
ছবি সংগৃহীত
জেলিফিশের ব্যাপারে যে তথ্য গুলো আপনি মোটেও জানেন না!
প্রকাশিত: ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:৪১
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:৪১
আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৪, ১১:৪১
কি অদ্ভুত প্রাণী এই জেলিফিশ! সাগরতলে ঘুরে বেড়ানো এই প্রাণীগুলো যেমন সুন্দর, তেমনি অদ্ভুত। অনেকে এই প্রাণীটিকে রাখেন অ্যাকুরিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য। অনেক আবার প্রাকৃতিক পরিবেশেই এদের দেখতে ভালোবাসেন। কিন্তু আমাদের মোটামুটি পরিচিত, পাতলা স্বচ্ছ দেহের এই প্রাণীটির ব্যাপারে আসলে কতটুকু জানি আমরা? আমরা যতটা মনে করি এরা কি ততটাই নিরীহ? নাকি এই একঘেয়ে প্রাণীর মাঝেও লুকিয়ে আছে বিস্ময়?

অনেক অনেক প্রাচীন
২০০৭ সালে উটাহ-এ খুঁজে পাওয়া যায় একটি জেলিফিশের ফসিল। তা থেকেই আমরা জানতে পারি এরা পৃথিবীতে ছিলো ৫০০ মিলিয়ন বছরেরও আগে!মাছ নয়, জেলি
চিংড়িমাছ যেমন আসলে মাছ নয় তেমনি জেলিফিশও আসলে ফিশ নয়। এদেরকে বলা যায় জেলি। আর অনেকগুলো জেলির ঝাঁককে বলে “সোয়ার্ম” বা “ব্লুম”। কখনো “ফ্লাদার” বা “স্ম্যাক”ও বলা হয়।গবেষণা
২০০৮ সালে কেমিস্ট্রিতে নোবেল পুরষ্কার পান তিনজন বিজ্ঞানী যারা গবেষণা করেন জেলিফিশের উজ্জ্বলতা নিয়ে। অনেকটা জোনাকির মতো জ্বলজ্বলে হয়ে থাকার কারণ হিসেবে জেলিফিশের ভেতরে তারা খুঁজে পান একটি বিশেষ প্রোটিন যার নাম দেওয়া হয় green fluorescent protein (GFP)। এই প্রোটিন এখন ব্যবহার হচ্ছে মানুষের শরীর নিয়ে গবেষণাতেও।
উচ্চতাভীতি
পানির নিচে থাকে বলে তাদের উচ্চতাভীতি থাকতে নেই বুঝি? উঁচু কোনও জায়গায় গেলে অনেক সময়ে আমাদের যেমন এলোমেলো লাগে, মাথা ঘোরে তেমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে জেলিফিশের মাঝেও। এটা দেখা যায় NASA’র একটি মহাকাশ গবেষণায়। তারা কতোগুলো বাচ্চা জেলিফিশ পাঠায় মহাকাশযানে। সেখানে অভিকর্ষ না থাকায় তাদের শরীরের মাঝে ঘটে যায় বড় ধরণের গণ্ডগোল। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর দেখা যায় তারা ঠিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। কোনটা ওপর আর কোনটা নিচ সেটা বুঝতে পারছে না। অর্থাৎ বেচারারা সারা জীবনের জন্য উচ্চতাভীতির উপসর্গ নিয়ে বেঁচে থাকবে।শক্তি ব্যবহার
আমরা মানুষেরা যতটা খাবার খাই তার পুরো শক্তিটাই কি ব্যবহার করতে পারি? বা একটা গাড়িকে যে পরিমাণে জ্বালানি খাওয়ানো হয় তার পুরোটাই কি কাজে লাগে? জেলিফিশ কিন্তু নিজের শরীরের শক্তি ব্যবহারে দারুন পারদর্শী। চলাচলে অনেকটা শক্তি চলে যায় সব প্রাণীরই। আর জেলিফিশ চলে হলো একটু অন্যভাবে। নিজের শরীরটাকে গুটিয়ে নিয়ে পেছনের দিকে ধাক্কা দেয় আর তাতেই শরীর সামনে চলে যায়। মনে হতে পারে এভাবে ঘষে ঘষে চললে তো শক্তি আরও বেশি খরচ হবে। কিন্তু না। এই প্রক্রিয়ায় জেলিফিশের পেছনে পানিতে তৈরি হয় একটা ঘূর্ণি যা তাকে ঠেলে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ কারণে শরীরের ১ শতাংশ পেশী নিয়েও দিব্যি চলতে পারে জেলিফিশ আর অন্যান্য প্রাণীর চাইতে অনেক কম শক্তি ব্যয় করতে হয় তার।দুনিয়াভর্তি জেলিফিশ
চলাচলে এত কম শক্তি ব্যয় হবার কারণে জেলিফিশ নিজের বেড়ে অথায় এবং বংশবৃদ্ধির দিকে অনেকটা বেশি শক্তি ব্যয় করতে পারে। এ কারণে তারা সহজেই বাড়তে বাড়তে দখল করে নেয় অনেকটা এলাকা। পানির অন্যান্য জীবের সংখ্যা কমিয়ে দেয় এরা। কোরিয়াতে তো এরা মাছ বাণিজ্যে এত ক্ষতি করে যে তারা জেলিফিশ মারার জন্য বিশেষ রোবটই তৈরি করে ফেলেছে যেগুলো ঘণ্টায় ২ হাজার পাউন্ড জেলিফিশ মেরে সাফ করতে পারে।নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের শত্রু
প্রচুর পরিমাণে জেলিফিশ কোনও এলাকায় জমে থাকলে আসলেই সমস্যা। এই তো, গত অক্টোবরেই একগাদা মুন জেলিফিশ সুইডেনের অস্কারশাম নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরের ইনটেক পাইপের ভেতরে ঢুকে বিশাল ঝামেলা সৃষ্টি করে ফেলে। এরপর পুরো পাওয়ার প্ল্যান্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে এগুলোকে সাফ করতে হয়।
বিপজ্জনক সৌন্দর্য
খুব সুন্দর এই প্রাণীটি? জলে সাঁতার কাটতে কাটতে একে ধরে একটু আদর করবেন ভাবছেন? ভুলেও সেটা করতে যাবেন না। সাধারণ একটা জেলিফিশের টেন্টাকল বা কর্ষিকার কাঁটার খোঁচা ত্বকে লাগলে বাজে একটা চুলকানি হবে। কিন্তু বক্স জেলিফিশের ক্ষেত্রে এমন একটি খোঁচা খেলে আপনার মৃত্যু হবে তিন মিনিটের মাথায়। ফিলিপাইনে প্রতি বছর ২০-৪০ মানুষ মারা যায় এর কারণে।মাল্টিপারপাস শরীর
জেলিফিশের শরীর একেবারেই সরল। একে দেখে কখনো ভেবেছেন, এর মুখ কোথায় আর পায়ু কোথায়? ভাবার কিছু নেই। এর মুখ এবং পায়ু আলাদা নয় বরং একই!- ট্যাগ:
- পরিবেশ
- বিজ্ঞান
- প্রাণী জগৎ
- জেলিফিশ
বিডি নিউজ ২৪
| পাকিস্তান
৩ মিনিট আগে
www.ajkerpatrika.com
| বাংলাদেশ সচিবালয়
৫ মিনিট আগে
প্রথম আলো
| নরওয়ে
৩০ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ২৯ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৩১ মিনিট আগে