ছবি সংগৃহীত

বলিউডে সর্বকালের সেরা ৫ সাইকোথ্রিলার মুভি

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:৩৮
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ১৬:৩৮

(প্রিয়.কম) সাইকোথ্রিলার মুভির এক ধরণের আকর্ষণ থাকে। দর্শক সিনেমা শেষ না করে উঠতে পারে না। বলিউডের বেশির ভাগ সিনেমাই ক্রাইম থ্রিলার, মেলোড্রামা বা রোমান্টিক। সাইকোথ্রিলার সিনেমা খুব নির্মান হয়। এটা ঠিক সাইকোথ্রিলার সিনেমার গল্প তৈরি করে, সেই গল্প পর্দায় বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন করা খুব কঠিন। যাইহোক, এ পর্যন্ত বলিউডে বেশ কিছু সাইকোথ্রিলার সিনেমা তৈরি হয়েছে। এগুলোর মাঝ থেকে গল্প ও নির্মানে সেরা ৫ টি সাইকোথ্রিলার সিনেমার একটি তালিকা তৈরি করা হলো। আপনার তালিকার সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন।

১। ডর:

নির্মাতা ইয়াশ চোপড়া শাহরুখ খান, জুহি চাওলা ও সানি দেউল কে নিয়ে চমৎকার এই সিনেমাটি নির্মান করেন। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ সালে সিনেমাটি মুক্তির পর বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট করার পর কিরণের (জুহি চাওলা) সুনীলের (সানি দেউল) সাথে বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু কিরণ আবিষ্কার করে তার এক গোপন প্রেমিক আছে যে তাকে পাওয়ার জন্য এমন কিছু নেই যা করতে পারে না। প্রথাগত গল্প থেকে বের হয়ে ভিন্নধর্মী এই সিনেমা শাহরুখকে কিং খান হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিলো।

২। ভুল ভুলাইয়্যা:

আমেরিকা প্রবাসী সিদ্ধার্থ নতুন বিয়ে করা বৌ অভনিকে নিয়ে পিতৃপুরুষের ভিটায় আসে। তারা এক কালে ছিলো রাজা-জমিদার। তাদের বাড়িতে একটা বদ্ধ ঘর ছিলো। সেখানে ভৌতিক সব ব্যাপার ঘটতে থাকে। সিদ্ধার্থ তার বন্ধু সাইকোলজিস্ট আদিত্যকে ডাকে। সে এসে সমাধান করে সব সমস্যা। নির্মাতা প্রিয়দর্শনের এই সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৭ সালে। বিদ্যা বালান চমৎকার অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়, সাথে অক্ষয় কুমারকেও ভালো লেগেছে।

৩। কার্তিক কলিং কার্তিক:

কার্তিক চুপচাপ শান্ত চাকুরে, যে কিনা মনে মনে পছন্দ করে অফিসের আবেদনময়ী সহকর্মী সোনালি মুখার্জিকে (দীপিকা পাডুকোন)। অফিসের সব কাজ বলতে গেলে সে একাই করে। রাত-দিন খাটে। কিন্তু তারপরও তার চুপচাপ স্বভাবের কারণে অন্যের ভুলের জন্যও বসের গালি খেতে হয়। একদিন তার চাকরিটাও চলে যায়। এরপর ফোনকলের মাধ্যমে কেউ একজন বাতলে দিতে থাকে তার কর্তব্য। সে চাকরি ফেরত পায়, সোনালির সাথেও সম্পর্কে জড়ায়। বদলে যায় তার জীবন। কিন্তু ফোনকলের ব্যক্তি যে শর্ত দিয়েছিলো, সে সেটা রক্ষা করতে না পারায় একে একে সবকিছু হারাতে থাকে আবার। বিজয় লালওয়ানি নির্মিত এই সিনেমা মুক্তি পায় ২০১০ সালে।

৪। মার্ডার টু:

অর্জুন (ইমরান হাশমি) একজন এক্স পুলিশ অফিসার। যার টাকার প্রতি লোভ আছে। টাকা আয়ের জন্য অন্যায় কাজও সে করতে পারে। নিজে নাস্তিক কিন্তু আয় করা টাকা চার্চের এতিমদের বিলিয়ে দেয়। উঠতি মডেল প্রিয়ার (জেকুলিন ফার্নান্দেস) সাথে তার সম্পর্ক। তাদের সম্পর্কের টানা পোড়েন আর ধীরাজ পাণ্ডে নামক এক সিরিয়াল কিলারকে খুঁজে বের করার অসাধারণ গল্পের একটা সিনেমা মার্ডার টু। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি নির্মান করেন মুহিত সুরি।

৫। তালাশ:

নির্মাতা রীমা কাগতি হলিউডের এলিফ্যান্ট হোয়াইট সিনেমার অনুপ্রেরণায় তালাশ সিনেমাটি নির্মান করেন। সুরজন শেখাওয়াত (আমির খান) একজন পুলিশ অফিসার। সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার তদন্তে নামে। সেটা কি দুর্ঘটনা, না হত্যা? তদন্তে তাকে সাহায্য করে রোজি (কারিনা কাপুর)। অথচ রোজিকে সে ছাড়া আর কেউ দেখতে পারে না, অর্থাৎ অন্যদের কাছে অদৃশ্য। সেই সাথে তার পারিবারিক ঘটনা-দুর্ঘটনার গল্প মিলে দর্শকদের টানটান উত্তেজনায় নিয়ে যায় 'তালাশ'।