
ছবি সংগৃহীত
বহিঃকর্ণে ফাঙ্গাসজনিত ক্ষত বা অটোমাইকোসিস সমস্যায় সাবধান!
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ১২:০১
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ১২:০১
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫, ১২:০১
(প্রিয়.কম) - শরীরের অন্যান্য অংশের সাথে সাথে নিয়মিত আমরা কানও পরিষ্কার করে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে কানের বাহিরের দিকেও সমস্যা হতে পারে। ধরুন আপনি কানের প্রতি অনেক যত্নশীল কিন্তু তারপরেও কান চুলকানো সারছে না, বরং এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে এবং সাথে যোগ হয়েছে কান ব্যথা। কান দিয়ে পানির মতো কষ ঝড়ছে। কানের অতিপরিচিত অসুখটি হল এক ধরনের ফাঙ্গাসজনিত রোগ বা অটোমাইকোসিস নামে পরিচিত। কখনো কখনো তার সাথে বহিঃকর্ণের প্রদাহ যুক্ত হয় তখন একে বলা হয় অটোমাইকোসিস উইথ ওটাইটিস এক্সটারনা।
অটোমাইকোসিস রোগের কারণ
অনেকেই কানের বাড়তি যত্নের জন্য প্রতিদিন কান পরিষ্কার করে থাকেন যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কান পরিষ্কার করার কোন দরকার নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই কান পরিষ্কার হয়ে যায়। ঘন ঘন কান পরিষ্কার করার কারণেই কানে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যার বেশির ভাগই হয়ে থাকে ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত। একই সাথে দেখা দেয় প্রদাহজনিত ইনফেকশন। সাধারণত বহিঃকর্ণের সরু নালীপথে এ ধরনের ইনফেশন দেখা দেয়। কানে কটনবাডসহ বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার করার ফলে বহিঃকর্ণের মধ্যে দেখা দেয় ফাঙ্গাসের সংক্রমন। বহিঃকর্ণ ও মধ্যকর্ণের মধ্যে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকসের অধিক ব্যবহারের ফলেও এই ধরনের সংক্রমন হতে পারে। কানের এই ফাঙ্গাস দেখতে সাদা, বাদামি, কালো কখনো বা ভিজা খবরের কাগজের মতো। এই সংক্রমনের শুরুর দিকে বহিঃকর্ণ চুলকাতে থাকে ও খুব অস্বস্তি বোধ হয় এবং চুলকানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বহিঃকর্ণে ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং কান ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। কান দিয়ে আঁশটে গন্ধযুক্ত কষ ঝরতে থাকে। তখন পুরো কান বন্ধ মনে হয় এবং শুনতেও অসুবিধা হয়।চিকিৎসা
অটোমাইকোসিস রোগের চিকিৎসার প্রথমে কানের ফাঙ্গাস পরিষ্কার করে সেখানে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা ফাঙ্গাস নিরাময়ে বিভিন্ন মলম যেমন- নিস্টানিন, ক্লোট্রাইমাজল, সেলিসাইলিক এসিডসহ বিভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল মলম ব্যবহার করা হয়। কান সব সময় শুষ্ক রাখা উচিত। কখনো কখনো অটোমাইকোসিসের সাথে বহিঃকর্ণে প্রদাহ হয়ে থাকে। তাই সেটা নিরাময়ে অ্যান্টিবায়োটিকস ড্রপস ব্যবহার করা হয়।। পাসাপাশি ব্যথা নিরাময়ে ব্যথানাশক ওষুধ এবং চুলকানি নিরাময়ে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে কানে যাতে ফাঙ্গাসের এই সংক্রমণ না ঘটে সে জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আর যখন তখন কান পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন। আর তাছাড়া কানে কোন সমস্যা হয়েছে বলে মনে হলে তখন অবশ্যই নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। তথ্যঃ হেলথ ম্যাগাজিন, ডাঃ দীপঙ্কর লোধ, নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, মোবাইল- ০১৭১১৮৩২৯৪২- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- লাইফ
- কানের সমস্যা
- চিকিৎসা
- মানবদেহ
প্রথম আলো
| নরওয়ে
১২ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১০ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১২ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১৫ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১৬ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৩৩ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৯ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৫৭ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ৩৪ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ৩৮ মিনিট আগে
২৩ ঘণ্টা, ১ মিনিট আগে
২৩ ঘণ্টা, ২ মিনিট আগে
২৩ ঘণ্টা, ৫ মিনিট আগে