারই সম্পর্ক ভাঙ্গার কথা ভাবেন আপনার সঙ্গী ততবারই নিজেকে শুধরে নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে। আর সেই আশার সম্পর্কটাকে আঁকড়ে ধরে থাকেন আপনি। কী করবেন এমন অবস্থায়? আসুন জেনে নেয়া যাক ভালোবাসার পুরুষটি পরনারীতে আসক্ত হলে কী করা উচিত।

প্রেমের সম্পর্কের মায়া ত্যাগ করুন
আপনার সম্পর্কটি যদি বিয়ে পর্যায়ে না গড়িয়ে থাকে তাহলে সম্পর্কটি থেকে সরে আসাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ এধরণের অভ্যাস যে সব পুরুষের থাকে তারা সাধারণত সারাজীবনেও শুধরাতে পারে না। যতই প্রতিজ্ঞা করুক না কেন নিজের অজান্তেই আবারো এধরণের কার্যকলাপে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। তাই এধরণের সম্পর্ক ভেঙে ফেলা সম্ভব হলে ভেঙে ফেলুন। প্রথমে কিছুদিন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বেন আপনি। কিন্তু ভবিষ্যত জীবনের কথা চিন্তা করে এধরণের ক্ষতিকর সম্পর্ক থেকে সরে আসা উচিত।সরাসরি কথা বলুন
এধরণের পরিস্থিতিতে অনেককেই মনে মনে কষ্ট পেলেও মুখে কিছু বলেন না সঙ্গীকে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে ভালোবাসার পুরুষটির সাথে সরাসরি কথা বলে নেয়া উচিত। বিশেষ করে বিবাহিত সম্পর্ক যেহেতু চট করে ভেঙে ফেলা যায় না তাই কিছুটা ধৈর্য ধরে আপনার সঙ্গীকে বোঝাতে হবে আপনার বিষয়গুলো। তাকে সুন্দর করে জিজ্ঞেস করুন যে সে কেন এধরনের আচরণ করছে। তাকে বুঝিয়ে দিন যে এধরণের আচরণ গুলো সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং আপনার জন্য মানসিক যন্ত্রণাদায়ক।নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন
আপনার সাথে আপনার ভালোবাসার মানুষের সম্পর্কটি যেহেতু নৈতিক তাই আপনি নিজের আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। আপনার অহেতুক ভয় কিংবা হিংসা করার প্রয়োজন নেই। কারণ নিজের অবস্থানে আপনি সঠিক আছেন। তাই ঘাবড়ে না গিয়ে সঙ্গীকে বুঝিয়ে দিন যে সে যা করছে সেটা ভুল।