
ছবি সংগৃহীত
পোষা বিড়ালের যত্ন আত্তি
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৩, ০৭:১৯
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৩, ০৭:১৯
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৩, ০৭:১৯
আমরা অনেকেই বিড়াল পুষে থাকি। বিড়ালের আদুরে গলায় মিউ মিউ, গা ঘেঁষে আদর পেতে চাওয়ার অনুনয় কার না ভালো লাগে! বাসায় একটা বিড়াল থাকা মানে ঘরময় একটা আদর আদর ব্যাপার চলে আসা। কিন্তু বিড়াল পুষলেই কি চলে! এই আদুরে প্রানীটার যত্ন আত্তি নিয়েও অনেক সময় বেজায় গোল বেধে যায়। তাই পোষা বিড়ালের যত্ন আত্তি নিয়ে রইলো কিছু টিপসঃ
- ১) সপ্তাহে অন্তত একদিন মাইল্ড কোন শ্যাম্পু দিয়ে আপনার বিড়ালটিকে গোসল করান। খেয়াল রাখবেন চোখে যেন শ্যাম্পু না যায়।
- ২) ২/৩ দিন পর পর মোটা চিরুনী বা হেয়ারব্রাশ দিয়ে বিড়ালের লোমগুলো আঁচড়ে দিন। এতে বাড়তি লোম ঝরে যাবার পাশাপাশি বিড়ালের গায়ে পোকামাকড় হবার সম্ভাবনা কমে যাবে।
- ৩) বিড়ালের গায়ে যদি উকুন হয়, ভয় পাবেন না। এটা মূলত হয় অপরিস্কার থাকার কারণে। এক্ষেত্রে একজন পশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন ও চেষ্টা করবেন বিড়ালটিকে যতটা সম্ভব পরিস্কার রাখার।
- ৪) অনেক সময় ছোট বিড়াল ছানার চোখে এক ধরনের সাদা সাদা পদার্থ জমে চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যখনি এটা হবে, তুলো নিয়ে সাধারন পানিতে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মুছে দিন। খেয়াল রাখবেন ঘষাঘষি করবেন না বা সরাসরি ডেটল/স্যাভলন লাগাতে যাবেন না। দ্রুত পরিস্কার করতে অবহেলা করবেন না, নয়ত আপনার আদরের বিড়ালের চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- ৫) বিড়ালকে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করান এবং পর্যাপ্ত পরিমানে পানির ব্যবস্থা রাখুন।
- ৬) ঘরের এক কোণে একটি ঢাকনাবিহীন কাঠের বাক্সে পলিথিন বিছিয়ে তার উপর কিছু মাটি রেখে দিন, যাতে বিড়াল সেখানে টয়লেট করতে পারে। বিড়ালটিকে এর সাথে অভ্যস্ত করাবার জন্য প্রথম এক সপ্তাহ বিড়ালটি অন্য কোথাও টয়লেট করার সময় সেটিকে তুলে নিয়ে এসে এই বাক্সের মাটির উপর বসিয়ে দিন। কিছুদিন করার পর সে নিজেই বুঝতে পারবে ও এখানেই এসে টয়লেট করবে। এই বাক্সের মাটি কিছুদিন পর পর বদলে দিন।
- ৭) বিড়ালটিকে প্রতিদিন একটু সময় দিন, রাবারের বল দিয়ে খেলুন বা কোলে নিয়ে বসে থাকুন। তাকে আপনার মমতা বুঝতে দিন।
- ৮) আপনার বিড়াল যদি খুব বেশী মুটিয়ে যায় তবে হুট করে খাবার দাবার দন্ধ করে দেবেন না যেন। কারন, বিড়াল খুব দ্রুত ওজন হারায়। তাই বিড়ালের ডায়েটে পরিবর্তন আনুন। একেবারে না খাইয়ে রাখবেন না।
- ৯) বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে খেয়াল রাখুন, বাচ্চাটি যাতে বিড়ালটিকে অযথা খোঁচাখুঁচি বা আঘাত না করে।
- ১১) বিড়ালের গোঁফ কেটে দেবেন না। এটি তার দিক নির্ধারণে রাডার হিসেবে কাজ করে।
- ১২) বিড়ালের স্বভাবের একটা অংশ হল এরা খসখসে কোন জায়গা পেলেই আঁচড়াতে ভালবাসে। তাই বাসার ফার্নিচার বাঁচাতে এক কাজ করুন, একটি খসখসে ছোট পিচবোর্ড রাখুন বাসায় বিড়ালটির থাকার জায়গার ঠিক পাশে। এতে বিড়া্লটি সেখানেই আঁচড়াবে।

- ১৩) বিড়ালকে বিড়ালের মত থাকতে দিন। অযথা অন্য কোন প্রানীর মত ট্রেনিং দেয়ার চেষ্টা করবেন না।
- ১৪) বাসার বাইরে যেতে দেবার আগে কয়েকবার ভাবুন। বাসার বাইরের নোংরা খাবার খেয়ে কৃমি ও অন্যান্য রোগ হতে পারে। অন্যান্য বিড়ালের সাথে মারামারি করে আহত হতে পারে। এর চেয়ে বিড়ালটির একাকীত্ব দূর করার জন্য আরেকটি বিড়াল নিয়ে আসতে পারেন।
- ১৫) নিজেকে বিড়ালটির মালিক না ভেবে বিড়ালটিকে আপনার পরিবারের একজন সদস্যের মত লালন করুন।
- ১৬) বিড়ালের যে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখলে দ্রুত পশু চিকিৎসক দেখান, অবহেলা করবেন না। সেই সাথে নিয়মিত ভ্যাক্সিন দিন।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- জীবন চর্চা
২ ঘণ্টা, ১ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৫ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ৯ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ১২ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট আগে
৭ ঘণ্টা, ২৪ মিনিট আগে
৭ ঘণ্টা, ২৭ মিনিট আগে
৭ ঘণ্টা, ২৯ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ৫৯ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা আগে
১২ ঘণ্টা, ২ মিনিট আগে