ছবি সংগৃহীত

প্রকৃতি রাঙিয়ে ফুটেছে শিমুল ফুল

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৫:১৭
আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৫:১৭

প্রকৃতি রাঙিয়ে তোলা শিমুল গাছটির ছবি গাইবান্ধা থেকে তোলা
(তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা) ঋতুরাজ বসন্তে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাঙিয়ে ফুটেছে শিমুল ফুল। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যকদের লেখার খোরাক যোগাতো রক্ত লাল এই শিমুল ফুল।

বুধবার সকালে সাদুল্যাপুর উপজেলা শহরের প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনের মেইন সড়কে দেখা মিললো ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছটির। ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর হরহামেসাই চোখে পড়েনা রক্তলাল শিমুল গাছ।  কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে তা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনি বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের খুব একটা চোখে পড়েনা ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।


গ্রামে শিমূল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ  বিষ ফোড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিণ্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।

বর্তমানে নানা কারনে তা হ্রাস পেয়েছে। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করেনা। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা  দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারন করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙ্গে ফোটে তোলে, দৃষ্টি কেড়ে নেই সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার তেরি হয়।

গ্রাম বাংলার এই শিমূল গাছ অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধি এনে দিত। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে,এমন নজিরও আছে ।

কিন্তু কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতিনিয়ত বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার কারনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা শিমূল গাছ।