ছবি সংগৃহীত

পুরনো শাড়ির অসাধারণ সব নতুন ব্যবহার

nusrat jahan champ
লেখক
প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০১৪, ১১:৪৭
আপডেট: ০৮ জুন ২০১৪, ১১:৪৭

(প্রিয়.কম) পোশাক হিসেবে বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দ থাকে শাড়ি। আর হবেই না বা কেন? শাড়ি তো বাঙালি নারীদের ঐতিহ্যবাহী ও শ্বাশত পোশাক। সংগ্রহে একটিও শাড়ি নেই এমন কোনো নারীকে বোধহয় এই বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনেকের তো শখই থাকে নিত্যনতুন শাড়ি কেনার। অনেকের সংগ্রহে বিভিন্ন রকম শাড়ি থাকলেও সব পরা হয়ে ওঠে না। আবার অনেক শাড়ি দীর্ঘদিন তুলে রাখার কারণে পরার যোগ্যও থাকে না। এসব জমিয়ে রাখা পুরনো শাড়ি নতুন করে কাজে লাগানো সম্ভব। তৈরি করা সম্ভব নতুন কোনো কিছু। কীভাবে? আসুন জেনে নিই।

পর্দা :

শাড়ির অবস্থা খুব বেশি খারাপ না হলে সেটা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন দরজা বা জানালার পর্দা। তাঁত, সিল্ক, তসর - যেকোনো শাড়ি, সেটা প্রিন্টের হোক বা একরঙা তা দিয়েই তৈরি করা যাবে পর্দা। শাড়ি যদি খুব পাতলা হয় তাহলে সাধারণ মার্কিন কাপড় কিনে পর্দার পেছনে একটা আস্তর দিয়ে নিন। শাড়ির পাড় কেটে আপনার পছন্দমতো লম্বালম্বি, আড়াআড়ি বা তেরছা ভাবে বসিয়ে দিতে পারেন। অথবা একরঙা কাপড় কিনে পর্দা বানিয়ে তাতেও বসাতে পারেন শাড়ির পাড়।

কুশন কভার :

পুরনো বেনারসী বা ব্রোকেটের শাড়ি থাকলে তা দিয়ে উত্‍সবে ব্যবহারের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন গর্জিয়াস কুশন কভার ও সোফার রুমাল। অথবা টুকরো করে কেটে কাটওর্য়াক করেও বসাতে পারেন। একরঙা কাপড় কিনে কুশন কভার বানিয়ে তাতে লেইস হিসেবে বসাতে পারেন শাড়ির পাড়। একই ভাবে বসাতে পারেন টেবিলক্লথ এবং ড্রেসিংটেবিলের ঢাকনাতেও।

নতুন পোশাক :

পুরনো শাড়ি কেটে বানিয়ে ফেলতে পারেন কামিজ, ফতুয়া বা টপস। কারুকাজ করা শাড়ির পাড় পোশাকে ব্যবহার করতে পারেন ইয়ক বা লেইস হিসেবে। শাড়ি যদি একেবারেই ব্যবহারের যোগ্য না থাকে, তাহলে পাড় এবং আঁচল কেটে রেখে দিন। পাড় ও আঁচল থেকে সুতা বের করে তা দিয়ে করতে পারবেন চমত্‍কার সূচিনকশা। জরিদার পাড় থাকলে একরঙা কামিজে বসিয়ে ডিজাইন করতে পারেন। শাড়ি দিয়ে কামিজ তৈরি করলে আঁচল কেটে ওড়নার দুপাশে বসিয়ে দিতে পারেন। কামিজের বুকে, নিচে ও হাতে দিতে পারেন শাড়ির বিশেষ কাজ। শাড়ির জমিন যদি নকশাদার হয় তাহলে সেটা কেটে নতুন শাড়িতে করতে পারেন অ্যাপ্লিক বা কাটওয়ার্কের কাজ। সংগ্রহের পাড় বা আঁচল দিয়েও অ্যাপ্লিকের কাজ করতে পারেন শাড়ি বা কামিজে।

ওয়ালম্যাট :

দেয়ালে সাজাবার জন্য ওয়াল ম্যাটও তৈরি করতে পারেন পুরনো শাড়ি দিয়ে। শাড়ির কারুকাজ করা অংশ আঠা দিয়ে বসিয়ে দিন পিচবোর্ড বা পাতলা কাঠের বোর্ডে। তারপর সুন্দর ফ্রেম দিয়ে বাঁধিয়ে দেয়ালে টাঙান। এই ওয়ালমেটটি নজর কাড়বে সবার। ওয়ালমেট তৈরি করার জন্য জামদানী, বেনারসী, সিল্ক ইত্যাদি যেকোনো ধরনের শাড়ির টুকরো ব্যবহার করতে পারেন। আবার কয়েক ধরনের শাড়ির টুকরো জোড়া দিয়েও তৈরি করে ফেলতে পারেন চমত্‍কার ওয়ালমেট।

দস্তরখান :

একটু মোটা ধরনের শাড়ি থাকলে তা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন দস্তরখান। প্রয়োজনীয় আকারে কেটে ভালো করে মাড় দিয়ে ইস্ত্রি করুন। তারপর চারপাশে শাড়ির পাড় বসিয়ে ডিজাইন করুন। একই পদ্ধতিতে টেবিলম্যাটও তৈরি করে ফেলতে পারবেন।